মহান আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ

সম্মানিত পাঠক অনেক পরীক্ষাতে অথবা প্রতিযোগিতায় মাঝে মধ্যেই একটি কমন প্রশ্ন আমরা দেখি সেটি হলো আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ অথবা আল্লাহ তায়ালার পরিচয় সংক্ষেপে লিখ, আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখ। আমরা মহান আল্লাহ তায়ালাকে চিনলেও তার সম্পর্কে সুন্দর ভাবে অনেকেই দশটি বাক্য লিখতে পারিনা।
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
আজকের এই আর্টিকেলে ইনশাআল্লাহ আমরা আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য এবং আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে ১০টি বাক্য এমনভাবে তুলে ধরব যার মধ্যে আল্লাহর সম্পূর্ণ পরিচয় ফুটে উঠবে। আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে এবং মুখস্থ করলে আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ এই প্রশ্ন যদি আপনাকে করা হয় তাহলে আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।

ভূমিকা

নভোমণ্ডল এবং ভূমণ্ডলের যা কিছুই রয়েছে সব কিছুই মহান আল্লাহর সৃষ্টি। তিনি হলেন জগতসমূহের প্রতিপালক। সকল পশুপাখি এবং মানুষ সহ পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সবই তার ইচ্ছেতেই সৃষ্টি হয়েছে। তাই তিনি আমাদের রব। এই কারণে আল্লাহ সম্পর্কে আমাদের বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন করা উচিত যাতে আমাদের ঈমান মজবুত হয়।

মহান আল্লাহ সম্পর্কে বলতে গেলে শুধুমাত্র দশটি বাক্য যথেষ্ট হবে না। কেননা তিনি হলেন মহান এবং তার গুণের কোনও শেষ নেই। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন কোনও রব নেই তবে হ্যাঁ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর পরিচয় আমরা কোরআন এবং বিভিন্ন হাদিস থেকে খুঁজে পাই।
পৃথিবীতে যত আসমানি কিতাব এসেছে সকল কিতাবেই আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। চলুন আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য বিস্তারিত কোরআন ও হাদিসের আলোকে ধাপে ধাপে জেনে নেই।

আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ

আপনাকে যদি বলা হয় আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ তাহলে আপনি কোরআন ও হাদিস থেকে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরতে পারেন। যেমন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব আল কোরআনে বর্ণিত সূরা ইখলাসে মহান আল্লাহর পরিচয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি আপনি লিখতে পারেন। আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য নিচে লেখা হলো:
  • ১. মহান আল্লাহর এক এবং তাঁর মতো শক্তিশালী দ্বিতীয় কেউ নেই।
  • ২. আল্লাহ কাউকে জন্ম দেননি এবং আল্লাহকে কেউ জন্ম দেয়নি, তার সমকক্ষ দ্বিতীয় কেউ নেই। (সূত্র: সূরা ইখলাস, আয়াত নাম্বার ৩)
  • ২. আল্লাহ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল এর সৃষ্টিকর্তা, সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে একমাত্র আল্লাহর হাতে।
  • ৩. আল্লাহ কোনও কার্য সম্পাদনের সিদ্ধান্ত যখন নেন, তখন তিনি বলেন হয়ে যাও, আর তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। (সূত্র: সূরা বাকারা: ১১৭ নং আয়াত)
  • ৪. কোনও কিছুই তার অনুরূপ নয়, তিনি সবকিছু শ্রবণ করেন এবং সবকিছু দেখেন। (সূত্র: সুরা শুরা ১১ নম্বর আয়াত)
  • ৫. আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই এই মর্মে রসূল প্রেরণ করেছেন যে, তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুত (শয়তানের অনুসরণ) থেকে বেঁচে থাকে। (সূত্র সূরা নাহল আয়াত নং ৩৬)
  • ৬. আল্লাহ তাআলা স্বয়ং এর উপদেশগ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন এবং নিশ্চয়ই তিনি এর সংরক্ষক। (সূত্র: সূরা হিজর: ৯)
  • ৭. মহান আল্লাহর খাবার প্রয়োজন হয়না এবং ঘুম তাকে স্পর্শ করে না।
  • ৮. পৃথিবীতে যেদিকেই তাকানো হয় সেদিকেই মহান আল্লাহর বিভিন্ন নিদর্শন দেখা যায়, আর এইসব নিদর্শনের মাঝেই রয়েছে আল্লাহ তাআলার পরিচয়।
  • ৯. আল্লাহ ব্যতীত কোনও মা'বুদ নেই এবং তিনি সর্বপ্রকার ক্ষমতার উৎস।
  • ১০. আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টির একক সৃষ্টিকর্তা, যার সমতুল্য কেউ নেই।

আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে আরও কয়েকটি বাক্য লিখা হলো বিস্তারিত

মহান আল্লাহ তাআলা পরম করুণাময়ী এবং অনেক দয়ালু। একজন মা তার সন্তানকে যতটা ভালবাসে, তার চেয়েও বেশি আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ভালোবাসেন। আল্লাহর সাথে কোনও ব্যক্তি বা বস্তুকে সমকক্ষ সাব্যস্ত করা এবং যে সম্মান, আনুগত্য ও বিনয় একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য তা অন্য কারো জন্য প্রকাশ করা আল্লাহ পছন্দ করেন না, কেননা এটিই হলো শিরক।

আল্লাহ তাআলা হচ্ছেন রহিম, যার অর্থ হল অতি দয়ালু। আল্লাহ তাআলা হলেন অতি পবিত্র এবং তিনি পবিত্রতাকে পছন্দ করেন। তিনি হলেন আল-মুসাউইর অর্থাৎ আকৃতি দানকারী। আল্লাহতালা প্রত্যেকটি জড়ো এবং জীবকে নির্দিষ্ট আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহর হলেন গফফার, যার মানে হলো তিনি অতি ক্ষমাশীল। বান্দা যতই গুনাহ করুক না কেন, বান্দা যদি তওবা করে তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে ক্ষমা করেন।

আল্লাহ তাআলা হচ্ছেন আর-রজ্জাক, এর মানে হলো তিনি হচ্ছেন রিজিক-দাতা। পৃথিবীতে যত ফলমূল, শাকসবজি, হালাল জীবজন্তু রয়েছে সব তারই সৃষ্টি এবং তিনি আমাদের প্রতিনিয়ত আহার করান। মহান আল্লাহ তাআলা হচ্ছেন আল-আলিম। অর্থাৎ তিনি হলেন মহাজ্ঞানী বা সর্বজ্ঞ, তিনি এসব কিছুই জানেন। তার জ্ঞানের সমতুল্য কেউ নেই।

মহান আল্লাহ হচ্ছেন সম্মান দানকারী, আবার তিনি হলেন সম্মান হরণকারী। তিনি যাকে ইচ্ছা রাজা বানান আবার যাকে ইচ্ছে রাজা থেকে ফকির বানিয়ে দেন। আল্লাহ তাআলা নির্দেশেই প্রকৃতি চলে। মহান আল্লাহ সকল সৃষ্টির ব্যাপারে অবগত রয়েছেন। তিনি হলেন জীবন দানকারী এবং তিনি হলেন মৃত্যু দানকারী।
মহান আল্লাহর হলেন চিরস্থায়ী এবং চিরঞ্জীব, তিনি হলেন আল-আউয়াল এবং তিনিই হলেন আল-আখির, অর্থাৎ তিনিই শুরু এবং তিনিই শেষ। নভোমণ্ডল ভূমণ্ডলের সকল কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত। মহান আল্লাহ তাআলা হচ্ছেন মালীকুল মূলক অর্থাৎ সমস্ত কিছুর বাদশা। আর তিনি হলেন ন্যায় বিচারকারী, উত্তম প্রতিদান দানকারী এবং ক্ষমাকারী।

সম্মানিত পাঠক আপনাকে যদি আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ বলা হয় তাহলে এর ভেতর থেকে যে কোনও দশটি বাক‍্য আপনি লিখতে পারেন।

আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে ১০টি বাক্য

আল্লাহ তাআলা এমন অনেক জিনিস সৃষ্টি করেছেন যা আজও আমাদের অজানা রয়েছে। আমাদের প্রকৃতিতে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর সৃষ্টি। বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের নিচে গবেষণা করে, মহাকাশে গবেষণা করে নতুন নতুন সৃষ্টি আবিষ্কার করছেন। আল্লাহর এসব আশ্চর্যজনক সৃষ্টির মাঝে রয়েছে তার পরিচয়। চলুন আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে দশটি বাক্য জেনে নেই।

