ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং A To Zবর্তমানে অনলাইন জগতে মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z নিয়ে আলোচনা করা হবে। কারণ এ সেক্টরে প্রচুর কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার ক্যারিয়ার গড়তে একটি অন্যতম অধ্যায় হিসেবে কাজ করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z
ব্যক্তিগত কাজ থেকে বড় বড় কোম্পানি পর্যন্ত এখন অনলাইনে মার্কেটিং করে থাকেন। প্রথমে জানি মার্কেটিং বলতে বোঝানো কি বুঝানো হয়। মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোশন করা। সেটি হতে পারে অনলাইন কিংবা অফলাইন। মূলত কোন বিষয়বস্তু প্রমোশন করা অথবা টার্গেটেট অডিয়েন্সকে এ বিষয়ে অবগত করাই হচ্ছে মার্কেটিং।

ভূমিকা

সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে যাকে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং। এ ধরনের মার্কেটিং এর ডিমান্ড ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে সাধারণের চেয়ে প্রায় কয়েক গুণ বেশি অনলাইন মার্কেটিংয়ের বিস্তার ঘটবে।

আর অনলাইন এনালাইসিসরা জানাচ্ছেন আজ থেকে কয়েক বছর পরে সকল বিষয়গুলোই অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে। সেই কারণে অফলাইনের মার্কেটিং অনেকাংশ কমে যাবে। এখন আমরা মূল আলোচনায় চলে যাব।

ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

প্রথমে আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং কি। এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যা অনলাইনে বা ডিজিটাল প্লাটফর্মে করা হয়ে থাকে। আর একেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। সেটি হতে পারে কোন ধরনের পণ্য কিংবা সার্ভিস অথবা অন্যান্য বিষয়বস্তু। মূলত হচ্ছে এই মার্কেটিং স্ট্রাটেজি।

তবে এখন কথা হচ্ছে এই ফ্রিল্যান্সিং টাইপ ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কি বুঝাlনো হয়। সে বিষয়টি এখন জানবো আমরা।

তবে আরেকটি বিষয় জানবো তার আগে। সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কি। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এক ধরনের মুক্ত পেশা। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে মুক্তভাবে কাজ করার নামে হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। হতে পারে সেটি অনলাইন কিংবা অফলাইন যেকোনো। কিন্তু আমাদের দেশের অনেকে মনে করে ফ্রিল্যান্সিং বলতে শুধুমাত্র অনলাইন প্লাটফর্মকে বোঝানো হয়।
কিন্তু সেটি যে কোন প্লাটফর্মে হতে পারে। আর এখন ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z এর পাশাপাশি এখন ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি তার মূল বিষয় চলে যাচ্ছে। এটি হচ্ছে মুক্ত ভাবে অনলাইন জগতে কিংবা অফলাইন মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করার পদ্ধতি। হতে পারে সেটি যেকোনো ক্যাটাগরিতে।

ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

ডিজিটাল মার্কেটিং এ রয়েছে বিশাল পরিসর। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ও ধাপ রয়েছে। এখন আমরা এই সকল বিষয়গুলো প্রথমে জানব। এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে হলে অবশ্যই এটি জানা জরুরী।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি - ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার তা উল্লেখ করা মুশকিল। কেননা এই কাজের বিস্তার অনেক বেশি। শুধু তাই নয় এর বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তবে এর বেশি কিছু ধাপ অর্থাৎ প্রকার নিয়ে নিচে আলোচনা করা হচ্ছে বিস্তারিত সকল তথ্য সহ।

কনটেন্ট মার্কেটিং: এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রিলেটেড কনটেন্ট তৈরি করে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো। যাতে করে ঐ কনটেন্টের মাধ্যমে ক্রেতা বা সার্ভিস গ্রহণকারী ঐ সার্ভিস সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পান আর একই সঙ্গে তার প্রতি আকৃষ্ট হোক‌। হতে পারে সেটি ভিডিও কনটেন্ট, ব্লগ পোস্ট কিংবা অন্যান্য কনটেন্ট।

মূলত কনটেন্ট এর মাধ্যমে অডিয়েন্স এর কাছে সার্ভিস কিংবা মার্কেটিং করাকেই কনটেন্ট মার্কেটিং বলে। আর বর্তমানে এই ধরনের চাহিদা বেশি। এতে করে ক্রেতাদের পণ্যের প্রতি কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকে বেশি তাই এর প্রতি আস্থাও বৃদ্ধি পায়।

