ফেসবুক মার্কেটিং a to z - ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিংডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন? তাদের জন্য আমাদের এই প্রতিবেদনে রয়েছে ফেসবুক মার্কেটিং a to z এবং ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল টিপস সমূহ। আপনারা যদি এই পদ্ধতি গুলো ফলো করেন তাহলে এই প্ল্যাটফর্মে নিজেকে অনেক বেশি দক্ষ করে তুলতে পারবেন এবং দ্রুত মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবেন।
বর্তমান সময়ে মার্কেটিং সেক্টরে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি। ব্যক্তিগত ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি চালু রয়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ম্যানুয়াল মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে এখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে মার্কেটিং এর সকল কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক হবে।
আর এই ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতিকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিস্তৃতি আবার অনেক বেশি। প্রায় কয়েক ক্যাটাগরির ডিজিটাল মার্কেটিং রয়েছে। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অন্যতম একটি ধাপ বা পদ্ধতি হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। আর বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি দেওয়া হচ্ছে।
কারণ ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই মার্কেটিং করা সম্ভব এবং টার্গেটের অডিয়েন্সের কাছে আপনার তথ্য পৌঁছানো যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে এই ধরনের মার্কেটিং করার কৌশল ও অন্যান্য বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। যাতে করে ফেসবুক মার্কেটিং a to z এবং ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল জানতে পারেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং a to z
বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। এটি ওয়েব ভার্সন এবং মোবাইল অ্যাপে ব্যবহার করা যায়। এই ফেসবুকে টেক্সট মেসেজ থেকে শুরু করে অডিও এবং ভিডিও কল, ভিডিও আপলোড এবং বিভিন্ন ধরনের ইভেন্টের আয়োজন করা যায়।
ফেসবুকে প্রায় কয়েক বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। আর প্রতি মুহূর্তে কয়েক মিলিয়ন একটিভ ইউজার রয়েছে। যারা বিভিন্ন ধরনের মেসেজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করে থাকে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। যেমন বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক প্রোফাইলে কিংবা পেইজে এগুলো করা যায় খুব সহজে এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এছাড়াও রয়েছে এখানে মার্কেটিং বা শপিং ক্যাটাগরি। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং সেবা কেনাবেচা করা হয়ে থাকে। মার্কেটিং সেক্টরের জন্য রয়েছে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম।
আরও পড়ুন ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z
ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যেখানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে পণ্য বা সেবা প্রচার বা প্রসারণ করা হয়ে থাকে। এই প্রচার বা প্রসারণ হতে পারে সম্পূর্ণ ফ্রিতে কিংবা পেইড পদ্ধতিতে। যার উদ্দেশ্য সেবা বা পণ্য ক্রেতাদের নিকট পৌঁছানো এবং তা বিক্রি করা। চলুন এখন জেনে নিব ফেসবুক মার্কেটিং a to z সম্পর্কে।
ফেসবুক মার্কেটিং a to z
এখন আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করবেন এবং কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করবেন, অর্থাৎ ফেসবুক মার্কেটিং a to z পর্যন্ত। কারণ এ সকল পদ্ধতি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে তুলনামূলক ভাবে এ প্লাটফর্মে আরও বেশি নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবেন। আসুন তাহলে এ বিষয়গুলো আমরা দেখে নেই।
ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
এটি সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে একটি হচ্ছে ফ্রি পদ্ধতি এবং অন্যটি হচ্ছে পেইড পদ্ধতি, পেইড পদ্ধতিতে অর্থ দিয়ে মার্কেটিং করতে হয়।
কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করা যায়?