১. মানুষ (আশরাফুল মাখলুকাত): মহান আল্লাহ তাআলা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে মানুষ। মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব, যা মহান আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। মানুষের মতো জ্ঞান, বুদ্ধি এবং সম্মান কোনও জীবকে প্রদান করা হয়নি। পবিত্র আল কোরআনের একটি অন্যতম সূরা যার নাম আস সাজদাহ, এই সূরার সাত থেকে নয় নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন: মহান আল্লাহ মানুষকে মাটি এবং পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং জ্ঞান ও বিবেক দিয়েছেন।

২. আকাশ এবং পৃথিবী: বিজ্ঞানীরা বলে থাকে বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বে পৃথিবী ছিল ছোট্ট একটি বিন্দুর মতো। তারপর এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবী এবং আকাশ মণ্ডলের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক কোরআন মাজিতেও একই কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন একটি শূন্য বিন্দু থেকে এবং তিনি তা বিস্তৃত করেছেন। (সূত্র: সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ৩০)

৩. নক্ষত্র, চন্দ্র ও সূর্য: মহান আল্লাহ নক্ষত্র সূর্য ও চন্দ্রকে সৃষ্টি করেছেন যাতে মানুষ যন্ত্রের মাধ্যমে রাতে আলো পায়। আল্লাহ সূর্যকে আলোকিত করেছেন এবং নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন যার মাধ্যমে মানুষ দিকনির্দেশনা পায়। (সূত্র: সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৫)

৪. পর্বতমালা এবং নদী: ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে আল্লাহ যখন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তখন পৃথিবী নড়াচড়া করত। তাই পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য আল্লাহ তাআলা পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া মানুষের সুবিধার জন্য নদী নালা প্রবাহিত করেছেন। (সূত্র: সূরা নাহল, আয়াত নং ১৫)

৫. প্রাণী: পৃথিবীতে আল্লাহ অনেক ধরনের প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। আমরা প্রকৃতিতে অনেক ভয়ঙ্কর শক্তিশালী প্রাণী দেখতে পাই। কিছু কিছু প্রাণী রয়েছে যা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে যেমন ডাইনোসর। বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রাণী হলো সমুদ্রের তিমি। এসব প্রাণী সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অসীম শক্তির প্রমাণ পাওয়া যায়। অনেক প্রাণী রয়েছে যা মানুষের জন্য কল্যাণকর।

৬. গাছ: মহান আল্লাহ গাছ সৃষ্টি করেছেন যা মানুষ এবং সমস্ত প্রাণীর জীবন ধারণ করতে প্রয়োজন হয় (সূত্র সুরা ইয়াসিন, ৩৩ নম্বর আয়াত থেকে ৩৫ নম্বর আয়াত)। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। অক্সিজেন ছাড়া কোনও জীব বাঁচতে পারেনা। আবার এমন অনেক গাছ রয়েছে যার মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়, যাকে আমরা ঔষধি গাছ বলে থাকি।

৭. মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য: মহান আল্লাহ আমাদেরকে অর্থাৎ সমগ্র মানুষদেরকে শুধুমাত্র তার ইবাদত এবং পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি শ্রেষ্ঠ এটি আল্লাহ তাআলা দেখবেন।

৮. ফেরেশতা এবং জিন জাতি: আল্লাহ তাআলা অসংখ্য ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন এবং জিন জাতি সৃষ্টি করেছেন। ফেরেশতাদের সৃষ্টি করা হয়েছে নূর দ্বারা এবং জিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে আগুন দ্বারা। জিন এবং ফেরেশতাদের সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। এরা মানুষের আড়ালে অবস্থান করে। (সূত্র: সূরা রহমান, আয়াত নং ১৫)