এসইও: এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। মূলত সার্চ ইঞ্জিনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রমোশন করাকে এসইও মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। যেমন: Google, Bing, Yahoo, Ask এর মতো ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন প্লাটফর্মে কনটেন্ট এর মাধ্যমে র‍্যাংক করিয়ে মার্কেটিং করা কে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

এর মাধ্যমে যে সকল অডিয়েন্স বা দর্শকদের কাছে পৌঁছানো যায় সেগুলো অর্গানিক হয়ে থাকে। কারণ ঐ সকল দর্শক ওই রিলেটেড কিওয়ার্ড কিংবা পণ্য নিয়ে সার্চ করেছে বলেই আপনার রিলেটেড কনটেন্টে সে ভিজিট করেছে। আর এই ধরনের পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজে টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z এর মধ্যে এটি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।

এজন্য অবশ্যই ওয়েবসাইট, কিওয়ার্ড রিসার্চ, কনটেন্ট মার্কেটিং এর ধারণা থাকতে হবে। আর এই সকল কাজের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে বেশি সবচেয়ে। ধরতে গেলে বর্তমানে এই অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে মূল্যবান কাজ হচ্ছে এটি।

ইমেইল মার্কেটিং: এই মার্কেটিং পদ্ধতির সাহায্যে ক্লায়েন্টদের কাছে সরাসরি প্রোডাক্ট মার্কেটিং করা সম্ভব। মূলত এ পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব দ্রুত ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। যেমন আপনি যে পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন। সে অনুসারে কোন কোম্পানি বা ব্যক্তির ইমেইল সংগ্রহ করতে হবে।

সংগ্রহকৃত ইমেইলে একসঙ্গে আপনারা আপনাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ইমেইলের ফরমেট তৈরি করতে হবে। এই ফরমেটটি হবে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে। আর অবশ্যই এই ফরমেট প্রফেশনাল হতে হবে। যাতে করে গ্রাহক বা ব্যক্তি বুঝতে পারেন আপনি তাদেরকে কোন ধরনের সার্ভিস দিচ্ছেন বা যেসব প্রোডাক্ট দিচ্ছেন তার  সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা।

একই সঙ্গে আপনি এই সকল ইমেইল দিয়ে ওই রিলেটেড প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অন্য ক্লায়েন্টের কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। এই ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি খুব সহজে শেখা যায় এবং দ্রুত কাজ পাওয়া সম্ভব।

বিলবোর্ড ডিসপ্লে মার্কেটিং: অনেকে মনে করে ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু অনলাইনে রিলেটেড হয়ে থাকে। কিন্তু না এটি অফলাইনও হয়ে থাকে। যেমন জনবহুল অঞ্চলে বিশাল বিলবোর্ডের মতো ডিসপ্লেতে পণ্যের প্রকাশনী করাও এক ধরনের মার্কেটিং।

তবে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে জন বহুল জায়গা নির্বাচন করতে হবে। তবে এখানে মার্কেটের চাহিদার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এক গবেষণায় বলা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মোট ৭০%। অর্থাৎ বিশাল ট্রাফিকের সমাগম রয়েছে এ সকল প্লাটফর্মে।

যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook, Twitter YouTube, Instagram এ প্রমোশন করা হয় তাকে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। তবে এখানে একজন ডিজিটাল মার্কেট আর ফ্রিতেই মার্কেটিং করতে পারবে আবার পেইড মার্কেটিং করতে পারবে। তাই যারা এ সেক্টরে কাজ করবে অবশ্যই তাদের এই দুই ধরনের মার্কেটিং এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

তবে বর্তমানে পেইড মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রিতে মার্কেটিং করতে গেলে অবশ্যই আপনার প্রোফাইলে প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হবে এবং রিচ থাকা লাগবে। তাহলে এ প্লাটফর্মে ফ্রিতে করতে পারবেন। আর সবচেয়ে দ্রুত ট্রাফিক এবং অডিয়েন্স পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই পদ্ধতি একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করানোর জন্য কমিশন ভিত্তিক সার্ভিস নিয়ে থাকে। যেমন তাদের নির্দিষ্ট মূল্যে প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারলে সার্ভিস দাতাকে ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট কিংবা আরও বেশি কমিশন। এভাবে প্রচুর লোক তাদের এই সার্ভিস দিয়ে থাকে আর এভাবেই প্রমোশন হয়ে থাকে। বর্তমানে এটি চলছে অনেক বেশি।