ফেসবুক মার্কেটিং তেমন কঠিন বিষয় নয়। আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে বিভিন্ন মেন্টরদের ভিডিও দেখে তারপর শিখতে পারেন। এছাড়াও আপনার নিকটস্থ আইটি ইনস্টিটিউট থেকে শিখতে পারেন। যাদের নিকটস্থ কোনো আইটি ইনস্টিটিউট নেই তারা অনলাইন কোর্স করতে পারেন।
তবে খুব সহজে শিখতে চাইলে আপনারা Youtube থেকে বিভিন্ন চ্যানেলের ভিডিও দেখে তারপর নিজে নিজে চেষ্টা করলে খুব সহজে শিখতে পারবেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং করার পূর্বে করণীয় এবং কৌশল
ফেসবুকে ফ্রি কিংবা প্রিমিয়াম যে ধরণই মার্কেটিং করেন না কেন তার পূর্বে কিছু করণীয় রয়েছে। কারণ যে ফেসবুক প্রোফাইল কিংবা পেজে মার্কেটিং করা হবে, সেখানে অবশ্যই আপনার প্রফাইল প্রফেশনাল ভাবে থাকতে হবে। কারণ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রচারের আগে এটার প্রফেশনাল লুক ফুটিয়ে তুলা জরুরী।
যাতে করে ক্রেতারা বুঝতে পারে আপনি এই বিজনেস নিয়ে যথেষ্ট সচেতন এবং আপনাদের প্রোডাক্ট বা সেবা কোয়ালিটি সম্পন্ন। যখন তারা বুঝতে পারবে এ বিষয়টি তখনই আপনার পণ্যটি তারা কিনতে আগ্রহী হবে। কেননা সকলেই চায় কোয়ালিটি সম্পন্ন প্রোডাক্ট। তাই প্রথমে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে।
ফেসবুক মার্কেটিং a to z সম্পর্কে জানার পর আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল
এখন কিছু গোপন এবং আধুনিক সকল টিউটোরিয়াল গুলো দেওয়া হচ্ছে আপনাদের সামনে। এগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনারা ফেসবুক মার্কেটিংয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন এবং অন্যদের তুলনায় এগিয়ে যেতে পারবেন।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে
যারা সহজ পদ্ধতিতে মার্কেটিং করতে চান তারা ফেসবুক পোস্ট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে কিংবা ব্যবসায়িক প্রোফাইলে কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখে এর মাধ্যমে মার্কেটিং করা যায়। এজন্য প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে হবে এবং সুন্দর করে ছবি এটাচ করতে হবে। অবশ্যই এ লেখাগুলো প্রফেশনাল আকারে হতে হবে এবং ছবিগুলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হতে হবে।
রিলস ভিডিও এর মাধ্যমে
ফেসবুকে অনেক আগে থেকেই শর্ট ভিডিও আপলোড করা যায় যাকে বলা হয় রিলস ভিডিও। আর এই সকল ভিডিও ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি দেখে। আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাহলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। ফ্রিতে যদি ফেসবুক মার্কেটিং করতে চান তাহলে এটি হচ্ছে আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা উপায়।
আরও পড়ুন ফেসবুক থেকে প্রতিদিন 500 টাকা আয়
কারণ ভিডিও গুলো যদি প্রফেশনাল ভাবে বানানো হয় এবং এর রিচ বৃদ্ধি করা হয় তাহলে প্রতিটি ভিডিওতে ভিউ হয়ে থাকে কয়েক লক্ষ পর্যন্ত বা তারও বেশি। তাই আপনারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। বর্তমানে এই মার্কেটিং পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
ভিডিওর মাধ্যমে
ফেসবুক পেজ কিংবা আপনার নিজের প্রোফাইলের মাধ্যমে ভিডিও মার্কেটিং করতে পারেন। তবে ভিডিওর জন্য সবচেয়ে সেরা হচ্ছে ফেসবুক পেজ। এখানে অবশ্যই ভিডিওটি ঐ পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে তৈরি করতে হবে প্রফেশনাল ভাবে। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হলো নিজে ভিডিও তৈরি করতে না পারলে ভিডিও এডিটরের মাধ্যমে করতে হয়।
যার কারণে অতিরিক্ত খরচ হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে ক্রেতাদেরকে খুব সহজে জানানো সম্ভব হয়। যার ফলে ক্রেতারা পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়ে থাকেন।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে
ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল টিপস আলোচনায় অন্যতম একটি হচ্ছে ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং। এ পদ্ধতিতে নিজের গ্রুপ না থাকলেও অন্যদের গ্রুপ ভাড়া নিয়ে এখানে মার্কেটিং করা যায়। ফেসবুক গ্রুপগুলো ভাড়া নেওয়া যায় খুব অল্প দামে। দেখা গেছে বাংলাদেশে এক মিলিয়ন সদস্যের গ্রুপ এক মাসের জন্য ভাড়া নেওয়া সম্ভব মাত্র এক থেকে দুই হাজার টাকায়। যদিও এটি পেইড মার্কেটিং।
তবে টাকার পরিমাণ খুবই অল্প। এরকম কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করলে পণ্যের মার্কেটিং অনেক দ্রুত হয় এবং অল্প পরিশ্রমে বেশি অডিয়েন্স এর কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব। দিন দিন এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে। আর যাদের অভিজ্ঞতা কম তারাও এই কাজটি করতে পারেন সহজে।
পেইড মার্কেটিং
যাদের বাজেট বেশি বা টাকা রয়েছে তারা এই ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এই ধরনের মার্কেটিং ফেসবুকে অফিশিয়াল ভাবে করা হয়। আর সবচেয়ে ইউনিক ভাবে এ ধরনের মার্কেটিং করা যায়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট রিচ কিংবা ফলোয়ার বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দরকার হয়। তবে পণ্যের মার্কেটিং অর্গানিকভাবে হয়ে থাকে।