৯. সমুদ্র: আল্লাহর সমুদ্র সৃষ্টি করেছেন। সমুদ্রের মাঝে রয়েছে অসংখ্য-অগণিত মাছ এবং বিভিন্ন প্রাণী। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শৈবাল রয়েছে যা মহান আল্লাহর সৃষ্টি। এছাড়া সমুদ্রের মুক্তার মতো মূল্যবান সম্পদ পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ সমুদ্র সৃষ্টি করেছেন মানুষ যাতে মাছ ধরে খেতে পারে। (সূত্র: এ সকল তথ্য সূরা নাহলে রয়েছে)

১০. পরিবর্তনশীল ঋতু: মহান আল্লাহ ঋতু সৃষ্টি করেছেন যা বিভিন্ন সময় পরিবর্তনশীল। ঋতু সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর আশ্চর্যজনক শক্তি প্রকাশ পায়। পরিবর্তনশীল ঋতুর মাধ্যমে পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় থাকে এবং জীবনের চক্র পরিচালনা হয়। (সূত্র: সূরা রুম, আয়াত নং ৪৮)

FAQ: প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১. আসমাউল হুসনা কি এবং আসমাউল হুসনা কয়টি?

উত্তর: মহান আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহ কে আসমাউল হুসনা বলা হয়ে থাকে। আল্লাহর গুণবাচক নাম অর্থাৎ আসমাউল হুসনা হচ্ছে মোট ৯৯ টি।

২. আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন?

উত্তর: সূরা ইখলাসে আমরা দেখতে পাই আল্লাহ তাআলা বলেছেন "লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ" অর্থাৎ তিনি জন্ম নেননি আবার কাউকে জন্ম দেননি। সুতরাং বোঝা যায় আল্লাহ সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা কিন্তু তিনি সৃষ্টি হননি। কেননা তিনিই সময় সৃষ্টিকারী এবং সময়ের বাহিরে অবস্থান করেন।

৩. কোন সূরায় আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে?

উত্তর: মহাগ্রন্থ আল কোরআনের ১১২ নাম্বার সূরার নাম হলো সূরা ইখলাস। এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা তার একত্ববাদের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে সুন্দরভাবে বলা হয়েছে সূরা ইখলাসে। ছোট্ট এই সূরাটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলার পরিচয় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়।

৪. আল্লাহকে কি দেখা সম্ভব?

উত্তর: দুনিয়াতে আল্লাহকে চর্ম চোখে দেখা সম্ভব নয়। মুসা আলাইহিস সালাম এবং তার উম্মতরা আল্লাহর দর্শন করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা আল্লাহর নূরকে সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তবে জান্নাতে আল্লাহকে দেখা যাবে এবং এটি হবে বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।

৫. আল্লাহ কি সব জায়গায় আছেন?

উত্তর: হ্যাঁ আল্লাহর জ্ঞান এবং ক্ষমতা সব জায়গায় বিরাজমান, কিন্তু আল্লাহ তাআলা আরশে আজিমে অবস্থিত।

উপসংহার: আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ

মহান রব্বুল আলামিন এর পরিচয় কেবলমাত্র দশটি বাক্য দ্বারা বুঝানো সম্ভব নয়। আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে লিখে কখনও শেষ করা যাবে না। তিনি এতই মহান। আল্লাহ সৎ লোকদের উত্তম প্রতিদান দিবেন এবং বদলোকদের শাস্তি প্রদানকারী।

আল্লাহ তাআলা তাঁর সত্ত্বা ও অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস করা, আল্লাহ তাআলার সকল গুণাবলীর উপর বিশ্বাস করা, আল্লাহ তাআলা তার সত্তা ও গুণাবলী সহ একক ও অদ্বিতীয় এ কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, আল্লাহ তাআলার সমস্ত হুকুম যেমন নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদিকে অবশ্য পালনীয় মনে করা সকল মুসলমানের উপর ফরজ।

মহান আল্লাহ তার পবিত্র কোরআনে নিজের পরিচয়, একত্ববাদ, বড়ত্ব-মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেছেন যা আমরা আপনাকে জানিয়েছি। মহান আল্লাহ সম্পর্কে জানার কোনও শেষ নেই। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি এখন আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখ এই প্রশ্নের উত্তর যথাযথ দিতে পারবেন।

আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমরা আপনার প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি, পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার আমন্ত্রণ রইল, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url