নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025 - নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সমস্যা

কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতাপ্রিয় পাঠক, বর্তমানে বেশ আলোচনায় রয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025 এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সমস্যা নিয়ে। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে চলছে নানা ধরনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক মন্তব্য।
নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধা
তাই আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরব নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। যাতে করে একজন শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক পর্যন্ত সবাই এ বিষয়টা পরিষ্কার একটি ধারণা পেয়ে যান।

শিক্ষা কারিকুলাম কি?

একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংবিধানকে বলা হয়ে থাকে শিক্ষা কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রম। এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, যারা এ কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করে এবং তদারকি করে থাকেন। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনাই হচ্ছে এর মূল কাজ।

আর এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কি বিষয় বস্তুর মাধ্যমে, কিভাবে, কখন এবং ইত্যাদি উপকরণের সাহায্যে তা বাস্তবায়িত করে শিক্ষার্থীদের জন্য শিখন পদ্ধতি অগ্রগতি মূল্যায়ন করা সম্ভব। অর্থাৎ শিক্ষা কারিকুলাম হচ্ছে এ সকল যাবতীয় বিষয়ের একটি রূপরেখা।

আর এই কারিকুলাম তৈরি করা হয় নানা ধরনের গবেষণা এবং নানা ধরনের পরীক্ষণের মাধ্যমে। যাতে করে এটি শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের উপর বিরূপ প্রভাব না ফেলতে পারে। আর নির্দিষ্ট কিংবা সময়ের সাপেক্ষে এটি পরিবর্তন করা হয়। মূলত এর উপাদানগুলো পরিবর্তিত হয়।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025 সম্পর্কে এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা রয়েছে। যার কারণে বর্তমান সময়ে এটি আলোচনায় এসেছে।

বেশ কয়েক বছর আগেও এই শিক্ষাক্রম এর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছিল। এখন আবার পরিবর্তন আসছে আর এতে যুক্ত করা হয়েছে নানা ধরনের পদ্ধতি এবং আধুনিক কিছু বিষয়। কারণ বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আধুনিক হচ্ছে।

শিক্ষা ব্যবস্থাপনাতেও আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে। যার কারণে অনেক পরিবর্তন আসতে চলেছে এই কারিকুলামে। আপনারা নিম্নে এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা হচ্ছে এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে। কিন্তু যারা এখন পর্যন্ত এর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারেননি তারা নিজে থেকে দেখে নিন। কারণ এ বিষয় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরা হবে এখন।

নতুন শিক্ষা কারিকুলামের সুবিধা

প্রথমে আমরা দেখে নেব এই কারিকুলামে কি কি সুবিধা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা। একই সঙ্গে তাদের উপর কিরূপ ইতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে তা জানানোর চেষ্টা করা হবে।

শ্রেণীতেই পড়া শেষ করতে পারবে: নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ভিতরেই তাদের ঐ দিনের পড়া শেষ করতে পারবেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের বাড়তি চাপ কমে যাবে এবং বাড়িতে পড়াশোনার চাপের পরিমাণ কমতে শুরু করবে। এছাড়াও বাড়িতে গিয়ে রিভিশন করার সুযোগ পাবেন অথবা অন্যান্য প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

শিক্ষকদের সহায়তা পাওয়া: যেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ভিতরেই পড়া শেষ করতে পারবে। সেহেতু কোনো বিষয়ে ধারণা থাকলে অথবা অসুবিধা হলে শিক্ষকদের কাছ থেকে সহায়তা পাবেন। সেটি হোক পড়া কিংবা প্র্যাকটিক্যাল বিষয়ে ধারণা। এতে করে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক আরও মধুর হবে। নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025 এর মধ্যে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

আধুনিক দক্ষতা বৃদ্ধি: নতুন এই কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। বিশেষ করে প্র্যাকটিক্যাল এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তাদের ধারণা হবে আরও বেশি। আর এবারের কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের আধুনিক চাহিদা পূরণ করাই হচ্ছে এর মূল উদ্দেশ্য। যাতে করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষা মানের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে শিক্ষার্থীরা। আর একই সঙ্গে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

দলীয় কাজের প্রেরণা: শিক্ষাক্রমটির অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হচ্ছে দলীয় কাজ। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবেন। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে দলবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং নেতৃত্ব-বোধ জন্মাবে। যা একজন মানুষ হিসাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আর এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর জড়তা, ভয়, একাকীত্ব কেটে যাবে। একই সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে কাজের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে। যা একটি দলকে পরিচালনা করার ক্ষমতা সৃষ্টি করে।

অসুস্থ প্রতিযোগিতা বাদ: পূর্বের কারিকুলামগুলোতে ছিল প্রথম, দ্বিতীয় এবং অন্যান্য পর্যায়ক্রমে হিসেবে রোল নম্বর। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো ব্যাপক হারে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের উপর ইতিবাচক এর চেয়ে নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়তে পারে।
অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের উপর এ বিষয় নিয়ে প্রচণ্ড চাপ দিত। যা আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে দেখেছি। আর নতুন কারিকুলামে এ বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই কারণে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত এই চাপ কমে যাবে। আর শিক্ষকরা বলেছেন এটি বড় ধরনের একটি পরিবর্তন যা অনেক আগে থেকেই প্রয়োজন ছিল।

সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025 এর মধ্যে অন্যতম। এর মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক এর বইয়ের পড়া মুখস্থ করার প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পথে। আর এখন শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল বিষয়ে নিজেকে বৃদ্ধি করতে পারবেন।

শিক্ষার্থীরা পারবেন নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে। যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা যত বিকাশ পাবে সে শিক্ষার্থী ততো বেশি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।

বোর্ড পরীক্ষার বাতিল: বেশ কয়েক বছর আগেও ছিল প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। অর্থাৎ খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হতো। 

আর এই বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মনে প্রচণ্ড ভয়ের সৃষ্টি করত এবং পড়াশোনায় বাড়তি চাপ পড়তো। এ পরীক্ষা বাতিলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাপ কমে এসেছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের অ-সুবিধাসমূহ

প্রত্যেক বিষয়ের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে এর কিছু অ-সুবিধাসমূহ রয়েছে। এখন আমরা এর অ-সুবিধাসমূহ সম্পর্কে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।

আর্থিক ব্যয়: নতুন যে কারিকুলাম এসেছে সেখানে অতিরিক্ত সরঞ্জাম ক্রয় করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টেকনিক্যাল কিছু দেওয়া হলেও অধিকাংশ গুলোই শিক্ষার্থীদের ক্রয় করতে হবে। যার ফলে অভিভাবকদের আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এই বিষয়টি নিয়ে যদিও পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত তার সমাধান হয়নি। আর এই সমস্যাটির সম্মুখীন হতে পারে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা।

অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক: এক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। কারণ নতুন এ বিষয়ের সাথে অনেক শিক্ষক প্রশিক্ষিত নয়। যার কারণে তাদেরকে প্রথমে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আর এটি অত্যন্ত সময়ের ব্যাপার। যদি এ বিষয়ে না জেনে কোনো শিক্ষক পাঠদান করে তাহলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে শিক্ষার্থীদের উপর। তাই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

ইলেকট্রনিক্স ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার: নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025 এর মধ্যে অন্যতম সুবিধা এবং অসুবিধা দুটিই হচ্ছে এই ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার। বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অবশ্যই এগুলো ব্যবহার করতে হবে যেমন মোবাইল, ট্যাব ইত্যাদি।
কিন্তু এত অল্প বয়সে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুব বিরূপ প্রভাব ফেলবে। তবে অভিভাবকরা যদি সচেতন থাকেন তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ অভিভাবক মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত। যাদের এই সকল ডিভাইস কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই কিংবা চালানোর উপযুক্ত নয়। তাই এ বিষয়টি বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে শিক্ষার্থীদের উপর।

সিলেবাস কমানো: জানা গেছে গণিত এবং ইংরেজি বিষয় হতে বেশ কয়েকটি অধ্যায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে কম জানতে পারবে। কারণ বর্তমান সময় বা যুগ হচ্ছে গণিত এবং বিজ্ঞানের যুগ। এ সময় যদি তারা এ বিষয়ে কম জানে তাহলে পরবর্তীতে তারা অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে। তাই এ বিষয়টিও সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।

বইয়ের সংখ্যা বেশি: পূর্বের তুলনায় এই কারিকুলামে বইয়ের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আর একই সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া হবে আরও বেশি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। আর এছাড়াও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে রয়েছে জটিলতা। যার কারণে শিক্ষকরাও এখানে অতিরিক্ত চাপে থাকবেন।

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সমস্যা

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে কিছু সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হতে পারেন। এই সমস্যা মোকাবেলা করা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায় নতুন কারিকুলাম এর সাথে শিক্ষকরা খাপ খাওয়াতে পারেন না পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশিক্ষণের অভাবে।

এর ফলে শিক্ষার্থীদেরকে সঠিকভাবে পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। পর্যাপ্ত শিক্ষা-সামগ্রীর অভাবেও নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে গ্রামের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত, পাঠ্যপুস্তক, শ্রেণীকক্ষ, ল্যাব ইত্যাদির অভাব লক্ষ্য করা যায়।
এছাড়া নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে আরেকটি সমস্যা হলো শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ প্রয়োগ করা। এই সকল সমস্যা মোকাবেলা করে সঠিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করতে পারলে জাতি এবং দেশের উন্নয়ন সম্ভব।

নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025 সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা

এই ছিল নতুন শিক্ষাক্রমের সুবিধা ও অ-সুবিধাসমূহ 2025। শিক্ষকরা এবং অন্যান্য ব্যক্তি-বর্গরা জানাচ্ছেন এর সুবিধাগুলো বজায় রেখে অসুবিধাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা। এতে করে সঠিক একটি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার কারিকুলাম পাবেন শিক্ষার্থীরা। তাহলে এ প্রজন্ম পরবর্তী ভবিষ্যতে ভালো করবে।

সম্মানিত পাঠক আপনি জানতে পারলেন নতুন কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সমস্যা সম্পর্কে। আজকের আলোচনাগুলো ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url