ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং A To Zবর্তমানে অনলাইন জগতে মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। তাই আজকে ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই সেক্টরে প্রচুর কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে একটি অন্যতম অধ্যায় হিসেবে কাজ করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z
অনেকেই ব্যক্তিগত কাজ থেকে বড় বড় কোম্পানি পর্যন্ত এখন অনলাইনে মার্কেটিং করে থাকেন। প্রথমে জানি মার্কেটিং বলতে কি বুঝানো হয়। মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোশন করা। সেটি হতে পারে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে। মূলত কোনো বিষয়বস্তু প্রমোশন করা অথবা টার্গেটেট অডিয়েন্সকে এ বিষয়ে অবগত করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

ভূমিকা

সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে যাকে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং। এ ধরনের মার্কেটিং এর ডিমান্ড ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে, অফলাইনের চেয়ে প্রায় কয়েক গুণ বেশি অনলাইন মার্কেটিংয়ের বিস্তার ঘটবে।

আর অনলাইন এনালাইসিসরা জানাচ্ছেন আজ থেকে কয়েক বছর পরে সকল বিষয়গুলো অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে সংঘটিত হবে। সেই কারণে অফলাইনের মার্কেটিং অনেকাংশই কমে যাবে। চলুন এখন আমরা মূল আলোচনায় চলে যাব।

ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

প্রথমে আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং কি। এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যা অনলাইনে বা ডিজিটাল প্লাটফর্মে করা হয়ে থাকে। আর একেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। সেটি হতে পারে কোনো ধরনের পণ্য কিংবা সার্ভিস অথবা অন্যান্য বিষয়বস্তু। মূলত এটি হচ্ছে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি।

তবে এখন কথা হচ্ছে এই ফ্রিল্যান্সিং টাইপ ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কি বুঝানো হয়। সে বিষয়টি এখন জানবো আমরা।

তবে আরেকটি বিষয় জানবো তার আগে। সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কি। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এক ধরনের মুক্ত পেশা। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে মুক্তভাবে কাজ করার নামই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। হতে পারে সেটি অনলাইন কিংবা অফলাইন। কিন্তু আমাদের দেশের অনেকে মনে করে ফ্রিল্যান্সিং বলতে শুধুমাত্র অনলাইন প্লাটফর্মকে বোঝানো হয়।
কিন্তু সেটি যে কোনো প্লাটফর্মে হতে পারে। এখন ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z এর পাশাপাশি এখন ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি তার মূল বিষয় বিষয় সম্পর্কে বলব। এটি হচ্ছে মুক্ত ভাবে অনলাইন জগতে কিংবা অফলাইন মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করার পদ্ধতি। হতে পারে সেটি যেকোনো ক্যাটাগরিতে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে।

ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

ডিজিটাল মার্কেটিং এ রয়েছে বিশাল পরিসর। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ও ধাপ রয়েছে। এখন আমরা এই সকল বিষয়গুলো প্রথমে জানব। ডিজিটাল মার্কেটিং a to z সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে হলে অবশ্যই এটি জানা জরুরী। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত সকল কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি - ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার তা উল্লেখ করা মুশকিল। কেননা এই কাজের বিস্তার অনেক বেশি। শুধু তাই নয় এর বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তবে এর বেশ কিছু ধাপ অর্থাৎ প্রকার নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো বিস্তারিত সকল তথ্য সহ।

কনটেন্ট মার্কেটিং: এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রিলেটেড কনটেন্ট তৈরি করে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো যায়। যাতে করে ঐ কনটেন্টের মাধ্যমে ক্রেতা বা সার্ভিস গ্রহণকারী ঐ সার্ভিস সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পান। আর একই সঙ্গে তার প্রতি আকৃষ্ট হন। হতে পারে সেটি ভিডিও কনটেন্ট, ব্লগ পোস্ট কিংবা অন্যান্য কনটেন্ট।

মূলত কনটেন্ট এর মাধ্যমে অডিয়েন্স এর কাছে সার্ভিস পৌঁছনো কিংবা মার্কেটিং করাকেই কনটেন্ট মার্কেটিং বলে। আর বর্তমানে এই ধরনের মার্কেটিংয়ের চাহিদা বেশি। এতে করে ক্রেতাদের পণ্যের প্রতি কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকে বেশি তাই এর প্রতি আস্থাও বৃদ্ধি পায়।

এসইও: এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। মূলত সার্চ ইঞ্জিনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রমোশন করাকে এসইও মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। যেমন: Google, Bing, Yahoo, Ask এর মতো ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন প্লাটফর্মে কনটেন্ট এর মাধ্যমে র‍্যাংক করিয়ে মার্কেটিং করা কে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

