মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার উপায়অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সম্পর্কে। অনেক মানুষ আছেন যারা কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য রাখেন না, কিন্তু তারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান এবং করতে চান। আপনি আপনার ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। কিভাবে শিখবেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেই বিষয়েই আলোচনা করব।
আপনি যদি সহজেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শেষ অবধি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি আরও জানতে পারবেন কি ধরনের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায় এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূচিপত্র: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়
.
মোবাইল ফোন ব্যবহার করা অনেক সহজ, এজন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করাও অনেক সহজ। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন না। তবে জনপ্রিয় কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো আপনি সহজেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করতে পারবেন।
আপনার এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, কোথায় কাজ পাওয়া যায়। চিন্তার কোনো কারণ নেই আপনি আজকে সব বিষয়েই জানতে পারবেন।
ভূমিকা
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে শুরুতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে শুরুতে আপনাকে আপনার লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে, আপনাকে যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর বাছাই করতে হবে।
তারপর আপনাকে সেই সেক্টর বা সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ সকল কাজ আপনি মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন। চলুন এখন মূল বিষয়গুলো ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
যাদের কম্পিউটার নেই এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্ন করে থাকেন। আপনি কম্পিউটারের মতোই মোবাইল ফোন দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার চেয়ে শেখা অনেক সহজ।
তবে কাজ ভালোভাবে শেখার জন্য আপনাকে অনেক প্র্যাকটিস করতে হবে। জন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত কাজও করতে হবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন তা নিচে বলা হল:
১. ফ্রিল্যান্সিং কি এবং সে সম্পর্কে ধারণা: শুরুতেই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। কোন সেক্টরে কি কাজ, কোন কাজটি আপনার জন্য ভালো হবে বা আপনি সহজেই করতে পারবেন সেটি নির্ধারণ করতে হবে।
আপনি যদি ব্যবসা রিলেটেড ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। যদি আপনার বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করতে ভালো লাগে তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ডেভেলপার হতে চান তাহলে ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন।
২. অনলাইনে টিউটোরিয়াল দেখুন: আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় সেক্টর নির্বাচন করার পর সেই বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করুন। অনলাইনের সবকিছুর ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, যা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেখে আপনি শিখতে পারবেন। ব্লগ পোস্ট পড়ে এবং ভিডিও দেখে যেকোনো কিছু শেখার জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম হল গুগল ও ইউটিউব।
এসবে আপনি যা সার্চ করবেন সে সম্পর্কেই ব্লগ পোস্ট অথবা ভিডিও পাবেন। অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন না যে, কিভাবে সার্চ করবেন। ধরুন আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে চান। তাহলে আপনাকে গুগলে অথবা ইউটিউবে গিয়ে প্রথমে সার্চ করতে হবে "কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শেখা যায়"।
এখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন, সেগুলো সম্পর্কেও আপনাকে ধাপে ধাপে সার্চ করে জেনে নিতে হবে। এ সকল কাজ আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন।
৩. পেইড কোর্স করার মাধ্যমে: আপনি যদি মনে করেন অনলাইনে সার্চ করে অথবা রিসার্চ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন না অর্থাৎ, আপনার জন্য কঠিন যদি কঠিন হয়ে পড়ে তাহলে আপনি পেইড কোর্স কেনার মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি একজন ট্রেইনারও পেয়ে যাবেন, যার মাধ্যমে আপনি সবসময় সাপোর্ট পেতে থাকবেন।
আপনার বাড়ির আশেপাশে কোনো ভাল ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট থাকলে আপনি সেখানে ভর্তি হতে পারেন, অথবা অনলাইনে কোর্স কিনতে পারেন। যেসব প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি কোর্স কিনে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এসব প্ল্যাটফর্ম গুলো হল: Udemy, Coursera ইত্যাদি। এখানে আপনি সকল ধরনের কোর্স পেয়ে যাবেন।
এছাড়া অনেকে ফেসবুকে অথবা ইউটিউবে কোর্স বিক্রি করে থাকেন, তাদের থেকে কোর্স কিনে নিয়ে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, আশা করি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে পেয়ে গেছেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়
আপনি যখন কোনো বিষয়ে উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি, তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সঠিক উপায় হল:
প্রথমে আপনাকে একটি সঠিক মোবাইল অর্থাৎ ভালো মানের মোবাইল ফোন প্রয়োজন হবে। আপনি ফেসবুকে আপনার প্রোফাইলে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে পোস্ট করবেন। আপনি যে কাজ করেন সেই কাজ রিলেটেড বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে যাবেন। এসব Facebook গ্রুপে কাজ পাওয়ার জন্য আপনি পোস্ট করতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক কাজ হয়ে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে ইনকাম
এছাড়া জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো হল: Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি। এসব অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে প্রথমে সাইন আপ করে নিতে হবে।
এরপর একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করবেন এবং তারপর গিগ তৈরি করে নিবেন। এরপর আপনি ক্লায়েন্ট এর কাজ করে প্রচুর টাকা-পয়সা ইনকাম করতে পারবেন। তবে টাকা উত্তোলনের জন্য আপনার পেপাল অথবা পায়োনির অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে। কেননা এগুলো ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেস এবং এখানে ডলার প্রদান করা হয়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক কাজই করা যায়। নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু জনপ্রিয় কাজ তুলে ধরা হল, যা আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন।
