সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার উপায়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার প্ল্যাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন ইত্যাদি সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। তাই আজকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
এছাড়াও আমরা আপনাকে আরও জানাব সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে কত দিন সময় লাগে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। আপনি যদি সহজেই ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

সূচিপত্র:বর্তমানে অনলাইনে অন্য বা সেবা বেচাকেনা জমজমাট ভাবে চলছে। বেশিরভাগ মানুষই এখন অনলাইন জগতের উপর নির্ভরশীল। কেননা অনলাইনে খুব সহজেই ঘরে বসে যে কোনো সার্ভিস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনার ব্যবসার উন্নতি ঘটাতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম শাখা হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব সহ ইত্যাদির সাহায্যে যেকোনো পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করাই হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

এই মাধ্যমে যে কোনো সার্ভিস খুব সহজেই প্রদান করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ, তাদের কাছে পণ্য বা সেবা প্রদর্শন, তাদের কাছে প্রডাক্ট বা সেবা পৌঁছে দেওয়া, তাদের থেকে সহজেই পেমেন্ট রিসিভ করা ইত্যাদি কাজ আপনি অনেক সহজেই ঘরে বসে করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথমে কোর্স করতে হবে, যদি আপনার কোনো ধারণা না থাকে। কিন্তু কোর্স কোথায় করবেন? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখেই করতে পারবেন।
কোর্স কমপ্লিট হয়ে গেলে তারপর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলো নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার প্ল্যাটফর্ম

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে হলে আপনাকে সঠিক প্ল্যাটফর্ম বাছাই করতে হবে। অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, কিন্তু সকল প্ল‍্যাটফর্ম এ একই ধরনের অডিয়েন্স পাওয়া যায় না।

এজন্য আপনাকে আপনার টার্গেটেড অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। আপনাদের জন্য সেরা ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল‍্যাটফর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

1. ফেসবুক (Facebook)

ফেসবুক পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে ছোট থেকে বড় যেকোনো ধরনের অডিয়েন্স পেয়ে যাবেন। আপনি এখানে লাইভে এসে মার্কেটিং করতে পারবেন, ফেসবুকে অনেক গ্রুপ রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পণ্যের বা সেবার প্রচার করতে পারবেন।

এছাড়া বিজ্ঞাপন চালিয়ে আপনি আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স সহজে পেয়ে যাবেন। এখানে কাস্টমারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার সুবিধা রয়েছে।

2. ইনস্টাগ্রাম (Instagram)

Instagram আধুনিক তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল‍্যাটফর্ম। এখানে সাধারণত ছবি এবং ভিডিও এর মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করতে পারবেন।
ফেসবুকের মতো এখানেও লাইভে এসে আপনার সার্ভিসের প্রচারণা চালাতে পারবেন এবং অ্যাড চালিয়ে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চাইলে আপনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন।

3. টুইটার (Twitter)

আপনি যদি আপনার ব্যবসা যদি অনেক বড় হয় এবং দ্রুত প্রচার করতে চান তাহলে টুইটার মার্কেটপ্লেস আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এখানে সাধারণত ছবি সহ পোস্ট করা যায়, হ্যাশট্যাগ এবং ভিডিও আপলোড করা যায়। টুইটারে বিজ্ঞাপন এর সুবিধাও রয়েছে। আপনি চাইলে এখানে বিভিন্ন স্পন্সরড টুইট করতে পারবেন।

4. লিঙ্কডইন LinkedIn

আপনি এখানে প্রফেশনাল ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন। লিঙ্কডইন এ সাধারণত আপনি আপনার প্রফেশনাল প্রোফাইল এর মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে ব্যবসা রিলেটেড কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারবেন। আপনি লিঙ্কডইন এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।

5. পিন্টারেস্ট (Pinterest)

পিন্টারেস্ট এ সাধারণত আপনি আপনার পণ্যের ছবি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে পারবেন। এখানে আপনি প্রমোটেড পিন ব্যবহার করে আপনার প্রোডাক্টের পিকচার সকলের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

6. টিকটক (Tik Tok)

