কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি? নতুনরা হয়তো এ বিষয়ে জানেন না এবং জানতে চান। আর্টিকেল লিখতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ধাপ রয়েছে, যেগুলো সম্পন্ন করে একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখা যায়। আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং সেই বিষয়ে গবেষণা করা।
আপনি যদি একজন নতুন আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তাহলে আশা করি আপনি আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন। তো চলুন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
সূচিপত্র: কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
.
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
নতুন আর্টিকেল রাইটারদের ক্ষেত্রে কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি তা জানা খুবই প্রয়োজন। কেননা আপনার শুরুটা যদি ভালো হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত সবই ভালো হবে আশা করা যায়। আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল বিষয় নির্বাচন করা। আপনি কোন বিষয়ের উপর লেখালেখি করবেন সেটি নির্ধারণ করা। অর্থাৎ কিওয়ার্ড রিসার্চ।
অনেকেই হয়তো জানেন না কিওয়ার্ড কি। মানুষ কোনো কিছু জানার জন্য ইন্টারনেটে যা লিখে সার্চ দেয় সেটিই মূলত কিওয়ার্ড। আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ যদি ভাল হয় তাহলে আপনি সহজেই প্রচুর পরিমাণ অর্গানিক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারবেন। তবে পরবর্তী ধাপেও আপনাকে ভালোভাবে কাজ করতে হবে।
আমরা শুরুতেই জেনেছি কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হল বিষয় বা টপিক নির্বাচন করা। আর এর পরের ধাপই হল আপনার নির্বাচিত বিষয় বা টপিকের উপর ভালোভাবে গবেষণা করা। আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করার পর ভালোভাবে গবেষণা করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং লিখতে হবে।
আরও পড়ুন বাংলা আর্টিকেল লেখার সকল নিয়ম
চলুন এখন আর্টিকেল লেখার ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কিভাবে আপনি এগুলো ধাপ সম্পন্ন করবেন এবং একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ হল কিওয়ার্ড রিসার্চ, এটি কিভাবে করবেন?
প্রথমে আপনি আপনার পছন্দের কোনো টপিক বাছাই করুন। যেমন হতে পারে খেলাধুলা, ব্যবসা, অনলাইন ইনকাম, জব অফার, টেকনোলজি ইত্যাদি। ধরুন আপনার অনলাইন ইনকাম বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে এবং অভিজ্ঞতাও রয়েছে, তাহলে আপনাকে এই বিষয়ের উপর কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
আপনি বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে সহজেই কিবোর্ড রিসার্চ করতে পারেন। ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ইংরেজি, বাংলা ভাষাসহ যেকোনো ভাষায় কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করবেন তা সহজে জানতে পারবেন। আপনি Semrush, Ahrefs, Ubersuggest ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করে সহজেই আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনি কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এবং প্রথম ধাপে কি কি কাজ রয়েছে ও তা কিভাবে করবেন বুঝতে পেরেছেন।
বিষয় নির্বাচন বা কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ অর্থাৎ, বিষয় নির্বাচন করা জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনাকে এমন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে যেটার চাহিদা অনেক বেশি। এমন বিষয় বা কিওয়ার্ড আপনাকে বাছাই করতে হবে মানুষ যেই বিষয়ের উপর গবেষণা করতে ভালোবাসে, পড়তে ভালোবাসে। আপনাকে পাঠকদের চাহিদা বুঝতে হবে।
আরও পড়ুন আর্টিকেল লিখে আয় করার ওয়েবসাইট
তারা কোন কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে বেশি আগ্রহী সেটি আপনাকে অবশ্যই জানার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া বর্তমানে আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কেও আপনি লিখতে পারেন। তবে এমন টপিকে লেখালেখি করার চেষ্টা করুন যেই টপিক সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে জানেন অথবা সহজেই রিসার্চ করতে পারবেন।
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপ হল গবেষণা
টপিক (কিওয়ার্ড) নির্বাচনের পর আপনাকে সেই টপিকের উপর পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিয়ে তারপর লেখালেখি করতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে রিসার্চ করে লেখালেখি করেন তাহলে আপনার আর্টিকেল এর প্রতি সবাই আস্থা রাখতে পারবে, আপনি অনেক বিশ্বস্ত হয়ে উঠবেন।
কিন্তু আপনার লেখার মান যদি খারাপ হয়, উল্টাপাল্টা লিখে রাখেন, অপ্রয়োজনীয় তথ্য লিখে রাখেন তাহলে পাঠকরা অসন্তুষ্ট হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনাকে অবশ্যই আপনার কিওয়ার্ড রিলেটেড কথাগুলো আর্টিকেলে লিখতে হবে। আপনি ফোকাস বা মূল কিওয়ার্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
আর এর সাথে প্রাসঙ্গিক আরও কিছু কিওয়ার্ড নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু একটি বিষয় সম্পর্কে লিখতে লিখতে অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। যেমন ধরুন আপনি মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখছেন। কিন্তু এখানে হাঁসের মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে লেখা মোটেও ঠিক হবে না।