এর মাধ্যমে যে সকল অডিয়েন্স বা দর্শকদের কাছে সেবা খুব সহজে পৌঁছানো হয়ে থাকে। কারণ ঐ সকল দর্শক ওই রিলেটেড কিওয়ার্ড কিংবা পণ্য নিয়ে সার্চ করেছে বলেই আপনার রিলেটেড কনটেন্টে সে সহজে ভিজিট করেছে। আর এই ধরনের পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজে আপনার টার্গেট করা অডিয়েন্স এর কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z এর মধ্যে এটি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।

এজন্য অবশ্যই ওয়েবসাইট সম্পর্কে, কিওয়ার্ড রিসার্চ, কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কেও ভালো ধারণা এবং দক্ষতা থাকতে হবে। আর এই সকল কাজের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে বেশি। ধরতে গেলে বর্তমানে এই অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান কাজ হচ্ছে SEO।

ইমেইল মার্কেটিং: এই মার্কেটিং পদ্ধতির সাহায্যে ক্লায়েন্টদের কাছে সরাসরি প্রোডাক্ট বা সেবা মার্কেটিং করা সম্ভব। মূলত এ পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব দ্রুত ক্লায়েন্টের কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়। যেমন আপনি যে পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন, সে অনুসারে কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির ইমেইল সংগ্রহ করতে হবে।

সংগ্রহকৃত ইমেইলে একসঙ্গে আপনারা আপনাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ইমেইলের ফরমেট তৈরি করতে হবে। এই ফরমেটটি হবে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে। আর অবশ্যই এই ফরমেট প্রফেশনাল হতে হবে। যাতে করে গ্রাহক বা ব্যক্তি বুঝতে পারেন আপনি তাদেরকে কোন ধরনের সার্ভিস দিচ্ছেন বা যেসব প্রোডাক্ট দিচ্ছেন তার  সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা।

একই সঙ্গে আপনি এই সকল ইমেইল দিয়ে ওই রিলেটেড প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অন্য ক্লায়েন্টের কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। এই ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি খুব সহজে শেখা যায় এবং দ্রুত কাজ পাওয়া সম্ভব।

বিলবোর্ড ডিসপ্লে মার্কেটিং: অনেকে মনে করে ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু অনলাইনে রিলেটেড হয়ে থাকে। কিন্তু না এটি অফলাইনেও হয়ে থাকে। যেমন জনবহুল অঞ্চলে বিশাল বিলবোর্ডের মতো ডিসপ্লেতে পণ্যের প্রকাশনী করাও এক ধরনের মার্কেটিং।

তবে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে জন বহুল জায়গা নির্বাচন করতে হবে। তবে এখানে মার্কেটের চাহিদার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এক গবেষণায় বলা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মোট ৭০% অর্থাৎ বিশাল ট্রাফিকের সমাগম রয়েছে এ সকল প্লাটফর্মে।

যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল‍্যাটফর্ম যেমন Facebook, Twitter YouTube, Instagram এ প্রমোশন করা হয়, এই পদ্ধতিকেই বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। তবে এখানে একজন ডিজিটাল মার্কেটার ফ্রিতেই মার্কেটিং করতে পারবে, আবার পেইড মার্কেটিং করতে পারবে। তাই যারা এ সেক্টরে কাজ করবে অবশ্যই তাদের এই দুই ধরনের মার্কেটিং করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

তবে বর্তমানে পেইড মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রিতে মার্কেটিং করতে গেলে অবশ্যই আপনার প্রোফাইলে প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হবে এবং রিচ থাকতে হবে। তাহলে এ প্লাটফর্মে ফ্রিতে কাজ করতে পারবেন। আর সবচেয়ে দ্রুত ট্রাফিক এবং অডিয়েন্স পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই। এর ফলে আপনি অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভবান হতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই পদ্ধতিতে একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করানোর জন্য কমিশন ভিত্তিক সার্ভিস নিয়ে থাকে। যেমন তাদের নির্দিষ্ট মূল্যে প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারলে সার্ভিস দাতাকে ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট কিংবা আরও বেশি কমিশন দিয়ে থাকে। এভাবে প্রচুর লোক তাদের এই সার্ভিস নিয়ে কাজ করে থাকে আর অধিক লাভবান হয়। বর্তমানে এটি চলছে অনেক বেশি।

