কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা

সম্মানিত পাঠক আপনি হয়তো কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাই আজকে আমরা কালো রসুন খাওয়ার উপকারিতা এবং কালো রসুনের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনি অনেক উপকৃত হবেন, জন্য এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও আমরা আরও আলোচনা করব ভরা পেটে রসুন খেলে কি হয়, কালো রসুন খাওয়ার নিয়ম, খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম, কালো রসুন কোথায় পাওয়া যায়, কালো রসুনের দাম এবং কালো রসুন তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়া আমরা আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরব কালো রসুন সম্পর্কে যা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

সূচিপত্র: কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা

.

ভূমিকা

কালো রসুনকে ইংরেজিতে ব্ল‍্যাক গার্লিক বলা হয়। সাদা রসুনকে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে কালো রসুন তৈরি করা হয়। সাদা রসুনের চেয়ে কালো রসুনের উপকারিতা অনেক গুণে বেশি। এটির স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ভালো স্বাদের জন্য পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। এটি খেতে মিষ্টি স্বাদযুক্ত। অনেকেই কালো রসুনকে আচারের সাথে তুলনা করে থাকেন। কেননা এটি আচারের মতো সুস্বাদু খেতে হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশেও কালো রসুন পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানে না। আবার এটি কোথায় পাবেন সেটা নিয়েও হয়তো আপনি চিন্তা করছেন। চিন্তা না করে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক, তাহলেই আপনি সবকিছু জানতে পারবেন।

কালো রসুনের উপকারিতা

কালো রসুনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে রয়েছে ক্যালরি, প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ভিটামিন সি এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও কালো রসুনে ভিটামিন বি (B1, B2, B3, B6), ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং আয়রন পাওয়া যায়। সুতরাং বোঝা যায় কালো রসুন অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। সাধারণ রসুনের তুলনায় কালো রসুনের উপকারিতা বেশি। নিচে কালো রসুনের উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হল:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কালুর রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো ফ্রি র‍্যাডিক‍্যালস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

২. হার্টের সুরক্ষা: প্রাণীদের ওপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে, সাদা বা তাজা রসুনের মতো কালো রসুনও হৃদপিণ্ডের প্রদাহ কমাতে এবং ধমনীতে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। কালো রসুন খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমাতেও সাহায্য করতে পারে, যা হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়।

৩. ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে: কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কালো রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে যে, কালো রসুনের নির্যাস কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার এবং লিউকেমিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে।
৪. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: গবেষণা অনুসারে, তাজা সাদা রসুনের মতো কালো রসুন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। যেহেতু কালো রসুন খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাই ডায়াবেটিস এবং কিডনির সমস্যাও প্রতিরোধে এটি সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের সমস্যা প্রতিরোধ করতে কালো রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: কালো রসুন মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের প্রদাহ হ্রাস করে। এই রসুন আলঝেইমার রোগ এবং পারকিনসন রোগের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কালো রসুন স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

৬. লিভারের স্বাস্থ্য: ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে যে, কালো রসুনের নির্যাস লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৭. রক্তচাপ কমায়: মানুষের মধ্যে বেশ কিছু গবেষণা করে দেখা গেছে যে, রসুন উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন রোগীদের রক্তচাপ কমাতে পারে। এটি ঔষধের মতো কাজ করে। বরং প্রাকৃতিক হওয়ায় ঔষধের চেয়েও ভালো। উচ্চচাপ কমাতে দৈনিক চার কোয়া কালো রসুন খেতে হবে।

৮. শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: কালো রসুনে পাওয়া যায় সালফার, এটি শরীরের মধ্যে থাকা বিষাক্ত পদার্থ থেকে অঙ্গের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৯. গবেষণায় বলা হয়েছে যে, কালো রসুন স্থূলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং পেটের চর্বির স্তর গুলো পাতলা হয়।