Ad Campaign: যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বিশেষ করে জব সেক্টরে। তাদের এটি নিয়ে জানা দরকার। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং ডিজিটাল A To Z এর কাজ করে থাকে এই ধরনের এড ক্যাম্পেইন গুলো। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলোতে এড ক্যাম্পেইন করতে হয়। এ সকল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে খুব সহজেই টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো সম্ভব।

শুধু তাই নয় এখানে ফিল্টারিং করে আপনার কাস্টমারের বয়স, স্থান, এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। যে কারণে স্বল্প খরচে একদম টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে মার্কেটিং করা সম্ভব হয়।

আর বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে অর্থাৎ প্রায় সকল মার্কেটিং সেক্টরে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ মাত্র কয়েক ডলার ব্যবহার করে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের কাছে এই বিজ্ঞাপন তুলে ধরা যায়। এজন্য সকল ডিজিটাল মার্কেটের এ রিলেটেড কাজ জানা থাকে।

সাধারণত উপরের এই পদ্ধতিগুলোতেই বর্তমানে এই ধরনের মার্কেটিং করা হয়ে। আর এই ধরনের পদ্ধতি বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে আর ভবিষ্যতেও বৃদ্ধি পাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন

এখন অনেকেই অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ আয় করে থাকে। আর এটি সুযোগ এখন আপনার এই সময়কে কাজে লাগানোর জন্য। উপরে আমরা বলেছি বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতেও অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনারা এ সকল প্লাটফর্মে ক্যারিয়ার করতে পারেন।

অনলাইনে যদি ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস গুলোতে যুক্ত হতে হবে। যেমন রয়েছে Upwork, Fiverr, LinkedIn, People Hour এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম। এ সকল প্লাটফর্মে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা অনুসারে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্টে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
তাহলেই এখান থেকে কাজ পাবেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনার প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজানো থাকতে হবে। যাতে করে ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল থেকে বুঝতে পারেন আপনি কি কি কাজে দক্ষতা এবং কতটা পারদর্শী।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জব পাওয়ার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং করার পাশাপাশি আপনারা যদি ম্যানুয়াল জব করতে চান তাহলে সেটিও পাবেন। এই প্লাটফর্মে রয়েছে প্রচুর জব সেক্টরের ভ্যাকান্সি। বাংলাদেশের এখন প্রায় প্রতিটি কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানে এক ডিজিটাল মার্কেটের নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

এজন্য আপনারা নিজেকে দক্ষ করে এ প্লাটফর্মে চাকরি স্থায়িত্ব করতে পারেন। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে এই ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো পেয়ে থাকবেন।
  • বিডি জবস।
  • ফেসবুক।
  • লিংক‌ডইন।
  • Indeed.
বিডি জব ছেড়ে মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে আপনি এই চাকরি গুলো খুঁজে পাবেন। হতে পারি সেটি Work From Home Job. অথবা সেটি হতে পারে অফিস‌ ভিত্তিক। এ প্লাটফর্মে প্রচুর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটারদের নিয়ে। তবে এ বিষয়ে আপনাদের অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z জানতে হবে।

কারণ আপনারা যে কোন প্ল্যাটফর্মেই কাজ করেন না কেন অবশ্যই আপনাদের কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। ফেসবুক গ্রুপে এবং লিংক‌ডইন এ এই ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো প্রকাশিত হয় করা হয়। সেখান থেকে দেখে আবেদন করে সরাসরি জব নিতে পারেন।

তবে লিংক‌ডইন এ সহজে কাজ পাওয়া সম্ভব। কারণ এখানে সরাসরি ম্যানেজার অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কাজ নেওয়া সম্ভব তাই।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়

উপরে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি সে বিষয় সম্পর্কে আশা করি পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এখন অনেকে আবার প্রশ্ন করে থাকেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। তার একটি ধারণা দেওয়া হবে এখন।

যদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করেন তাহলে আপনার আয় হবে ৩০০ ডলার থেকে শুরু করে প্রায় কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত। সেটি নির্ভর করবে নানা ধরনের প্রজেক্টের উপর। আবার যে কোন প্লাটফর্মে এ সেক্টরের জব করলে মিনিমাম সেলারি দেওয়া হয় ১৫০০০ টাকা।
আর যদি আপনি অনেক পারদর্শী হন এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন তাড়াতাড়ি প্রায় ৫০ হাজার টাকার অধিক। মূলত দক্ষতা এবং প্রজেক্ট এর উপরে এর ইনকাম নির্ভর করে। অনেকেই আছেন যারা লক্ষ টাকার উপরে আয় করে নিচ্ছে এ প্লাটফর্ম থেকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স - ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z