১. আর্টিকেল রাইটিং এবং SEO: আপনি মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং এবং SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করতে পারেন। এটি অনেক চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তাহলে এটি আপনার জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হতে পারে।
আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য যেসব টুলস প্রয়োজন হয় সেগুলো টুলস মোবাইলে সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার লেখার ধরণ যদি ভাল হয় তাহলে সহজেই আপনি আর্টিকেল বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
২. ব্লগিং: আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আপনাকে একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে তারপর সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। এরপর আপনার ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স এর অ্যাড বসিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: আপনি মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সকল কাজই সহজেই মোবাইল দিয়ে করা যায়। আপনি মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন: মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রাথমিক কাজগুলো করতে পারবেন সহজেই। এক্ষেত্রে আপনি Canva, Adobe Spark ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করতে পারেন।
৫. ভিডিও এডিটিং: বর্তমানে উন্নত মানের মোবাইল গুলোতে ক্যামেরার কোয়ালিটি খুবই ভালো হয়। এজন্য আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। নিজেই ভিডিও তৈরি করে এবং এডিট করে ইউটিউব অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া ক্লায়েন্টের ভিডিও এডিট করে দিয়েও ইনকাম করতে পারেন। ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে Kinemaster, InShot ইত্যাদি জনপ্রিয় অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, ট্রান্সলেশন জব, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফটো এডিটিং ইত্যাদি কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা ও অসুবিধা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু সুবিধা রয়েছে এবং এর পাশাপাশি কিছু অসুবিধার সম্মুখীনও আপনি হতে পারেন। নিচের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১. সুবিধা: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা গুলো হল:
- বর্তমানে মোবাইল ফোন অনেক সহজলভ্য, কম দামে একটি ভালো মোবাইল আপনি সহজেই কিনতে পারবেন।
- মোবাইল ফোন যেখানে সেখানে সহজেই নিয়ে যাওয়া যায়। এজন্য আপনি যে কোনো স্থানে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন।
- খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারবেন, যা আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
- মোবাইলে অনেক টুলস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য canva, ভিডিও এডিটিং করার জন্য Kinemaster।
২. অসুবিধা: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অসুবিধা গুলো হল:
- মোবাইলের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর ক্ষমতা কম্পিউটারের চেয়ে অনেক কম। এজন্য আপনার মোবাইল মাঝে মাঝে হ্যাং করতে পারে।
- মোবাইল ফোনে অনেক ছোট স্ক্রিন হয়, এজন্য মাল্টি টাস্কিং করতে আপনার সমস্যা হতে পারে।
- মোবাইলের মাধ্যমে কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা সম্ভব নয়। যেমন প্রোগ্রামিং, অ্যাডভান্স গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যাডভান্স ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।
- মোবাইল ফোন অনেক ছোট হয়ে থাকে এজন্য হারিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর সকল গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা ফাইল সহজেই চুরি হয়ে যেতে পারে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নটি করার আগে এসব বিষয় আপনি মাথায় রাখবেন।
FAQ: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়
১. মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই। আপনি বর্তমানের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল গুলো ব্যবহার করে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সকল ক্যাটাগরির কাজ না করতে পারলেও জনপ্রিয় কিছু কাজ যেমন ব্লগিং, কন্টেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, প্রাথমিক গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।
২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি ধরনের মোবাইল প্রয়োজন?
উত্তর: আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে ভালো মানের মোবাইল কিনতে হবে। আপনার ৬ জিবি র্যাম, ১২৮ জিবি স্টোরেজ সম্পন্ন মোবাইল ফোন প্রয়োজন হবে। এছাড়া ৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই কাজ করতে পারবেন কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই।
৩. মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার এবং করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
উত্তর: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে এবং করতে হলে আপনার একটি উন্নত মানের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং এর সাথে একটি ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনাকে কোনো বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
উপসংহার
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, আপনার এই প্রশ্নের জবাবে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মোবাইল এর সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে একটি ভাল ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। ভালো পরিমাণে ইনকাম করার পর আপনি কম্পিউটার কিনে নিবেন।
তাহলে আপনি সকল ধরণের কাজই করতে পারবেন অনেক সহজেই এবং ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। প্রিয় পাঠক আমরা আপনাকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি।
আমাদের দিক নির্দেশনা গুলো ফলো করলে এখন আপনারা চাইলেই সহজেই কাজ করতে পারবেন এবং অনলাইনে মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই আপনার অনেক উপকারে এসেছে, এজন্য এই আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন। আর আপনার আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানান। ধন্যবাদ
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url