মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

সম্মানিত পাঠক আপনারা অনেকে মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। মাছের ডিম আমরা সকলেই খেয়ে থাকি কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। আজকে আমরা মাছের ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়া আমরা আরও আলোচনা করব মাছের ডিম খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কি, মাছের ডিম খেলে কি ওজন বাড়ে এবং গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এজন্য এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, এটাই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

সূচিপত্র: মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

.

ভূমিকা

মাছের ডিম পুষ্টিকর একটি খাবার, যা খেতে ছোট বড় সকলেই খেতে পছন্দ করে। এমনকি গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকর খাবারটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি খনিজ, ভিটামিন এবং প্রোটিনে ভরপুর।

তবে অন্যান্য খাদ্যের যেমন উপকারিতার পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে মাছের ডিম খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। এজন্য আমাদের মাছের ডিম খাওয়ার পূর্বে এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানা উচিত। চলুন আর বেশি কথা না বলে মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

মাছের ডিমের উপকারিতা

মাছের ডিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে মিষ্টি পানির মাছের ডিমের চেয়ে সামুদ্রিক মাছের ডিমের উপকারিতা অনেক গুণে বেশি হয়ে থাকে। মাছের ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ উপকারী পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি, প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, ফসফরাস, ভিটামিন এ এবং কোলেস্টেরল। মাছের নিমের উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হল:

১. মাছের ডিম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: মাছের ডিমে রয়েছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ‍্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের উন্নতির পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। মাছের ডিম খেলে দুশ্চিন্তা কমে, এই ডিম ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

২. মাছের ডিম দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে: মাছের ডিম শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। শিশুদের দৃষ্টির বিকাশ এবং বৃদ্ধদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে মাছের ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাছের ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। এই ভিটামিন দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এজন্য শিশুদের এবং বয়স্কদের মাছের ডিম খাওয়া উচিত।

৩. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে: মাছের ডিমের পটাশিয়াম এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ‍্যাসিড পাওয়া যায়, যা উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত জমাট বাঁধা এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তবে মাছের ডিম পরিমিত খাওয়া উচিত, কেননা মাছের ডিমে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম রয়েছে, যা অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

৪. মাছের ডিম হার্ট ভালো রাখে: মাছের ডিমে থাকা ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই ডিমে পাওয়া যায় EPA, DHA এবং DPA যা এক প্রকার প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় মাছের ডিম: অসুস্থতার সৃষ্টিকারী মারাত্মক অণুজীব গুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের শরীরে ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাছের ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ কাটিয়ে ওঠার জন্য মাছের ডিম উপকারী।

৬. মাছের ডিম দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য ভিটামিন ডি, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। এ সকল উপাদান মাছের ডিমে রয়েছে। মাছের ডিমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে যা শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়তা করে।

৭. মাছের ডিমের অন্যান্য উপকারিতা: গবেষণায় পাওয়া যায় মাছের ডিম কোলন ক্যান্সার, প্রোটেস্ট ক্যান্সার এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করতেও মাছের ডিম বেশ কার্যকর। মাছের ডিমে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম থাকা এটি নিম্ন রক্তচাপ দূর করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কি

অনেকেই জানতে চান গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কিনা। উত্তর হল হ‍্যাঁ, যাবে এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে মাছের ডিম যেন অবশ্যই ভালোভাবে সিদ্ধ করা হয়। কেননা কাঁচা মাছের ডিমে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা একটি ভ্রূণ অথবা নবজাতক শিশুর জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।

আর গর্ভবতী মহিলাকে একদম টাটকা মাছের ডিম রান্না করে খাওয়ানো উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মাছের ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। সুতরাং গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম নিশ্চিন্তে আপনি খেতে পারেন। তবে মাছের ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কেননা মাছের ডিমে ইপিএ এবং ডিএইচএ সমৃদ্ধ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ‍্যাসিড পাওয়া যায়। এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। আমরা জানি গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম এর প্রয়োজন হয়।

মাছের ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন ডি, বি ১২ যা গর্ভবতী মায়ের এবং শিশুর উভয়ের মস্তিষ্ক, হার্ট এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য অনেক উপকারী। গর্ভ অবস্থায় মাছের ডিম খেলে শিশুর হাড় এবং দাঁত মজবুত হয়। মাছের ডিম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, যা ভ্রূণের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।

মাছের ডিমে থাকে সেলেনিয়াম, এটি শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়ার আরেকটি উপকারিতা হল এটি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। গর্ভবতী মহিলার মন মেজাজ ভালো রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মাছের ডিমে থাকা ওমেগা-3 মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। কেননা এটি সেরোটোনিন লেভেল বাড়ায়।

