মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে ইনকাম - মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং

সম্মানিত পাঠক, আপনি কি মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যায়, মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কি কি কাজ করা যায়, ফাইবারে কাজ করার জন্য গিগ তৈরি করার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং সম্পর্কে।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
এছাড়াও আমরা শুরুতেই আপনাকে জানাবো মোবাইল দিয়ে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম এ কাজ করতে হবে। এই তিনটি মার্কেটপ্লেসের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল ফাইবার।

সূচিপত্র:বর্তমানে সবাই অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। ব্যবসা, লেখাপড়া, চাকরি সকল সেক্টরই অনলাইনে কোনো না কোনো কাজের সাথে জড়িত হচ্ছে। অনলাইনে এসব কাজ করার জন্য অনেক লোক প্রয়োজন হয়।

তাদেরকে দিয়ে অনলাইনের সকল কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়। তাদেরকেই আমরা মূলত ফ্রিল্যান্সার বলে থাকি। মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে আপনি কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন সে বিষয়ে চলুন ধাপে ধাপে বিস্তারিত জেনে নেই।

ফাইবার (Fiverr) কি?

ফাইবার একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট-প্লেস। যেখানে আপনি ঘরে বসে আপনার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক কাজ টাকার বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে করাতে পারবেন। আবার আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন কাজ আপনি ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে পেয়ে যাবেন।

এসব কাজগুলো সম্পন্ন করে আপনি প্রচুর পরিমাণ অর্থ নিয়মিত উপার্জন করতে পারবেন। সাইবার একটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট-প্লেস। এখানে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ কাজ করে উপার্জন করছে। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি ফাইবারে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আপনি যেহেতু মোবাইল মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে চান সেহেতু আপনাকে আমরা মোবাইল দিয়ে ফাইবারে একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে এখন বলব।

শুরুতে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে ফাইবার (Fiverr) অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। ডাউনলোড হয়ে গেলে এই অ্যাপের মধ্যে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন Join নামের একটি অপশন। সেখানে ক্লিক করে আপনি আপনার গুগল অ‍্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে অথবা আপনার ইমেইল অ‍্যাড্রেস এর মাধ্যমে এবং ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন আপ করে নিতে হবে।

তারপর আপনি যেই ইমেইলটি ব্যবহার করেছেন সেই ইমেইলে একটি মেসেজ যাবে। সেখানে গেলে দেখবেন "Active your account" নামের একটি অপশন। সেখানে ক্লিক করলে আপনার ফাইবার অ‍্যাকাউন্টটি ভেরিফাই হয়ে যাবে। ভেরিফাই হওয়ার সাথে সাথে ফাইবারে আপনার একটি অ‍্যাকাউন্টও তৈরি হয়ে যাবে। এরপর আপনাকে সুন্দরভাবে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।

প্রোফাইলটি অবশ্যই আকর্ষণীয় হতে হবে যাতে বায়ার দেখে বুঝতে পারে আপনি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার। আপনি আপনার প্রোফাইলে আপনার কাজের দক্ষতা, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনার সুন্দর একটি ছবি, ডেসক্রিপশন, আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক অবশ্যই আপনাকে যোগ করতে হবে।
আপনি কোন সেক্টরে কাজ করবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইমেইলের পাশাপাশি আপনার মোবাইল নাম্বার ও ভেরিফাই করা। তাহলে আপনার প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট হয়ে যাবে।

ফাইবারে কাজ করার জন্য গিগ তৈরি করার নিয়ম

অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে, গিগ আবার কি? চলুন সহজে বুঝিয়ে বলি। ধরুন আপনার একটি দোকান আছে, আপনি সেই দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন। আপনি দোকানটি সুন্দরভাবে সাজালেন। এরপর আপনার প্রয়োজন হবে দোকানে পণ্য নিয়ে আসা। এই পণ্যই হল গিগ।

আমরা এই পণ্যটি যত সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারব এবং রিজেনেবল প্রাইস এর মধ্যে রাখতে পারব ততই আমাদের এই পণ্যটি বিক্রি হবে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। চলুন এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করি কিভাবে ফাইবারে গিগ তৈরি করতে হবে।