Ad Campaign: যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বিশেষ করে জব সেক্টরে। তাদের জন্য Ad Campaign সম্পর্কে জানা দরকার। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং ডিজিটাল A To Z পর্যন্ত কাজ করে থাকে এই ধরনের এড ক্যাম্পেইন গুলো। সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলোতে এড ক্যাম্পেইন করতে হয়। এ সকল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে খুব সহজেই টার্গেট করা অডিয়েন্স এর কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব।

শুধু তাই নয় এখানে ফিল্টারিং করে আপনার কাস্টমারের বয়স, স্থান, এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। যে কারণে স্বল্প খরচে একদম টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে মার্কেটিং করা সম্ভব হয়।

আর বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে অর্থাৎ প্রায় সকল মার্কেটিং সেক্টরে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ মাত্র কয়েক ডলার ব্যবহার করে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের কাছে বিজ্ঞাপন তুলে ধরা যায়। এজন্য প্রায় সকল ডিজিটাল মার্কেটারের এই রিলেটেড কাজ জানতে হয়।

উপরের সকল পদ্ধতিগুলোতে বর্তমানে এই ধরনের মার্কেটিং করা হয়। আর এই পদ্ধতির অনেক বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে আর ভবিষ্যতেও বৃদ্ধি পাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন

এখন অনেকেই অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ আয় করে থাকে। আর ইনকাম করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ, তাই এখন আপনাকে সময় নষ্ট না করে কাজে লাগানো উচিত। উপরে আমরা বলেছি বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতেও অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনারা এ সকল প্ল‍্যাটফর্মে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

অনলাইনে যদি ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস গুলোতে যুক্ত হতে হবে। যেমন রয়েছে Upwork, Fiverr, LinkedIn, People Per Hour এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম। এ সকল প্ল‍্যাটফর্মে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা অনুসারে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্টে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
তাহলেই এখান থেকে কাজ পাবেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনার প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজানো থাকতে হবে। যাতে করে ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখে বুঝতে পারেন আপনি কি কি কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন এবং কতটা পারদর্শী।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জব পাওয়ার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং করার পাশাপাশি আপনারা যদি ম্যানুয়াল জব করতে চান তাহলে সেটিও পাবেন। এই প্ল‍্যাটফর্মে রয়েছে প্রচুর জব সেক্টরের ভ্যাকান্সি। এখন বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক জন ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিয়ে থাকে।

এজন্য আপনারা নিজেকে দক্ষ করে এ প্ল‍্যাটফর্মে চাকরি করতে পারেন। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে এই ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো পেয়ে থাকবেন।
  • বিডি জবস।
  • ফেসবুক।
  • লিংক‌ডইন।
  • Indeed.
বিডি জব সাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে আপনি এই চাকরি গুলো খুঁজে পাবেন। হতে পারে সেটি Work From Home Job. অথবা সেটি হতে পারে অফিস‌ ভিত্তিক। এ প্ল‍্যাটফর্মে প্রচুর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য। তবে এ বিষয়ে আপনাদের অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z পর্যন্ত জানতে হবে।

কারণ আপনারা যে কোনো প্ল্যাটফর্মেই কাজ করেন আর না কেন, অবশ্যই আপনাদের কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। ফেসবুক গ্রুপে এবং লিংক‌ডইনে এই ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো প্রকাশিত হয় করা হয়। সেখান থেকে দেখে আবেদন করে সরাসরি জব নিতে পারেন।

তবে লিংক‌ডইন এ সহজে কাজ পাওয়া সম্ভব। কারণ এখানে সরাসরি ম্যানেজার অথবা বড় বড় কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কাজ নেওয়া সম্ভব হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়

উপরে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি সে বিষয় সম্পর্কে আশা করি পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এখন অনেকে আবার প্রশ্ন করে থাকেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। তার একটি ধারণা দেওয়া হবে এখন।

যদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করেন তাহলে আপনার আয় হবে ৩০০ ডলার থেকে শুরু করে প্রায় কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত। সেটি নির্ভর করবে নানা ধরনের প্রজেক্টের উপর। আবার যে কোনো প্ল‍্যাটফর্মে মার্কেটিং সেক্টরে জব করলে মিনিমাম সেলারি দেওয়া হয় ১৫০০০ টাকা।
আর যদি আপনি অনেক পারদর্শী হন এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার বেতন তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে এবং বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকার অধিক হবে। মূলত দক্ষতা এবং প্রজেক্ট এর উপর ইনকাম নির্ভর করে। অনেকেই আছেন যারা লক্ষ টাকার উপরে আয় করে নিচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল‍্যাটফর্ম গুলো থেকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স - ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