কেননা এখানে ফোকাস কিওয়ার্ড বা মূল টপিক হল মুরগির মাংসের উপকারিতা। পাঠক শুধু এটিই জানতে চেয়েছে কিন্তু আপনি যদি অন্য কোনো বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেন তাহলে তারা বিরক্ত হতে পারেন। পরবর্তীতে আপনার ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলের উপর একটি খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
আপনি বিভিন্ন বিশ্বস্ত উৎস থেকে গবেষণা করে বাড়ি সার্চ করে আর্টিকেল লিখতে পারেন। যেমন বিভিন্ন বিশ্বস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট, ইউটিউবে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তির আলোচনার মাধ্যমে, বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং বই পড়ে আপনি গবেষণা করতে পারেন। তারপর নিজের মতো করে ১০০% ইউনিক ভাবে আর্টিকেল রাইটিং করবেন।
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে তৃতীয় নাম্বার ধাপ হল ডেকোরেশন
ভালোভাবে আর্টিকেল লেখা শেষ করে আপনাকে সুন্দর ভাবে লেখাগুলো সাজাতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা পাঠকদের জন্য সুবিধাজনক। এমনভাবে আর্টিকেল ডেকোরেশন করতে হবে যাতে পাঠকরা আকর্ষিত হয় এবং আপনার লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগে। আপনি যদি কম্পিউটারে লেখালেখি করেন তাহলে আপনাকে প্রত্যেকটি প্যারা ৩-৩.৫ লাইন রাখতে হবে।
আর যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখেন তাহলে সকল প্যারাগুলো ৫ লাইন করে রাখবেন। প্যারাগুলোর মাঝে মাঝে আপনার প্রাসঙ্গিক অন্যান্য আর্টিকেলের লিংক দিবেন। আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে শুরুতে ভূমিকা লেখা এবং আর্টিকেলের শেষে উপসংহার লেখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আর্টিকেল রাইটিং ক্ষেত্রে সর্বশেষ ধাপ হল অন পেজ এসইও
এসইও করার মাধ্যমে একটি আর্টিকেল গুগলে র্যাঙ্ক করানো অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনাকে সঠিকভাবে আর্টিকেলের টাইটেল লিখতে হবে, H1, H2, H3 সঠিকভাবে লিখতে হবে, আর্টিকেলের শুরুর দিকে একটি ফিচার ইমেজ বা থাম্বেল যোগ করতে হবে, পার্মালিঙ্ক, ডেসক্রিপশন এবং আর্টিকেলটি কোন ক্যাটাগরির তা যোগ করতে হবে।
পরিশেষে আপনাকে আপনার আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়তে হবে এবং কোথাও ভুল হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য করতে হবে।
FAQ: আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
১. একটি আর্টিকেল এর গঠন কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর: একটি আর্টিকেল এর গঠন কেমন হয় তা নিচে বলা হল:
- প্রথমে ভূমিকা
- এরপর মূল বক্তব্য
- মূল বক্তব্য সম্পর্কিত আলোচনা
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
- এবং সবশেষে উপসংহার
২. একটি আর্টিকেল সর্বনিম্ন কত ওয়ার্ডে লেখা উচিত?
উত্তর: বর্তমানে একটি আর্টিকেল কমপক্ষে ১০০০ শব্দের লেখা উচিত। তবে আপনার আর্টিকেলের কোয়ালিটি অনেক ভালো হলে ৬০০ থেকে ৮০০ শব্দের মধ্যেও লিখতে পারবেন। কিন্তু আপনি যত বেশি তথ্য দিবেন এবং যত বেশি বড় আর্টিকেল লিখবেন ততই র্যাঙ্কে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
৩. আর্টিকেল এর টাইটেল কত শব্দের মধ্যে লেখা উচিত?
উত্তর: সাধারণত বড় কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখলে র্যাঙ্কে যাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। তবে টাইটেল খুব বেশি বড় রাখা যাবে না। কোনো আর্টিকেল এর টাইটেল সাধারণত ৫ থেকে ৮ শব্দের মধ্যে রাখা উচিত।
৪. অন্যের ওয়েবসাইটের কোন আর্টিকেল র্যাঙ্কে রয়েছে তা কিভাবে জানা যায়?
উত্তর: সাধারণত কোনো আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ দিলে কোন কোন ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল র্যাঙ্কে রয়েছে তা দেখা যায়। তবে কিছু টুলস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি যে কোনো ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কে থাকা কিওয়ার্ড গুলো খুঁজে পেতে পারেন। যেমন: Ubersuggest।
উপসংহার: কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
আমরা জেনেছি কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হল টপিক নির্বাচন এবং গবেষণা। আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি অনেক সহজেই বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে টপিক নির্বাচন এবং গবেষণা করতে পারবেন। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও অনেক কাজ সহজেই করা যায়।
আপনাদের আরও একটি বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই সেটি হল কোনো আর্টিকেল লেখার পর সাত দিন থেকে এক মাসের মধ্যে যদি র্যাঙ্ক না হয়, তাহলে আপনি আর্টিকেলটি মডিফাই করুন। অর্থাৎ আরও গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন বিষয়গুলো যোগ করুন এবং এসইও ঠিকভাবে সম্পন্ন করুন। তাহলে আপনি সহজেই আপনার আর্টিকেল র্যাঙ্কে দেখতে পাবেন।
সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আপনাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি আপনার এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারে এসেছে। অন্যেরও উপকারের জন্য এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন নিচের লিঙ্ক গুলোর মাধ্যমে। আরও কিছু জানার থাকলে আমাদের প্রশ্ন করুন।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url