আপনি ফাইবার অ‍্যাকাউন্টে ঢুকে আপনি যে ক্যাটাগরির গিগ তৈরি করতে চান সেই ক্যাটাগরির মধ্যে যারা সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, তাদের প্রোফাইলটি ভিজিট করবেন এবং ধারণা নিবেন তারা কিভাবে গিগ তৈরি করেছে। কমপক্ষে ১০ জন সফল ফ্রিল্যান্সার এর গিগ দেখে আইডিয়া নিয়ে আপনি আপনার নিজের মতো করে গিগ তৈরি করবেন।
  • আপনাকে প্রথমে ওভারভিউতে গিয়ে গিগ টাইটেল, ক্যাটাগরি এবং সার্চ ট্যাগ লিখতে হবে। এরপর আপনাকে নিচে থাকা সেভ বাঁটনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর প্রাইজিং অপশনে চলে যাবেন। তারপর আপনি আপনার বেসিক, স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রিমিয়াম প্রাইজিং সেট করবেন।
  • এরপর আপনি যেই গিগ তৈরি করছেন সেই দিকের ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। এরপর আপনি কিছু FAQ সেট করবেন এবং সেভ অপশনে ক্লিক করে সেভ করে নিবেন।
  • এরপরের ধাপে আপনাকে আপনার কাজের দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য কিছু ছবি এবং ভিডিও অ‍্যাড করতে হবে। এরপর আপনি সেভ এন্ড কন্টিনিউতে ক্লিক করবেন।
  • এর পরের ধাপে আপনি বাংলাদেশি কিনা তা সিলেট করে সেভ করে Publish Gig নামের অপশনে ক্লিক করলে আপনার গিগটি পাবলিশ হয়ে যাবে। এখন এই গিগটি দেখে বায়ার আপনাকে মেসেজ দিতে পারে।

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কি কি কাজ করা যায়

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে অনেক কাজই করা যায়। নিম্নে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কি কি কাজ করা যায় সে সম্পর্কে তুলে ধরা হল:
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • ট্রান্সলেশন জব
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • SEO (Search Engine Optimization)
  • Google adds সেটআপ করা
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • বেসিক ভিডিও এডিটিং
  • ফটো এডিটিং
  • ওয়েবসাইট টেস্টিং
ইত্যাদি কাজ আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে করতে পারবেন। চলুন এখন এসব কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ

ফাইবারে শত শত ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। আপনার যে কাজটি ভালো লাগে আপনি সেই কাজটি করতে পারবেন। তবে মোবাইল দিয়ে ফাইবারের জনপ্রিয় কাজগুলো হল:

1. মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ

আপনি যদি একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হন তাহলে অবশ্যই ফাইবারে কাজ পেয়ে যাবেন। বর্তমানে একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটারদের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি ফাইবারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, আকর্ষণীয় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখে আয় করতে পারবেন।

2. মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

আপনার দক্ষতা থাকলে সহজেই আপনি ফাইবারে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ পেয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংডইন সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করা, আকর্ষণীয় পিকচার এবং ক্যাপশন অথবা ভিডিও তৈরি করে অ‍্যাড করা, সঠিক সময়ে পোস্ট করা ইত্যাদি হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মূল কাজ। আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন।

3. মোবাইল দিয়ে ফাইবারে ট্রান্সলেশন জব

সাইবার মার্কেটপ্লেসে ট্রান্সলেশন জব পাওয়া যায়। যা আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। এখানে আপনাকে মূলত বিভিন্ন ভাষা থেকে নির্দিষ্ট কোন ভাষায় ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করতে হবে। অথবা কোনো ওয়েবসাইট বা app এর পোস্টগুলো আপনাকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে দিতে হবে। এছাড়াও ক্লায়েন্ট আপনাকে বিভিন্ন অডিও থেকে অনুবাদ করার কাজ দিতে পারে।

4. মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ

ফাইবারে আপনি মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জব পেতে পারেন। আপনি নিশ্চয় ফেসবুক, ইমেইল, instagram, টেলিগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি ব্যবহার করতে জানেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে এ সকল প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে।

বিভিন্ন পোস্ট করা, বিজ্ঞাপন চালানো, বিজ্ঞাপনের পারফর্মেন্স চেক করা, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন তৈরি ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ ফাইবারে পেতে পারেন এবং মোবাইল দিয়ে সহজেই করতে পারেন।

5. মোবাইল দিয়ে SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর কাজ

আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে SEO এর কাজ করতে পারেন যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের টুলস ব্যবহার করে (যেমন Ubersuggest, Keyword Planner) কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
অন পেজ SEO অর্থাৎ, ডেসক্রিপশন, মেটা ট্যাগ, সঠিক url লেখা, SEO ফ্রেন্ডলি ইমেজ তৈরি করা, অফ পেজ SEO এবং টেকনিক্যাল SEO সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। আপনি দক্ষ হয়ে থাকলে SEO এর কাজ ফাইবারে পেতে পারেন।

6. মোবাইল দিয়ে google adds সেটআপ করার কাজ

মোবাইলের মাধ্যমে গুগল অ্যাড গুলো সেটআপ করা অনেক সহজ। এই সহজ কাজটিও আপনি ফাইবারের মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারেন।

তবে আপনাকে গুগল অ‍্যাড গুলো সেটআপ করার ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিভিন্ন ধরনের অ‍্যাড সেটআপ টেকনিক সম্পর্কে আপনাকে জ্ঞান রাখতে হবে। তাহলে আপনি ফাইবারে মোবাইল দিয়ে সহজেই এই কাজটি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