এই পদ্ধতিতে আপনি যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে চাচ্ছেন, এরকম পণ্য কিনতে বা আগ্রহী ক্রেতাদের সামনে আপনার পোস্ট অটোমেটিক চলে যাবে। শুধু তাই নয় আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল কিংবা বয়সের মানুষদের টার্গেট করে মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এখানে সহজেই এটি করা যায়।
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং পদ্ধতিতে সেবা বিক্রির কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা হয়ে থাকে। আর বর্তমানে ছোট বড় সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান এই ধরনের মার্কেটিং করে আসছে। কেননা মাত্র ১ ডলার দিয়েই এই ধরনের মার্কেটিং করা সম্ভব।
ফেসবুক ক্যাম্পেইন তৈরি
ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারকারী রয়েছে। এ সকল ব্যবহারকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন করতে পারেন। ফ্রি ক্যাম্পেইন এর তুলনায় পেইড ক্যাম্পেইনে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। এই সকল ক্যাম্পেইন তৈরি করে মার্কেটিং করতে পারবেন অনেক ভালোভাবে।
অফারের মাধ্যমে
নিজের ফেসবুক প্রোফাইল কিংবা পেজ, ভিডিও কিংবা লিখিত কনটেন্ট এর মাধ্যম ছাড়াও অফারের মাধ্যমে মার্কেটিং-ও বর্তমানে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়টি বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন বিভিন্ন ধরনের গিফট অফার করে সেটি নিয়ে ক্যাম্পেইন তৈরি করলে দ্রুত মার্কেটিং হয়ে যায়।
যেমন অফার পেতে হলে ফেসবুক পেইজে লাইক দেওয়া কিংবা পোস্ট শেয়ার করা ইত্যাদি। আর এর মাধ্যমে খুব অল্প অর্থে বিশাল বিস্তৃতি লাভ করা যায় এবং দ্রুত সকল ক্যাটাগরির অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। তবে এখানে নির্দিষ্ট অডিয়েন্সের কাছে আপনার সেবা পৌঁছানো তুলনামূলকভাবে বেশ জটিল।
ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
এ ধরনের মার্কেটিং এর বড় সুবিধা হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যায়। এতে করে মার্কেটিংয়ের চার্জ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার কিংবা সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য নিয়োগ-কৃত ওয়ার্কারদের টাকা পেমেন্ট করা লাগেনা। যার কারণে ব্যাপক অর্থ সাশ্রয় হয়ে থাকে।
আর সবথেকে বড় যে অসুবিধাটি সৃষ্টি হয় সেটি হচ্ছে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে আপনার তথ্য পৌঁছানো যায় না সহজেই। যা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে, আপনাকে মানুষের মনে আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাতে হবে।
FAQS প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
১. ফেসবুক মার্কেটিং কি বিনামূল্যে করা যায়?
উত্তর: অর্গানিক কন্টেন্ট পাবলিশ করুন এবং গ্রুপ মার্কেটিং করার দ্বারা খরচ ছাড়াই প্রচার-প্রচারণা চালানো যায়। কিন্তু পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়।
২. ফেসবুক মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
উত্তর: ফেসবুক থেকে ইনকামের কোনো সীমা নেই। আপনার পরিকল্পনা এবং দক্ষতা অনুযায়ী আপনার ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করবে। তবে উদাহরণস্বরূপ, ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসা করলে প্রতি মাসে ২০-৫০ হাজার বা তারও বেশি ইনকাম হতে পারে।
ক্লায়েন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করলে প্রতি মাসে ৫০-১০০০ ডলারেরও বেশি আয় সম্ভব। ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থেকে প্রাথমিক অবস্থায় ১০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম হতে পারে। এছাড়া কোর্স বিক্রি এবং ই-কমার্স স্টোর থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।
৩. ফেসবুকে কত ভিউতে কত টাকা ইনকাম হয়?
উত্তর: ফেসবুক ভিডিও থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার পেইজে মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে। সাধারণত ১০০০ ভিউতে ১ ডলার ইনকাম হয়। তবে ভিডিওর মান এবং ভিজিটর এর অবস্থানের উপর নির্ভর করে ইনকামের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
সর্বশেষ: ফেসবুক মার্কেটিং a to z - ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল
আশা করা যাচ্ছে এই প্রতিবেদন থেকে আপনারা ফেসবুক মার্কেটিং a to z এবং ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল টিপস সম্পর্কে পুরো তথ্য পেয়েছেন। অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি কাজ করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল গুলো আয়ত্তে আনতে হবে যদি জীবনে ফেসবুক মার্কেটিং করে সফল হতে চান।
প্রিয় পাঠক, ফেসবুক মার্কেট সংক্রান্ত আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে বা কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে যোগাযোগ ঠিকানায় অবশ্যই জানিয়ে দিবেন। আমরা আপনাকে আপডেট তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। আর হ্যাঁ, সৎ ভাবে মার্কেটিং করুন এবং অসৎকে এড়িয়ে চলুন। ধন্যবাদ।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url