ইন্টারনেট কি - ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জেনে নিন
এই প্রতিবেদনে ইন্টারনেট কি এবং ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে রয়েছে সমগ্র আলোচনা। অর্থাৎ ইন্টারনেট কি থেকে শুরু করে এর যাবতীয় উৎস এবং এর ভিন্ন ভিন্ন কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা করা হবে। অর্থাৎ এই বিষয়ের উপর খুঁটিনাটি সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন পাঠকরা।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট মানুষের জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে। যা অনেকটা অকল্পনীয় ছিল কয়েক বছর আগেও। অর্থাৎ আধুনিক যুগের প্রথম ধাপের মানুষ এতটা কল্পনা করতে পারেনি যে ইন্টারনেটের বিস্তার এত ঘটবে। যুগান্তরের পরিবর্তন এনে দিবে সারা বিশ্ব জুড়ে। যার ফল আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবন নয় রাষ্ট্রীয় এবং অন্যান্য জীবনেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে যেকোনো কর্মক্ষেত্র এটি ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে।
আজকে এই গুরুত্ব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। যা একজন মানুষ হিসাবে জানা অবশ্যই দরকার। বিশেষ করে যারা নতুন তাদের এ বিষয়টি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এই আর্টিকেলে এমন কিছু বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে যা আপনার ইন্টারনেট সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করবে। এখন আমরা চলে যাই মূল প্রসঙ্গে।
ইন্টারনেট কি?
ইন্টারনেট একটি ইংরেজি শব্দ, যার বাংলা শাব্দিক অর্থ হচ্ছে অন্ত:জাল। অর্থাৎ ইন্টার শব্দের অর্থ ভিতরে বা অন্ত। আর নেট শব্দের অর্থ জাল। শাব্দিক অর্থে এটি হলেও এর কার্যকারিতা এর মতোই। কারণ ইন্টারনেট জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারদিকে।
ইন্টারনেট হচ্ছে এমন এক ধরনের নেটওয়ার্ক সিস্টেম যা সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জালের মতো। আর এর সাথে সংযুক্ত আছে বিভিন্ন ডিভাইস। অর্থাৎ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কমিউনিকেশনের জন্য অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ইন্টারনেট। এই কমিউনিকেশন সিস্টেমের ব্যাপক উন্নতির ফলে মানুষের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।
তবে ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা উভয় রয়েছে। কিন্তু এর সুফল সবচেয়ে বেশি। এই যে আপনি ব্রাউজ করে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ছেন এটি কেবলমাত্র ইন্টারনেটের ব্যবহারের ফলে সম্ভব হচ্ছে। যা সারা বিশ্বকে একটি জালের মতো তৈরি করে একে অপরের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে সেটিই হলো ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট এর ব্যবহার
ইন্টারনেট এর ব্যবহার ধরতে গেলে অনেকটা অসীম। কারণ প্রতিটা ক্ষেত্রে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের কাজ সম্পন্ন করে থাকে। এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে এখন ইন্টারনেট ছাড়া আধুনিক জীবন কল্পনা করা যায় না।
ব্যক্তিগত কাজে: বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত কাজে প্রচুর পরিমাণে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। যেমন আপনি আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে তারপর ব্রাউজ করে আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন। এটি আপনি নিজের কাজে ব্যবহার করছেন।
অথবা আপনি এই সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেখছেন কিংবা বিনোদন উপভোগ করছেন। এগুলো সবই ইন্টারনেটের অবদান। যা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কর্মজীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার: বর্তমানে এখন সরকারি বেসরকারি এমনকি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ফাইলগুলো কম্পিউটার এর সাহায্যে গুগল ড্রাইভ কিংবা ক্লাউড সংরক্ষণ করা হয়। এখানে নিরাপত্তার সহিত এগুলো রাখা যায়, যার কারণে কাগজপত্র বা ডাটা হারানোর ভয় থাকে না।
আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার: এখন ইন্টারনেট থেকে মানুষ প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করছে যা আপনার কল্পনার বাইরে। কেননা ইন্টারনেট থেকে অনেকেই কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করে নিচ্ছে প্রতি মাসে। আমাদের দেশ থেকেও অনেক ফ্রিল্যান্সাররা লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে। সেটি কেবলমাত্র ঘরে বসেই। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান গড়ে তুলছে এবং অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়: প্রতিটি দেশে এখন ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। সাধারণ ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামরিক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রয়োজনীয় সকল সিগনাল বা মেসেজ পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। যার কারণে সামরিক শক্তিগুলো আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব মজবুত হচ্ছে।
আরও পড়ুন ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