7. মোবাইল দিয়ে ফাইবারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি কাজ যেখানে অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো সেল করে কমিশন পাওয়া যায়। ফাইবারে আপনি এই কাজটি সহজেই পেয়ে যেতে পারেন। আপনি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির সাথে কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রচুর দক্ষতা প্রয়োজন হবে।

8. মোবাইল দিয়ে বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ

আপনি ফাইবারে যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করতে চান মোবাইল দিয়ে, তাহলে আপনি ছোটখাটো বেসিক যেসব কাজ রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সেসব কাজ গুলি আপনি করতে পারবেন। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের টুলস যেমন ক্যানভা, এডোবি এক্সপ্রেস, Pixlr, Over, Desygner ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করার দক্ষতা থাকতে হবে।

মোবাইলের মাধ্যমে এসব টুলস দিয়ে আপনি সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন। তবে অ‍্যাডভান্স লেভেলের কাজ করার জন্য অবশ্যই কম্পিউটার প্রয়োজন হবে।

9. মোবাইল দিয়ে বেসিক ভিডিও এডিটিং এর কাজ

আপনি ফাইবারে ভিডিও এডিটিং এর কিছু কাজ পেয়ে যেতে পারেন। ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি মোবাইল দিয়ে কাইনমাস্টার, InShot, Adobe Premiere Rush, VivaVideo ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করে বেসিক ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন। আর অ্যাডভান্স লেভেল এর কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে কম্পিউটার কিনতে হবে।

10. মোবাইল দিয়ে ফাইবারে ওয়েবসাইট টেস্টিং এর কাজ

ফাইবারে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট টেস্টিং এর কাজ অনেক ফ্রিল্যান্সারই করেন। এখানে মূলত ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট অডিট করা, ওয়েবসাইট সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সে সকল লক্ষ্য করা, এক কথায় বিভিন্ন টুলস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই হল মূল কাজ।

এটি অনেক সহজ একটি কাজ আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন বিভিন্ন টুলস এর মাধ্যমে। যেসব টুলস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট টেস্টিং করা যায় তা হল: website SEO Checker, Small SEO Tools, Google analytics, Pingdom, BrowserStack ইত্যাদি।

মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং

মোবাইল দিয়ে আমরা আউটসোর্সিং করতে পারি। তবে আপনাকে একটি ভাল মানের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং করতে হলে আপনার কমপক্ষে ৬ জিবি র‍্যাম, ভালো মানের প্রসেসর এবং কমপক্ষে ৬৪ জিবি রম থাকা প্রয়োজন। তাহলে আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং
তবে আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের কম্পিউটার ব্যবহার করলে আপনি সকল কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যেসব ছোটখাটো কাজ রয়েছে বা বেসিক কাজ রয়েছে সেগুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন।

FAQs: মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর

1. মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?

উত্তর: আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে ইউটিউব এ ফ্রিতে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। এ সকল ভিডিও দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড ব্লগ পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং শিখতে পারবেন।

2. ফাইবারে কাজ করে কিভাবে পেমেন্ট নেওয়া যায়?

উত্তর: আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাজ জমা দেওয়ার পর ফাইবার আপনার অ‍্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দিবে। এরপর আপনি Payoneer এ একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন। Payoneer এ টাকা উইথ ড্র করে সেখান থেকে সরাসরি আপনি বিকাশে পেমেন্ট নিয়ে নিতে পারবেন।

3. মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করার জন্য কি ইংরেজি জানতে হবে?

উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই। ফাইবার একটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস। এখানে ক্লায়েন্টদের সাথে আপনাকে ইংরেজিতে কথোপকথন করতে হবে। এজন্য আপনার বেসিক ইংরেজি ভাষা অবশ্যই জানতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

আপনার হাতে টাকা মোবাইল দিয়ে আপনি ফাইবারে কাজ করে 10 থেকে 15 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই। আর আপনার যদি অনেক বেশি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি আরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করতে অনেক দক্ষতা প্রয়োজন। ফাইবার সহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রতিদিন বহু মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত কাজ খোঁজাখুঁজি করছে।

কিন্তু দক্ষতা না থাকার কারণে তারা কোনো কাজ পাচ্ছে না। এজন্য আপনি যখন কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে যাবেন তার আগে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি অদক্ষ হয়ে থাকেন এবং পয়েন্ট এর কাজ ভালোভাবে না করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্মানিত পাঠক, আজকের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী কম্পিউটার দিয়েও আপনি একইভাবে ফাইবারে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি আপনি মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে ইনকাম করার বিষয়গুলো সম্পর্কে, মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আপনার যদি এই আর্টিকেলটি উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
2 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • নামহীন
    নামহীন ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ এ ১১:২০ AM

    Great post

    • Online Income IT
      Online Income IT ১ নভেম্বর, ২০২৪ এ ৯:৩৪ PM

      Thank you

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url