কালো রসুনের অপকারিতা

অনেক উপকারিতার পাশাপাশি কালো রসুন খাওয়ার কিছু অপকারিতা বা ঝুঁকি রয়েছে। প্রতিদিন দুই থেকে চার কোয়া রসুন খাওয়া ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ কালো রসুন খেলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে, বমি বমি ভাব এবং পেটে গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এবং নিয়মিত এর ঔষধ সেবন করে থাকেন তাদের জন্য অতিরিক্ত কালো রসুন খাওয়া মোটেও উচিত নয়। কেননা এতে রক্ত পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
আবার যাদের রক্ত জমাট বাঁধা রোগ রয়েছে তাদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কালো রসুন খাওয়া অনিরাপদ হতে পারে। কিছু মানুষের রসুনে অ‍্যালার্জি রয়েছে। তারা যদি কালো রসুন খায় তাহলে যেসব লক্ষণ গুলি দেখা দিতে পারে তা হল:
  • নাক চুলকানো
  • হাঁচি
  • সর্দি
  • আমবাত
  • চুলকানি
  • শ্বাসকষ্ট
এছাড়া অতিরিক্ত কালো রসুন খেলে পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণ যদি কালো রসুন খাওয়ার পর প্রকাশ পায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের এবং যারা শিশুকে বুকের দুধ পান করান তাদের কালো রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

কালো রসুন খাওয়ার নিয়ম

কালো রসুন খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সঠিক নিয়মে কালো রসুন খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আর আপনি যদি সঠিক নিয়মে কালো রসুন না খান তাহলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই কালো রসুন খাওয়ার আগে এর নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি অথবা সর্বোচ্চ চারটি করে কালো রসুনের কোয়া খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া মোটেও উচিত নয়। কালো রসুন কিছুটা মিষ্টি আচারের মতো খেতে। তাই এটি চাইলে আপনি ভালোভাবে ধুয়ে কাঁচাও খেতে পারেন।

আপনি এটি তরকারিতেও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পিৎজা, সালাদ, নুডুলস ইত্যাদিতে কালো রসুন ব্যবহার করতে পারেন স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য। এছাড়া কালো রসুন নরম করে পাউরুটির সঙ্গে খেতে পারেন।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম

সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি তা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আপনি রসুন খেতে পারেন। রসুনের কোয়াগুলো খোসা থেকে ছাড়িয়ে প্রথমে রসুনের কোয়া গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

তারপর কাঁচা অবস্থায় আপনি ১ থেকে ২ টি কোয়া খেতে পারেন। রসুন অনেক তীক্ষ্ণ স্বাদ যুক্ত, তাই আপনি চাইলে রসুনের সাথে মধু যোগ করে খেতে পারেন, এতে উপকারিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া কাঁচা রসুন না খেতে পারলে সকালের নাস্তার সাথে রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন।
রসুন খেলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে, শরীরের রক্ত পরিষ্কার হবে, দীর্ঘমেয়াদি রোগ আস্তে আস্তে দূর হবে এবং ঠাণ্ডা জনিত সমস্যার সমাধান মিলবে।

ভরা পেটে রসুন খেলে কি হয়

ভরা পেটে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। কেননা এতে কিছুটা অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যেমন ভরা পেটে রসুন খেলে অ‍্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক সহ পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে। রসুন পেটে অ‍্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রসুন খেলে মুখ দুর্গন্ধ হয়।

এজন্য খাবার খাওয়ার পর অর্থাৎ, ভরা পেটে রসুন খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া রসুনের যাদের অ‍্যালার্জি রয়েছে তারা খাবার পর রসুন খেলে অ‍্যালার্জির সমস্যা বহুগুণে বেড়ে যেতে পারে। এজন্য রসুন খেতে চাইলে আপনি খালি পেটে অথবা খাবারের সাথে মিশিয়ে খান, তাহলে কোনো রকম ক্ষতি হবে না, বরং শরীর সহজেই পুষ্টি শোষণ করতে পারবে।

কালো রসুন কোথায় পাওয়া যায়

কালো রসুন কোথায় পাওয়া যায় তা অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশের বিভিন্ন সুপার মার্কেট বা বড় বড় মার্কেটে এবং অনলাইন প্ল‍্যাটফর্মে কালো রসুন পাওয়া যাচ্ছে। যেমন ঢাকার ডেইলি ফুড শপে উন্নত মানের কালো রসুন পাওয়া যায়। তাদের ওয়েবসাইটেও পাবেন।

এছাড়া অনলাইনে জনপ্রিয় প্ল‍্যাটফর্ম ঘরের বাজার ডটকম এবং দারাজে ভালো মানের কালো রসুন পেয়ে যাবেন। আপনি ঘরের বাজার প্ল্যাটফর্ম থেকে কালো রসুন নিতে পারেন কেননা এখানে সবার থেকে ভালো মানের কালো রসুন পাওয়া যায়।

