ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা - ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার

সম্মানিত পাঠক ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের জানা অজানা অনেক কিছুই রয়েছে। তেমনি আপনারা অনেকেই হয়তো ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানেন না। তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা আমরা রয়েছি আপনার পাশে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
প্রযুক্তি বিষয়ক আলোচনায় আজকে রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে। এখান থেকে আপনারা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত খুঁটিনাটি সকল বিষয় জানতে পারবেন এবং এর সুফল কুফল সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাবেন। তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের এই প্রতিবেদন পড়ুন।

ডিজিটাল প্রযুক্তি কি?

প্রথমে আমরা জানবো প্রযুক্তি কি এবং এই সম্পর্কে কিছু তথ্য গুলো। মূলত প্রযুক্তি হচ্ছে কৌশল, পদ্ধতি, দক্ষতা ইত্যাদির সমন্বয়ে কোনো পণ্য বা সেবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে উদ্দেশ্য অবশ্যই সু উদ্দেশ্য হতে হবে এবং কল্যাণকর হতে হবে। এটি হচ্ছে প্রযুক্তি।

আর এই প্রযুক্তি পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং পরিস্থিতির পরিবেশ অনুসারে এটি পরিবর্তিত হতে থাকবে। আর এটি সাধারণত বিজ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে।

আমরা জানি ডিজিট শব্দের অর্থ সংখ্যা। সেই প্রসঙ্গে এটি এসেছে ডিজিটাল এবং প্রযুক্তি একত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি। কোনো ডিজিট কিংবা সংখ্যা ব্যবহার করে তথ্যসমূহ সংগ্রহ, প্রক্রিয়া এবং প্রদর্শন করার নামই হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে উৎপাদন কিংবা আরও বিকশিত হওয়াকেও বোঝায়।

আর এর মাধ্যমে জটিল সমস্যার সমাধানও করা সম্ভব।‌ কিন্তু এর মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। তবে এ বিষয় সম্পর্কে আমরা পরে জানবো, এখন জানবো এর গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি তথ্য সম্পর্কে। সেটি হলো ডিজিটাল প্রযুক্তির ব‍্যবহার। ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, মোবাইল, স্মার্ট ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, ইন্টারনেট এবং স্মার্ট ডিসপ্লে ইত্যাদি।

ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার

ডিজিটাল প্রযুক্তি কি এবং এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে উপরে। আশা করা যাচ্ছে এখান থেকে আপনারা এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এখন আপনাদেরকে জানাবো এই ডিজিটাল প্রযুক্তি গুলো কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এর বিস্তৃতি কতটুকু।

আমরা যদি ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দেখি, তাহলে এর বিস্তৃতি অনেক। যেমন ঘুম থেকে উঠেই আমরা যে মোবাইল দেখি কিংবা ঘড়ি দেখি, এগুলোই ডিজিটাল প্রযুক্তির আহত-ভুক্ত। আমরা এর বিস্তারিত তথ্য এখন তুলে ধরছি।

ইন্টারনেট: আমরা বর্তমানে যে সময়ে বা যুগে অবস্থান করছি, সেখানে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর এই ইন্টারনেট হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহা আশীর্বাদ। এর সাহায্যে খুব অল্প সময়ের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তথ্য পৌঁছনো দ্রুত সম্ভব হচ্ছে। আর একই সঙ্গে যেকোনো কাজ অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের জীবনে অনেক সফলতা বয়ে আনছে ও উন্নয়ন করছে।

কম্পিউটার: কম্পিউটারের ব্যবহারের কথা আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি এবং এটি সম্পর্কে আপনাদের অনেক জানা রয়েছে। এর মাধ্যমে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করা যায় কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে অফিস আদালতের যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। বর্তমান প্রযুক্তির আবির্ভাবের পিছনেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।

মোবাইল: মোবাইল আবিষ্কারের পর তা দিয়ে মানুষ যোগাযোগের রাস্তা করেছে অনেক সহজ। কিন্তু বর্তমানে মানব জাতিকে স্মার্টফোন নিয়ে গেছে আরও কয়েকগুণ উন্নতির শিখরে। আর এখন মোবাইলের মাধ্যমে অন্যান্য প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে খুব সহজে এবং দ্রুত। যত দিন যাচ্ছে ততো মোবাইলের ব‍্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাথে সাথে মোবাইলের মান ততোই উন্নত হচ্ছে। আর এটি খুব সহজে যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন নিজের যেকোনো সমস্যা সমাধানে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: বর্তমান সময়ে সারা বিশ্ব জুড়ে রাজত্ব রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর। ছোটখাটো প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে বড় সকল প্ল্যাটফর্মে রয়েছে এর ব্যবহার। এটি খুব সহজে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় অনেক প্রশ্নের উত্তর সহ বড় বড় কঠিন অংক গুলোর সমাধান করতে পারে এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।