অনেকেই যারা ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার করতে চান তাদের অবশ্যই এটি শেখার প্রয়োজন। এজন্য এগুলো শেখা এবং রক্ষা হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এখন অনেকের প্রশ্ন থাকে কিভাবে এই কাজগুলো শেখা যায়। চলুন এখন আমরা বেশ কিছু পদ্ধতি এবং সিস্টেমগুলো দেখে নেই।

Digital Marketing Online Course: যাদের আশেপাশে কিংবা নিকটস্থ কোনো দক্ষ মেন্টর নেই। তারা অনলাইন থেকে এই কোর্সগুলো করতে পারেন। যেমন বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা এই ধরনের কোর্স করে থাকে।

তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদেরকে পেমেন্ট করা লাগে। এ সকল করছে ভর্তি হওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানবেন এবং কোর্সের সকল দিকগুলো বিবেচনা করেই তারপর ভর্তি হবেন।

ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স: ইউটিউবে অনেক ফ্রি কোর্স পাওয়া যায়। অনেক দক্ষ মেন্টররা ফ্রিতে এ সকল এডভান্স লেভেলের কোর্স করে থাকে। তাই আপনারা youtube দেখে বেশ কয়েকজন মেন্টরকে ফলো করুন তাহলে ফ্রিতেই শিখতে পারবেন।

তবে যারা এ প্লাটফর্মে আসতে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই প্রথমে youtube থেকে ফ্রি কোর্সগুলো দেখবেন। তাহলে এ সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা হবে। এরপর আস্তে আস্তে অন্য প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে শিখিয়ে নিতে পারেন।

এছাড়াও ফিজিক্যালি কোন ইনস্টিটিউট থেকে এই কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে পারেন। কারণ আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়ে দক্ষ হওয়ার জন্য শিখতে হবে।

ক্যারিয়ার হিসেবে Digital Marketing কেমন?

আমাদের আর্টিকেলটির উপরে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেখানে আশা করি এ সম্পর্কে কিছু ধারনা হয়েছে আপনাদের। কথাটি হচ্ছে অনলাইন জগতে এর বিস্তার অনেক বেশি আর প্রত্যেক বছর কয়েকগুণ হারে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান সময় পর্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটের চাহিদা অনেক বেশি। সেই তুলনায় মার্কেটে এমন দক্ষ লোক খুব কমই রয়েছে। বিশেষ করে অনলাইনে এর চাহিদা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুধু তাই নয় বিভিন্ন কোম্পানিতে জব ক্যারিয়ারও করার সুযোগ আছে এখন। আপনি বিডি জবস কিংবা ফেসবুকসহ বিভিন্ন জব পোর্টাল গুলোতে খেয়াল রাখবেন। অধিকাংশ সার্কুলারগুলো হয়ে থাকে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটের চাহিদা নিয়ে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এখানে ক্যারিয়ার করতে পারেন।

ভবিষ্যতেও আপনার দক্ষতার পাশাপাশি চাহিদা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। যারা এখন স্টুডেন্ট রয়েছেন কিংবা চাকরির জন্য নিজের ক্যারিয়ার করতে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই এ প্লাটফর্ম দেখতে পারেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে থাকেন।

তবে আপনি যে প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন না কেন অবশ্যই আপনাকে সে বিষয়ে প্রথমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর ফোকাস এর পাশাপাশি এই রিলেটেড অন্যান্য কাজগুলোর ধারণা থাকতে হবে। তাহলে তুলনামূলকভাবে প্রতিযোগিতার থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।

শেষ কথা

আশা করা যাচ্ছে এখান থেকে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তবে যারা এটি ফুলটাইম ক্যারিয়ার গড়তে চান তারা অনলাইন এবং অফলাইন দুই প্লাটফর্মে চেষ্টা করবেন। অনলাইন গুলো আপনারা যে কোন জায়গায় বসে থেকে করতে পারবেন আর পাশাপাশি পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

আর যারা অফলাইনে করবেন তারা অবশ্যই নিজেকে আরও দক্ষ করতে থাকবেন। কেননা এ প্লাটফর্মের বিস্তার অনেক বেশি। আর যতদিন যাবে তত এই প্লাটফর্মে যুক্ত হবে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি। নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে এ সকল নতুন নতুন নিয়মের সঙ্গে। তাই ভবিষ্যতে আরো ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন এবং অভিজ্ঞ হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url