মাছের ডিমের অপকারিতা

মাছের ডিমের উপকারিতা থাকলেও কিছু অপকারিতাও রয়েছে। চলুন জেনে নেই মাছের ডিমের অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে।

মাছের ডিমের একটি অন্যতম অপকারী দিক হল এর উচ্চ মূল্য। মাছের ডিম এর দাম অনেক বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষেরা কিনতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া মাছের ডিম ভালোভাবে রান্না না করলে অথবা কাঁচা মাছের ডিম খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা ইত্যাদি।

আবার অনেকের মাছের ডিম খেলে অ‍্যালার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে। মাছের ডিম রান্না করলে সাধারণত প্রচুর পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা হয় যার ফলে অতিরিক্ত মাছের ডিম খেলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।

আবার অতিরিক্ত মাছের ডিম খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়, এক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। সুতরাং মাছের ডিম প্রিয়জনের তুলনায় বেশি খাওয়া মোটেও উচিত নয়।

সতর্কতা

মাছের ডিম প্রতি সপ্তাহে একবার করে পরিমিত আকারে খাওয়া উচিত। যাদের আগে থেকে হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের নিয়ম মেনে মাসে সর্বোচ্চ দুইবার মাছের ডিম খাওয়া উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের মাছের ডিম খাওয়ানোর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাছের ডিম জীবাণুমুক্ত করতে অবশ্যই ভালোভাবে রান্না করতে হবে।

মাছের ডিম খেলে কি ওজন বাড়ে

মাছের ডিম খেলে ওজন বাড়তে পারে, তবে এটি নির্ভর করে খাওয়ার পরিমাণের ওপর। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ মাছের ডিম খান তাহলে এটি আপনার ওজন বাড়াতে পারে। কেননা মাছের ডিমে অনেক বেশি ক্যালরি এবং চর্বি রয়েছে।

মাছের ডিমে থাকা প্রোটিন এবং ফ্যাট শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া হয় তাহলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়া রান্নার তেলে মাছের ডিম ভাজা হলে এতে অতিরিক্ত চর্বি যোগ হয়। যা খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

মাছের ডিম খাওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই মাছের ডিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিনা বা জানতে চাই। মাছের ডিম যেমন সঠিক নিয়মে রান্না করে খাওয়া উচিত তেমনি মাছের ডিম সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত। অনেকেই মাথায় ডিম কাঁচা অবস্থায় খেয়ে থাকে, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্য মাছের ডিম প্রথমে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রান্না করে খেতে হবে।

পরিমিত পরিমাণ তেলে আপনি মাছের ডিম ভেজে খেতে পারেন অথবা আপনার ইচ্ছামতো তরকারির সাথে যোগ করে খেতে পারেন। নুডুলস এর সাথে মাছের ডিম খেতে বেশ মজা লাগে। মাছের ডিম খাওয়ার পর যাদের অ‍্যালার্জির সমস্যা দেখা দিবে তারা পরবর্তীতে মাছের ডিম এড়িয়ে চলবেন।

FAQs: মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

1. মাছের ডিম কতটুকু খাওয়া উচিত?

উত্তর: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মাছের ডিম খাওয়া উচিত। এছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং গর্ভবতী মহিলাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাছের ডিম খেতে হবে।

2. ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে ডিম খাওয়া যাবে কি?

উত্তর: হ‍্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীদের মাছের ডিম খাওয়া যাবে। কেননা মাছের ডিমে শর্করার মাত্রা কম থাকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাছের ডিম নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

3. কোন মাছের ডিম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খাবার?

উত্তর: স্টার্জেন মাছের ডিম পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু এবং দামি খাওয়ার হিসেবে পরিচিত। এই ডিম ক্যাভিয়ার নামেও পরিচিত। বেলুগা স্টার্জেন মাছের ডিমের দাম প্রতি কেজি ২৯ লক্ষ টাকা। (ভারতীয় টাকায়)

উপসংহার

পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মাছের ডিম শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের সকলেরই খাওয়া উচিত। এটি পরিমিত পরিমাণে ছেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে, তাই উপকারিতার পাশাপাশি অপকারী দিকগুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

মাছের ডিম রান্নার সময় বিশেষভাবে যে বিষয় লক্ষ্য করা উচিত। যেমন মাছের ডিম ভালো ভাবে সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করা, অতিরিক্ত রান্নার তেল ব্যবহার না করা এবং অতিরিক্ত লবণ না ব্যবহার করা। আর শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে মাছের ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

সম্মানিত পাঠক আজকে আপনি জানতে পারলেন মাছের ডিমের উপকারিতা ও মাছের ডিমের অপকারিতা, মাছের ডিম খেলে কি ওজন বাড়ে, গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কিনা, গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং মাছের ডিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে এসে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url