উপরের এই সকল কাজ ছাড়াও আরও অসংখ্য অগণিত কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে দিনের পর দিন অনেক কাজ সহজ এবং মিত ব্যয় হচ্ছে।
ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা
উপরে আপনারা দেখলেন ইন্টারনেট কি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা। এখন আমরা ইন্টারনেট এর সুবিধা এবং অসুবিধাসহ যাবতীয় তথ্যগুলো তুলে ধরব আপনাদের সামনে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
ইন্টারনেটের অনেক সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন: ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে বেশি যে পরিবর্তন এসেছে সেটি হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা। আগের যুগে কয়েক বছর সময় লাগতো দূরে কোথাও যোগাযোগ করতে, আর এখন ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগাযোগ করা হচ্ছে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকল বিষয়বস্তু জানা সম্ভব হচ্ছে।
শুধু তাই নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন খেলা হচ্ছে তা দেশে বসে লাইভ দেখা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উন্নতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রভাব: শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই ইন্টারনেট। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা অনেক অজানা কিছু জানতে পারছে এবং নতুন নতুন শিক্ষা অর্জন করতে পারছে। শুধু তাই নয় ঘরে বসেই বিশ্বের অনেক বড় শিক্ষকদের থেকে গাইডলাইন নিতে পারছেন। এমনকি লাইভ ভিডিও ক্লাসে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখছে।
হ্যাঁ বিশেষ করে করোনা-কালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস এবং অনলাইন পরীক্ষা নিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে এই ইন্টারনেট। এছাড়াও এখন আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এসেছে একমাত্র ইন্টারনেট আবিষ্কারের কারণে। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলেও ঘরে বসে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এই পদ্ধতি উন্নত বিশ্বে চলমান রয়েছে। আর খুব শীঘ্রই এগুলো আমাদের দেশে আসতে চলেছে।
নতুন কর্মসংস্থান: গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। কারণ ইন্টারনেট আসার ফলে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় কয়েক গুণ। বিশেষ করে ভার্চুয়াল অর্থাৎ ইন্টারনেট যুক্ত লাইফ টাইম কাজ পেয়ে গেছে অনেকেই।
নতুন নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে এবং ঘরে বসে অনেক কাজগুলো একসঙ্গে করা যাচ্ছে। যার কারণে আবির্ভাব হয়েছে অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের মানুষও এখানে রয়েছে অনেক এগিয়ে। আমাদের দেশ থেকে অনেকে প্রত্যেক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে নিচ্ছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা প্রায় দশ লক্ষ।
আরও পড়ুন কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা
ইন্টারনেট এর কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা পার্ট টাইম কাজ করতে পারছেন এবং অনেকেই তাদের বেকার জীবনের সমস্যার সমাধান করতে পারছেন। এটি ইন্টারনেটের অন্যতম আশীর্বাদ। ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধার মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক এবং কল্যাণময়।
গবেষণা: যারা রিসার্চ করতে পছন্দ করেন কিংবা গবেষণায় খুব মনোযোগী, তাদের জন্য ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা তাদের গবেষণার জন্য বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন হয়।
আর এই সকল তথ্যগুলো খুঁজতে গেলে তাদের অনেক সময় লাগে কিংবা অনেক সময় তথ্য গুলো হাতের নাগালে থাকলেও তা খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনারা খুব সহজে যেকোনো তথ্য ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করতে পারবেন এবং আপনার গবেষণা স্কিল আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন।
অনলাইন ব্যাংকিং: বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের কারণে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে। যার কারণে ঘরে বসেই বিশ্বাসযোগ্য যে কোনো ব্যাংকে টাকা লেনদেন করা সম্ভব হয়। এখানে অর্থের নিরাপত্তা থাকে, এমনকি টাকা হারানোর ভয় থাকে না।
আর ব্যাংকে গিয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় না। এতে করে যেমন অর্থের নিরাপত্তা হয়েছে ঠিক তেমনিভাবে লেনদেনে অনেক সুবিধা জনক হয়েছে। ছুটির দিনেও এই লেনদেন করা সম্ভব।
জটিল সমস্যার সমাধান: যেকোনো কাজের সমস্যার সমাধান এখন ইন্টারনেটে খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে। ইউটিউব কিংবা গুগলে আপনার সমস্যার কথা লিখে সার্চ করলেই এর সমাধান গুলো পাওয়া যাচ্ছে। কেবলমাত্র টেক্সট বা লিখিত আকারে নয়, বরং ভিডিও আকারেও সকল সমস্যার সমাধান গুলো হাতে কলমে পাওয়া যায়।
যার কারণে মানুষ নিজের সমস্যার সমাধান করতে শিখেছে এখন। এতে করে অনেকেই দক্ষ হচ্ছেন বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান শিখে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ছোট ছোট রোগের চিকিৎসা এখন অনেকেই ঘরে বসেই নিতে পারেন এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তখন ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ গ্রহণ করা যায়।
