মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক
সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা, আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করব মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। কেননা এটি সকলের জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। মাছের কলিজা তো সবাই দেখেছেন কিন্তু এটি খাওয়া যায় কিনা তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে সকালের মধ্যে।
আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন। মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও আমরা আরও আলোচনা করব মাছের কলিজা খাওয়া কি জায়েজ, জান্নাতের প্রথম খাবার কি মাছের কলিজা এবং মাছের কলিজা ভুনা রেসিপি সম্পর্কে।
সূচিপত্র: মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
.
ভূমিকা
মাছ আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। কিন্তু মাছের কলিজা অনেকে খায় আবার অনেকে খায় না। মাছের বিভিন্ন অংশ যেমন তেল ডিম ইত্যাদি আমরা পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে জানি এবং খেয়ে থাকি। ঠিক তেমনি এর কলিজাও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার।
এটি শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। তবে মাছের কলিজা সঠিকভাবে না খেলে অথবা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে কিছু ক্ষতিও হতে পারে। তবে মাছের অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা-ই বেশি। যেসব মাছ আমরা খেয়ে থাকি অর্থাৎ যেসব মাছ খাওয়া যায় সেসব মাছের কলিজা ফেলে না দিয়ে আপনি খেতে পারেন।
তবে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রান্না করে খেতে হবে। চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মাছের কলিজা কি খাওয়া যায়?
আমরা সকলেই মাছ খেতে পছন্দ করি এবং প্রায়ই খেয়ে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানেন না মাছের কলিজা খাওয়া যায় কিনা। তাই অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, মাছের কলিজা কি খাওয়া যায়? এটা সঠিক উত্তর হল হ্যাঁ, আপনি মাছের সাথে মাছের কলিজাও নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।
কেননা এটি অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। হবে সকল মাছের কলিজা খাওয়া ঠিক নয়। যেসব মাছ খুব বেশি দূষিত পানিতে বসবাস করে সেসব মাছের কলিজা খাওয়া ঠিক নয়, কেননা সেসব মাছের কলিজায় বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে।
আরও পড়ুন কালো রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
সেজন্য মাছের কলিজা রান্না করার সময় ভালোভাবে এটি পরিষ্কার করে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে রান্না করতে হবে। তাহলেই আপনি মাছের কলিজা খেতে পারবেন যা আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে এবং আরও অনেক উপকার করবে। চলুন এখন মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা
মাছের কলিজা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মাছের কলিজা অনেক উপকারী একটি খাবার। মাছের লিভার বা কলিজা লং-চেইন পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এর অন্যতম একটি ভালো উৎস। নিচে মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. উচ্চ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
মাছের কলিজায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এই ভিটামিন এ আপনার চোখের জন্য খুবই প্রয়োজন। মাসের কলিজা খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে। শুধু চোখের জন্য নয় মাছের কলিজার ভিটামিন এ আপনার ত্বক এর স্বাস্থ্য এবং ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে।
এমনকি কোষকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাছের কলিজায় থাকা ভিটামিন এ আপনার হার্ট, ফুসফুস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শরীরের অঙ্গকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এছাড়া মাছের কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি।
এই ভিটামিন ডি আপনার হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি শরীরে ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সুতরাং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাছের কলিজা খাওয়া উচিত।
২. হার্ট এবং মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
মাছের কলিজায় রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে, হার্ট এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপ স্বাভাবিক রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমনকি এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া রোধ করে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারে।
আরও পড়ুন মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
সুতরাং ত্বকের যত্নেও মাছের কলিজা আপনি খেতে পারেন। মাছের কলিজাতে রয়েছে ভিটামিন বি-১২ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নত করা সহ মস্তিষ্কের বিভিন্ন কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
৩. মাছের কলিজা প্রোটিনের ভালো উৎস
মাছের কলিজা খেলে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। যা আপনার শরীরকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ কে মেরামত করে এবং মাংসপেশির উন্নতি করতে সহায়তা করে। পেশির ব্যথা নিরাময়ে এটি চমৎকার কাজ করে।
৪. মাছের কলিজা আয়রন সমৃদ্ধ
আপনি কি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাহলে নিয়মিত মাছের কলিজা খেতে পারেন। কেননা মাছের কলিজায় প্রচুর পরিমাণ আয়রন পাওয়া যায়। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে, যা অ্যানিমিয়া তথা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। মাছের কলিজা খেলে আপনার ক্লান্তি ভাব, মাথা ঘোরা ইত্যাদি দূর হবে।
৫. ত্বক এবং চুলের জন্য ভালো
মাছের কলিজায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান যা আপনার ত্বক এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া মাছের কলিজায় পাওয়া যায় বায়োটিন এবং সেলেনিয়াম, এটি আপনার ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করতে পারে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মসৃণ রাখতে নিয়মিত মাছের কলিজা খেতে পারেন।