আর এআই ব্যবহারকারীর কারণে পৃথিবীর উন্নয়ন আরও দ্রুত হচ্ছে এবং প্রযুক্তির অনেক বদল ঘটেছে। যা বিগত কয়েক বছর ধরে দেখছে বিশ্ববাসী।

ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার কতটা সেটা বলে শেষ করা যাবে না। কেননা প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে এর ব্যবহার। আমরা উপরেই বলেছি ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমানো পর্যন্ত এর ব্যবহার রয়েছে। রান্না-বান্না, খাওয়া, শিক্ষাজীবন, চিকিৎসা এবং অফিস আদালতে সকল কাজেই এখন এই ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার হচ্ছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা

প্রত্যেক বস্তু কিংবা বিষয়ের যেমন সুবিধা থাকে ঠিক তেমনি কিছু অসুবিধা-ও রয়েছে। ঠিক তেমন ভাবে সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে এই ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক ক্ষেত্রেও। আসুন এখন আমরা এই বিষয়গুলো জেনে নেই।

ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা

ব্যক্তিগত জীবনে: প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একজন ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর মোবাইল কিংবা ঘড়িতে সময় দেখেন, মেশিন যুক্ত টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করেন। মাইক্রো ওভেনে খাবার গরম করে খাবার খান, এরপর সে গাড়িতে চড়ে স্কুলে অথবা কর্মক্ষেত্রে যান। এরকম প্রায় সকল কাজেই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। আর এগুলো সব কিছুই হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাধ্যমে। যা একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনকে পরিচালনা করে থাকে।

কর্মজীবন: বর্তমান সময়ে এ ধরনের প্রযুক্তি কর্মজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। একজন দিনমজুর ব‍্যক্তি থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এ প্রযুক্তির আওতাধীন রয়েছেন। কেননা এর ফলে অনেক কঠিন কাজ খুব সহজে করা সম্ভব হচ্ছে। অনেক জটিল সমস্যা কয়েক সেকেন্ডের মাধ্যমে অটোমেটিক সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে এখন।

নেটওয়ার্কিং: আপনারা যে আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দেখছেন, এ সকল কিছুই হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে। এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল‍্যাটফর্মের মাধ্যমে কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বজুড়ে বিশাল একটি নেটওয়ার্কের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে একজনের সঙ্গে আরেকজন খুব দ্রুত কানেক্ট  বা যুক্ত হতে পারছে বিভিন্ন মাধ্যমে।

এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল‍্যাটফর্মের প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে। বিশেষ করে যারা বহির্বিশ্বে কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য এটি একটি মহা-আশীর্বাদ। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা এর মধ্যে ভালো দিকই বেশি রয়েছে। সে বিষয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা: আমরা মোবাইলে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করি সেটি হোক ফোন কলে কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে। আবার বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ভিডিও কলে কথা বলি এবং বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় মিটিং অনেকজন মিলে একসঙ্গে করতে পারি। এ গুলোই হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার। যার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার অনেক পরিবর্তন এসেছে।

কয়েকদিন এর কাজ এখন কয়েক মিনিটে করা সম্ভব হচ্ছে এ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে। একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব‍্যবহার এর ফলে বর্তমান যুগে সকল ক্ষেত্রের দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে।

পরিবহন: পরিবহন ব্যবস্থাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এবং উন্নয়ন ঘটেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কয়েকশত মাইল অতিক্রম করা যাচ্ছে এখন। যার কারণে ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি ব্যবসা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আর এর কারণে যুগান্তরের সকল পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার। শুধু তাই নয় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রে পা রাখছে।

অটোমেশন সুবিধা: অটোমেশন আবিষ্কারের ফলে অনেক জটিল কাজ খুব সহজেই সমাধান করা যাচ্ছে। সেটি হোক টেকনিক্যাল কোনো কাজ কিংবা কোনো জটিল শারীরিক পরিশ্রমের কাজ। এগুলো সবকিছুই এখন অনায়াসে এবং অটোমেটিক ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে এই অটোমেশনের ফলে।