টিকটক তরুণদের জন্য জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এখানে সাধারণত শর্ট ভিডিও শেয়ার করা হয়ে থাকে। আপনি এখানে আপনার পণ্যের ভিডিও বানিয়ে সহজে ভাইরাল করতে পারবেন। এছাড়া আপনি বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে আপনার প্রচারণা চালাতে পারবেন।

7. স্ন্যাপচ্যাট (Snapchat)

এটি হলো আমেরিকান ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং app। এখানে সাধারণত পিকচার এবং ভিডিও এর সাহায্যে কমিউনিকেশন করা হয়। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি স্ন্যাপ বিজ্ঞাপন এর সাহায্যে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।

8. ইউটিউব (Youtube)

এটি একটি পৃথিবীর মধ্যে অনেক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এখানে মূলত আপনি ছোট এবং বড় ভিডিও কনটেন্ট এর সাহায্যে মার্কেটিং করতে পারবেন। এখানে লাইভ স্ট্রিমিং এর সুবিধা রয়েছে।

এছাড়া আপনি চাইলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও আপনার ব্যবসার প্রডাক্টগুলো অনেক সহজেই সকলের কাছে পাঠাতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চাইলে আপনার জন্য youtube.com প্ল্যাটফর্ম সেরা হতে পারে।

9. রেডডিট (Reddit)

এটি মূলত একটি community ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার ঘটাতে পারবেন বিভিন্ন পোস্ট আপলোডের মাধ্যমে। এছাড়া নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে আপনি বিজ্ঞাপন চালিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন।

10. হোয়াটসঅ‍্যাপ (WhatsApp)

হোয়াটসঅ‍্যাপ সাধারণত মেসেজ আদান প্রদান করার অনেক জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সাধারণত এটি সাধারণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলেও আপনি ব্যবসায়িক কমিউনিকেশন এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এ প্ল্যাটফর্মটি অনেক নিরাপদ।
আর আপনি সহজেই আপনার কাস্টমারদের কাছে নোটিফিকেশন পাঠাতে পারবেন। অনেক মানুষই ব্যবসায়িক কথোপকথনের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ‍্যাপ ব্যবহার করে থাকেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার যেসব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক বড় একটি শাখা হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার কিছু জনপ্রিয় উপায় গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

1. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যে সকল কোম্পানির পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি কিছু টাকা কমিশন পাবেন। এই প্রক্রিয়াই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি প্রোডাক্টের বা পণ্যের পোস্টগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করবেন অথবা Boost করার মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাবেন।

তাহলে আপনি প্রচুর প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি নিজস্ব কোনো পণ্য না থাকে তাহলে আপনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

2. ফেসবুক মার্কেটিং

আপনি ঘরে বসেই মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। ফেসবুক মার্কেটিং হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সেক্টর। বর্তমানে প্রায় সকলেই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন।

এজন্য আপনার ব্যবসার উন্নতি ঘটাতে ফেসবুক মার্কেটিং-ই যথেষ্ট। কিভাবে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করবেন তা এই লিংকে ক্লিক করে জেনে নিন।

3. স্পন্সরশীপ

যখন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো প্ল্যাটফর্ম অনেক জনপ্রিয় হয়ে যায়, অনেক ফ্যান ফলোয়ার থাকে তখন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্টের স্পন্সর করার জন্য অফার পেতে পারেন। অর্থাৎ তারা আপনাকে তাদের প্রোডাক্টের রিভিউ করতে বলবে।

আর এজন্য আপনি তাদের থেকে টাকা পাবেন। এভাবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় সহজেই করতে পারেন।

4. নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করা

আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের সাহায্যে আপনি সহজেই নিজের সার্ভিস বিক্রি করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আপনার ব্যবসা অনেক বড় করতে চাইলে আপনি আপনার আকর্ষণীয় প্রোডাক্টগুলোর বুস্ট পোস্ট করুন। এতে আপনার প্রচুর আয় হবে।

5. বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব এবং ফেসবুক এ মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনাকে এক্ষেত্রে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচটাইম কমপ্লিট হলে আপনি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তারপর সব ঠিক থাকলে আপনার মনিটাইজেশন অন করে নিন। তারপর আপনার ভিডিও কন্টেন্ট গুলোতে বিভিন্ন ধরনের অ‍্যাড শো করতে থাকবে এবং আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এটির মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

6. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

আপনাদের হয়তো এই সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রয়েছে। অনেক কোম্পানি যারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ লোক বা ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ কাজটি আপনি ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমেই করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া এর প্ল্যাটফর্ম গুলো ভালোভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা থাকতে হবে।

এই কাজ আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সিং ডটকম সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলোতেও পেয়ে যাবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করে আয় করতে চাইলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করতে পারেন। কেননা এটি অনেক জনপ্রিয় এবং লাভজনক কাজ।

7. ডিজিটাল অন্য সেল করে মার্কেটিং

ডিজিটাল পণ্য বলতে অনলাইনের সেবা সমূহকে বুঝায়। যেমন অনলাইন কোর্স বিক্রি, অনলাইনে শিক্ষা প্রদান, ই-বুক বিক্রি ইত্যাদি। এসব ডিজিটাল পণ্য সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতেই বেশি বিক্রি হয়।

তাই আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চান তাহলে এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। আপনার কোন দক্ষতা থাকলে সেই বিষয়ের উপর অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং সেল দিতে পারেন।

8. কন্টেন্ট রাইটিং

অনেক ব্যক্তি রয়েছে নিজেরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কন্টেন্ট লিখতে পারে না। এজন্য তারা কন্টেন্ট রাইটারদের ভাড়া করে এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর সার্ভিস নিয়ে থাকে। আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে এবং একজন দক্ষ রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি তাদের হয়ে কাজ করে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন এবং ডেইলি পেমেন্ট নিতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে কত দিন সময় লাগে

আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।

আর পূর্বে যদি আপনার এ সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে আপনার একমাস সময় লাগতে পারে। তবে এটি আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং সময় দেওয়ার উপর নির্ভর করবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ আপনার জন্য খুবই ভালো হতে পারে। কেননা বর্তমানে অনলাইনের উপর সকলেই নির্ভর করছে। দিন যত যাবে ততো অনলাইন এর ব্যবহার বাড়তেই থাকবে। বিশেষ করে ভিডিও কন্টেন্ট গুলোর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ভবিষ্যতেও এর মাধ্যমে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। সুতরাং বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ ভালো এবং আপনি এটির মাধ্যমে সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

FAQs: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধাগুলো কি কি?

উত্তর: এর অনেক সুবিধা রয়েছে। এটির মাধ্যমে আপনি সহজেই ঘরে বসে আপনার ব্যবসার সকল কাজ পরিচালনা করতে পারবেন। কাস্টমারদের সাথে সহজে যোগাযোগ করা, সঠিক জায়গায় পণ্য পৌঁছানো যায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে। এটির মাধ্যমে অনেক সহজে প্রডাক্ট সেল করা যায়।

2. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করতে হলে কি কি দরকার হবে?

উত্তর: আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনার পণ্য অনুযায়ী কোনো প্ল‍্যাটফর্ম যেমন facebook, instagram ইত্যাদি নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর পোস্ট করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

3. সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম কোনটি?

উত্তর: বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্লাটফর্ম গুলো হলো:
  • ফেসবুক
  • ইনস্টাগ্রাম
  • টিকটক
  • ইউটিউব
  • লিঙ্কডইন

লেখকের মন্তব্য

ব্যবসা করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা উচিত। এতে কম পরিশ্রম করে বেশি লাভ হয়। আপনি যদি সাধারণ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চান তাহলে প্রথমে ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটিং করে বর্তমানে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে আপনার অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে এবং অনেক পরিশ্রম করতে হবে, তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন। সম্মানিত পাঠক, আশা করি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় কিভাবে করতে হয় তা বুঝতে পেরেছেন।

আপনার কোনো কিছু বোঝার অসুবিধা হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন এবং আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url