কালো রসুনের দাম কত

আপনারা অনেকেই কালো রসুনের দাম জানতে চান। তাই আমরা আপনাকে কালো রসুনের দাম কত তা জানাব। কালো রসুনের দাম নিচে দেওয়া হল:
  • ২০০ গ্রাম কালো রসুনের দাম ৫০০ টাকা
  • ২৫০ গ্রাম কালো রসুনের দাম ৭৫০ টাকা
  • ৫০০ গ্রাম কালো রসুনের দাম ১৫০০ টাকা

কালো রসুন তৈরি করার নিয়ম

কালো রসুন তৈরি করার নিয়ম অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কালো রসুন তৈরি করা একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটি তৈরি করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কালো রসুন তৈরি করার নিয়ম ধাপে ধাপে বলা হল:

উপকরণ:

১. বড় আকারের তাঁজা রসুন।

২. ইলেকট্রনিক কুকার।

৩. অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল।

৪. তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার।

প্রস্তুত প্রণালী:

আপনি যতগুলো কালো রসুন চান ততগুলো তাঁজা রসুন বাজার থেকে কিনে আনুন, আপা রসুনের ক্ষেত থাকলে সেখান থেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। বাইরের খোসা হালকা ভাবে তুলে ফেলুন। তবে বেশি খোসা তোলা যাবে না।

তারপর রসুন গুলোকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে দিন। তারপর ইলেকট্রনিক কুকারে আপনার রসুন রেখে দিন। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। কুকারের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রী থেকে ৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখুন। খেয়াল রাখবেন ঢাকনাটি ভালোভাবে রয়েছে কিনা, কেননা ভেতরের আদ্রতা বাহিরে বের হওয়া যাবে না।

দুই থেকে তিন সপ্তাহ ইলেকট্রনিক কুকারে রসুনকে এভাবে রেখে দিতে হবে। দশ দিন পর রসুনগুলো নরম হতে থাকবে এবং আস্তে আস্তে কালো রঙ ধারণ করবে। প্রতিদিন তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। ২০-২১ দিন পর রসুন গুলো পরীক্ষা করুন। রসুন গাঢ় কালো এবং নরম হলে বুঝবেন আপনার রসুনটি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। এরপর রসুনগুলোকে ঠাণ্ডা করে সংরক্ষণ করুন।

কালো রসুন প্রস্তুতিতে তাপমাত্রা ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কালো রসুন প্রস্তুত হওয়ার পর বাতাস ঢুকবে না এমন পাত্রে রসুনগুলো সংরক্ষণ করুন। আপনি চাইলে ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে কয়েক মাস পর্যন্ত কালো রসুন ভালো রাখা যায়।

FAQ: কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

১. দিনে কতটি করে কালো রসুন খাওয়া উচিত?

উত্তর: একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ২ কোয়া করে কালো রসুন খাওয়া উচিত। তবে আপনার যদি জটিল কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কালো রসুন গ্রহণ করুন।

২. কালো রসুন কিভাবে খেতে হয়?

উত্তর: কালো রসুন প্রস্তুত করার পর ঠাণ্ডা করুন। তারপর আপনি কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন, আবার আপনি চাইলে সালাদ, স‍্যুপ এবং নুডুলস এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। পাউরুটিতে কালো রসুন মাখিয়ে খেতে বেশ মজা লাগে।

৩. সাধারণ রসুন এবং কালো রসুনের পার্থক্য কি?

উত্তর: সাধারণ রসুনকে প্রাকৃতিকভাবে গাঁজন পদ্ধতিতে কালো রসুনে পরিণত করা হয়। সাধারণ রসুন দেখতে সাদা এবং কালো রসুন দেখতে গাঢ় কালো রঙের হয়ে থাকে। সাধারণ রসুনের তুলনায় কালো রসুনের উপকারিতা বেশি। এদের দামেরও পার্থক্য রয়েছে। কালো রসুনের দাম সাধারণ রসুনের তুলনায় অনেক বেশি।

৪. কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আছে?

উত্তর: হ‍্যাঁ। কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক দুটোই রয়েছে। তবে সুস্থ মানুষ সঠিক নিয়মে কালো রসুন খেলে কোনো ক্ষতি হবে না।

লেখকের মন্তব্য

কালো রসুন অনেক পুষ্টিকর একটি খাদ্য। যাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কালো রসুন খেতে পারেন। কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই থাকার কারণে এটি নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। তা না হলে কিছু শারীরিক সমস্যায় হতে পারে।

প্রিয় পাঠক, আপনারা জানতে পারলেন কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন এবং এই রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url