এটির মাধ্যমে কয়েক দিনের কাজকে কয়েক ঘণ্টায় করা সম্ভব। এগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে। যার কারণে এই প্ল‍্যাটফর্মে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তির অসুবিধা

প্রত্যেক বিষয়ের যেমন সুবিধা এবং ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে এর বিপরীতে কিছু অসুবিধা রয়েছে। তবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, নিয়ন্ত্রণ করা হলে খুব দ্রুতই অসুবিধা গুলো দূর হয়ে যাবে। আসুন দেখি ডিজিটাল প্রযুক্তির কি কি অসুবিধা রয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির অসুবিধা গুলো হলো:

নিরাপত্তা: এই ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে নিরাপত্তা। অনলাইন কিংবা নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা অনেক সময় থাকে না। তাই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য কিংবা কোনো অফিসিয়াল কাজের তথ্যগুলো চুরি বা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যা ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আর প্রতিবছর অনেকের নিরাপত্তা ভেঙে প্রচুর পরিমাণ ডাটা ছড়িয়ে যায় চারিদিকে। এগুলোর ফায়দা লুটে নিয়ে থাকে বিভিন্ন হ্যাকার এবং স্ক্যামাররা।

কর্মসংস্থান: ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে এটি। কারণ অটোমেশন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কারণে অনেক জটিল কাজগুলো সহজে করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন একটি কাজ ১০ জন মিলে তিন দিনে যেটি করতে পারতো সেটি অটোমেশন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টায় করা সম্ভব।

যার কারণে কর্মসংস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যে, অতিরিক্ত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন অনেকেই।

কাজের চাপ বৃদ্ধি: ডিজিটাল প্রযুক্তির ফলে কাজের পরিমাণ কমেছে বিষয়টি এমন নয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে কাজের চাপ বৃদ্ধি হচ্ছে, যার কারণে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেকেই। বিশেষ করে যারা কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করেন তাদের কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্ত: সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইন্টারনেট এর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মানুষ প্রচুর সময় দিচ্ছে। যার কারণে অধিকাংশ মানুষের মাথাব্যথা, চোখে সমস্যা সহ আরও বিভিন্ন ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর একই সঙ্গে অনেকেই মানসিকভাবে পরিবর্তন হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম সেক্টর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে।

FAQs: ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

১. ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রধান সুবিধা কি কি?

উত্তর: ডিজিটাল প্রযুক্তির অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যার মধ্যে কিছু প্রধান সুবিধা নিচে  হলো:
  • দ্রুত গতিতে যোগাযোগ করার সুবিধা।
  • যেকোনো তথ্য সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
  • পৃথিবীর যে কোনো স্থান থেকে অন্য যে কোনো স্থানে সহজেই যোগাযোগ করা যায়।
  • যেকোনো কাজ করতে সময় কম লাগে এবং পরিশ্রম কম হয়।
২. ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রধান অসুবিধা গুলো কি কি?

উত্তর: ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কিছু অসুবিধা হলো:
  • কোন তথ্য নিরাপদে না রাখলে তার সহজেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
  • এমন অনেক কাজ রয়েছে যা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই করা যায়, যার ফলে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে।
  • মানুষ দিন দিন ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। ফলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন স্বাস্থ্য সমস্যা।
  • ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো হুমকির মুখে পড়তে পারে।
৩. শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির অবদান কি?

উত্তর: শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির অনেক অবদান রয়েছে। এটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক সহজ এবং উন্নত করেছে। শিক্ষার্থীরা সহজেই যেকোনো তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেতে পারে।

৪. পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব ফেলতে পারে?

উত্তর: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে পরিবেশও কিছু ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। যেমন ইলেকট্রনিক বর্জ‍্য পদার্থ গুলো বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে, বিদ্যুৎ এর খরচ বেড়ে যেতে পারে এবং ক্ষতিকর কার্বন এর বৃদ্ধ ঘটতে পারে। এসবের কারণে পরিবেশে থাকা জড়ো এবং জীব উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য: ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা - ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার

ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা উভয় রয়েছে। কিন্তু এর অসুবিধা দিকগুলো পরিহার করা দরকার। যদি এ বিষয়গুলো পরিহার করা যায় তাহলে খুব দ্রুত আধুনিক বিশ্বের অনেক উন্নয়ন হবে এবং মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে। আর এই অসুবিধা বা নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সম্মানিত পাঠক ডিজিটাল প্রযুক্তির অসুবিধা গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url