এছাড়াও কোন রোগের জন্য কোন ওষুধ কিংবা কি খাওয়া প্রয়োজন তাও ইন্টারনেটে পাওয়া যায় এখন। যার কারণে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। অনেক দেশে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অনেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ঘরে বসে এখন অনলাইনে ওষুধ অর্ডার করা যায়।
এছাড়াও আরও অন্যান্য কাজে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। অনলাইন শপিং, ভার্চুয়াল মিটিং, অটোমেশন এবং আরও বিভিন্ন ইত্যাদি কাজে ব্যাপক ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা
আমরা আগেই বলেছি ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই রয়েছে।এখন আমরা অসুবিধার দিকগুলো সম্পর্কে জানব। যা প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জন্য জানা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে যারা নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন তাদের জন্য আরও বেশি জরুরী। তো চলুন জেনে নেই।
তথ্য চুরি হওয়া: ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে অনেক সময় ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যায়। কারণ আমরা যখন ব্রাউজ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করি কিংবা কোনো মাধ্যমে ইন্টারনেটে প্রবেশ করি, তখন এক জায়গায় আমাদের আইপি এবং মোবাইলের অনেক তথ্য চলে যায়।
সেই তথ্যগুলো অনেক সময় নেতিবাচক কাজে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে যারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের তথ্য চুরি হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। কেননা বিভিন্ন হ্যাকাররা এ সকল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ দাবি করে। আর এরকম দূর্ঘটনা বর্তমানে বেশি হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এর তথ্য চুরি হওয়ার কারণে অনেকে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন তথ্য সূত্রে।
এই সমস্যার কারণে প্রতিবছর সারা পৃথিবী জুড়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত তথ্য নয় ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার কারণে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ অন্যান্য অ্যাকাউন্টগুলো হ্যাক হয়ে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত: বর্তমানে অনলাইনে নানা ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। আর এই সকল প্ল্যাটফর্মে মানুষ দিন দিন আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে তাদের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এর কারণে অনেক সম্পর্ক পর্যন্ত বিচ্ছেদ হচ্ছে। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে দিন দিন। বিশেষ করে শারীরিকভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। অল্প বয়সে দৃষ্টিশক্তি কমছে, ওজন বৃদ্ধি, মেজাজ খিটখিটে হচ্ছে ইত্যাদি নানান জটিলতায় ভুগছে অনেকে।
অপব্যবহার: অনেকে ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন: জুয়া, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, খারাপ বা ভয়ংকর ভিডিও, ছবি ইত্যাদি প্রকাশ করে। যা দ্বারা তারা নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অন্যদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের অপব্যবহারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর নেতিবাচক প্রভাব: এখন প্রায় সবার হাতেই স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটার ডিভাইস রয়েছে। আর এ সকল ডিভাইস ব্যবহার করে অপ্রাপ্তবয়স্করা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে স্মার্টফোন থাকার কারণে তারা পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ফাঁদে পা দিচ্ছে।
এভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর্থিকভাবে এবং পারিবারিকভাবে। শুধু তাই নয় অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন।
লেখকের মন্তব্য
ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই রয়েছে। তবে অসুবিধার চেয়ে সুবিধা এখানে বেশি। তাই এর অসুবিধা এবং অপব্যবহার গুলো আমাদের পরিহার করতে হবে। একই সঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে এ সকল হ্যাকারদের খপ্পরে যাতে আমরা না পড়ি। একই সঙ্গে সাইবার আইন জোরদার করতে হবে। তাহলে সবাই খুব সহজে এবং নিরাপত্তার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে আমাদের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে এই ধরনের আইন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যদি আমাদের দেশেও এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে খুব দ্রুত এই অপব্যবহার পরিহার করে আমরা একটি সুন্দর ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম পাবো।
সম্মানিত পাঠক এ ছিল ইন্টারনেট কি এবং ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। ইন্টারনেট সম্পর্কে আপনার আরও কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে নিচে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করে জানাতে পারেন এবং এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url