মাছের কলিজা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
মাছের কলিজাতে অনেক উপকারিতা থাকার পরেও কিছু ক্ষেত্রে এটি আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু মাছের কলিজায় অনেক ভিটামিন এ রয়েছে, সুতরাং অতিরিক্ত মাছের কলিজা খেলে হাইপারভিটামিনোসিস-এ হতে পারে। এটার মানে হলো ভিটামিন এ শরীরে বিষাক্ত মাত্রায় জমা হওয়া।
এটি হলে আপনার মাথা প্রচণ্ড ব্যথা করতে পারে, বমি বমি ভাব হতে পারে, এমনকি চর্মরোগ ও হাড়ের সমস্যাও হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলে হাড় দুর্বল হয়ে অস্টিওপোরোসিস এর মতো রোগ হতে পারে। তাই মাছের কলিজা পরিমাণ মতো খেতে হবে।
মাছের কলিজায় রয়েছে অতিরিক্ত চর্বি, এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে আপনার কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু কিছু অতিরিক্ত বড় মাছের কলিজায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর ধাতু যেমন লিড এবং মার্কারি সহ বিভিন্ন ভারী ধাতু পাওয়া যায়। যা আপনার লিভার এবং কিডনির সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে।
আরও পড়ুন হরিণের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা
আবার কিছু মানুষের মাছের কলিজা খেলে অ্যালার্জি-জনিত সমস্যা হতে পারে। এটির কারণে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি অনুভব হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত মাছের কলিজা খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে কেননা এতে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং চর্বি রয়েছে।
সতর্কতা
মাছের কলিজা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। দূষিত পানির মাছের কলিজা এড়িয়ে চলাই ভালো। গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের, আর যাদের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এর সমস্যা রয়েছে তাদেরকে মাছের কলিজা খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
মাছের কলিজা খাওয়া কি জায়েজ
মাছের কলিজা খাওয়া জায়েজ। যেসব মাছ খাওয়া জায়েজ সেসব মাছের করে দেখাও জায়েজ। সহিহ ইবনে মাজাহ শরীফের ৩২১৮ নাম্বার হাদিসে বলা হয়েছে যে আমাদের জন্য দুই প্রকারের রক্ত এবং দুই প্রকারের মৃত প্রাণী জায়েজ করা হয়েছে (অর্থাৎ খাওয়া হালাল করা হয়েছে)। তাহলো মাছ ও পঙ্গপাল এবং কলিজা ও প্লীহা।
তাই নিঃসন্দেহে আপনি হালাল প্রাণীর কলিজা খেতে পারেন। মাছের কলিজা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণে ভরা। তাই আমাদের নিয়ম মেনে এটি খাওয়া উচিত। এছাড়া যেসব মাছ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেসব মাছের কলিজাও খাওয়া নিষিদ্ধ।
জান্নাতের প্রথম খাবার কি মাছের কলিজা
আপনি কি জানেন জান্নাতীদের প্রথম কি খাবার দেওয়া হবে। জান্নাতে প্রবেশের পর সর্বপ্রথম জান্নাতীদের কে মাছের কলিজা খাওয়ানো হবে। হাদিস শরীফে এসেছে জান্নাতের প্রথম খাবার হলো তিমি মাছের কলিজা। এরপর জান্নাতবাসীরা পানীয় এবং বিভিন্ন ফলমূল ভক্ষণ করবে।
মাছের কলিজা ভুনা রেসিপি
মাছের কলিজা যেমন পুষ্টিকর তেমনই খেতেও অনেক ভালো। আপনারা সহজেই মাছের কলিজা ভুনা করে খেতে পারেন। নিচে একদম সংক্ষেপে সহজ পদ্ধতিতে মাছের কলিজা ভুনা রেসিপি দেওয়া হলো:
শুরুতে মাছের কলিজা পরিষ্কার করবেন নিবেন। এরপর আপনার প্রয়োজন মতো পেঁয়াজ কুচি, আদা এবং রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ এবং জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা লবণ এবং তেল একসাথে মাখিয়ে নিবেন। আপনি চাইলে এর সাথে ধনেপাতা কুচি এবং দুই থেকে তিনটি কাঁচা মরিচ যোগ করতে পারেন। এরপর এটি কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন।
এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করতে থাকুন। এরপর সামান্য পেঁয়াজ এবং মসলা বাটা তেলে ছেড়ে দিন, আর নাড়াচাড়া করতে থাকুন। এরপর আপনি চাইলে টমেটো যোগ করতে পারেন। মসলা কষানো হয়ে গেলে আপনার মাছের কলিজা কড়াইয়ে ছেড়ে দিন। তারপর কড়াই ঢেকে দিয়ে দশ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন।
তারপর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। মাছের কলিজা ভুনা ভাত দিয়ে অথবা পরোটা বা রুটির সাথে খেতে অনেক মজা লাগে।
FAQ: মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১. মাছের কলিজা কি পরিমাণ খাওয়া উচিত?
উত্তর: মাছের কলিজা অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়। পরিমিত পরিমাণে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাছের কলিজা খেতে পারেন। একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিবার ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম মাছের কলিজা খাওয়া উচিত। অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
২. কোন কোন মাছের কলিজা খাওয়া সবচেয়ে ভালো?
উত্তর: যে সকল মাছ পরিষ্কার পানিতে বসবাস করে এবং খাওয়া যায় সে সকল মাছের কলিজা খাওয়া যায়। এছাড়া তাজা মাছের কলিজা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের কলিজা গুলো সাধারণত অনেক বেশি পুষ্টিকর হয়ে থাকে।
৩. কাদের জন্য মাছের কলিজা খাওয়া বেশি উপকারী?
উত্তর: শিশু এবং বৃদ্ধ বয়সের মানুষদের জন্য মাছের কলিজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। মাছের কলিজার বিভিন্ন উপকারী উপাদান শিশুদের বিকাশ ঘটাতে এবং শারীরিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া বয়স্কদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে, হাড় কে মজবুত করতে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
আমাদের শেষকথা
মাছের কলিজা অনেকেই আমরা না খেয়ে ফেলে দেই। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে হয়তো আপনি আর এই ভুলটি করবেন না। কেননা এটি খেলে আপনি পাবেন অনেক উপকারিতা। তবে অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলোর দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাকে মাছের কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম।
আশা করি আপনি এসকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। অন্যের উপকারের জন্য এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন নিচের দেওয়া লিঙ্কের মাধ্যমে। আপনারা কোন বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে চান তা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url