অনেকেই আছেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের অবশ্যই কোথাও কোর্স করা প্রয়োজন। ডিজিটাল মার্কেটিং a to z পর্যন্ত সকল কিছু শেখা এবং দক্ষ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এখন অনেকের প্রশ্ন থাকে কিভাবে এই কাজগুলো শেখা যায়। চলুন এখন আমরা বেশ কিছু পদ্ধতি এবং সিস্টেমগুলো দেখে নেই।

Digital Marketing Online Course: যাদের আশেপাশে কিংবা নিকটস্থ কোনো দক্ষ মেন্টর নেই, তারা অনলাইন থেকে কোর্স করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা এই ধরনের কোর্স করা হয়।

তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদেরকে পেমেন্ট করতে হবে। এ সকল কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানবেন এবং কোর্সের সকল দিকগুলো বিবেচনা করেই তারপর ভর্তি হবেন।

ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স: ইউটিউবে অনেক ফ্রি কোর্স পাওয়া যায়। অনেক দক্ষ মেন্টররা ফ্রিতে এ সকল এডভান্স লেভেলের কোর্স করিয়ে থাকেন। তাই আপনারা youtube এ বেশ কয়েকজন মেন্টরকে ফলো করুন তাহলে ফ্রিতেই শিখতে পারবেন।

যারা ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল‍্যাটফর্মে কাজ করতে চাচ্ছেন, তারা অবশ্যই প্রথমে youtube থেকে ফ্রি কোর্সগুলো করবেন। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা পাবেন। এরপর আস্তে আস্তে অন্য প্ল‍্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে শিখে নিতে পারেন।

এছাড়াও ফিজিক্যালি কোনো ইনস্টিটিউট থেকে এই কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে পারেন। কারণ আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z পর্যন্ত শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের শরণাপন্ন হতে হবে।

ক্যারিয়ার হিসেবে Digital Marketing কেমন?

আমাদের আর্টিকেলটির উপরে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেখানে আশা করি এ সম্পর্কে কিছু ধারণা হয়েছে আপনাদের। কথাটি হচ্ছে অনলাইন জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিস্তার অনেক বেশি, আর প্রত্যেক বছর কয়েকগুণ বেশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান সময়ে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা অনেক বেশি তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু সেই তুলনায় মার্কেটে এমন দক্ষ লোক খুব কমই রয়েছে। বিশেষ করে অনলাইনে তাদের চাহিদা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুধু তাই নয় বিভিন্ন কোম্পানিতে জব ক্যারিয়ারও গড়ার সুযোগ আছে এখন। আপনি বিডি জবস কিংবা ফেসবুকসহ বিভিন্ন জব পোর্টাল সাইট গুলোতে খেয়াল রাখবেন। অধিকাংশ সার্কুলারগুলো হয়ে থাকে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারদের নিয়ে। আপনি নিশ্চিন্তে এখানে ক্যারিয়ার করতে পারেন।

ভবিষ্যতেও আপনার দক্ষতার পাশাপাশি চাহিদা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। যারা এখন স্টুডেন্ট রয়েছেন কিংবা চাকরির জন্য নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই আজ থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল‍্যাটফর্ম গুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করুন এবং দক্ষতা অর্জন করতে থাকুন।

তবে আপনি যেই প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন না কেন, অবশ্যই আপনাকে সে বিষয়ে প্রথমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর ফোকাস এর পাশাপাশি এই রিলেটেড অন্যান্য কাজগুলোর ধারণা থাকতে হবে। তাহলে তুলনামূলকভাবে এই কাজের প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।

শেষ কথা

আশা করা যাচ্ছে এখান থেকে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তবে যারা ফুলটাইম কাজ করে ক্যারিয়ার গড়তে চান তারা অনলাইন এবং অফলাইন দুই প্ল‍্যাটফর্মেই কাজ করার চেষ্টা করবেন। অনলাইনে আপনারা যেকোনো জায়গায় বসে থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করতে পারবেন আর পাশাপাশি পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

আর যারা অফলাইনে করবেন তারা অবশ্যই নিজেকে আরও দক্ষ করতে থাকবেন। কেননা এ প্ল‍্যাটফর্মের বিস্তার অনেক বেশি। আর যতদিন যাবে ততোই এই প্ল‍্যাটফর্মে যুক্ত হবে বিভিন্ন ধরনের নতুন পদ্ধতি। নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে এ সকল নতুন নতুন নিয়মের সঙ্গে। তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন এবং অভিজ্ঞ হবেন। সম্মানিত পাঠক, এ ছিল ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z সম্পর্কে। আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং আপনার কোনো মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url