চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট
অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্টসম্মানিত পাঠক বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে জানা অনেক জরুরী। কেননা এই রচনাটি প্রায় সকল ক্লাসেই বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পাওয়া যায়। আর আপনি যদি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
কেননা আজকে আমরা এই বিষয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করব। তাই আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সকল অবদান সম্পর্কে জানতে পারবেন। বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞানের যুগ। শুধু চিকিৎসা বিজ্ঞান নয়, বরং সকল ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে।
ভূমিকা
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বর্তমানে সকল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করছে বিভিন্ন মাধ্যমে। যার কারণে চিকিৎসা ক্ষেত্রটি দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আগের যুগে উন্নত চিকিৎসার অভাবে অনেক মানুষ মারা যেতেন। এমনকি অসংখ্য রোগের চিকিৎসা ও মিলতো না মানুষদের। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে ইতোমধ্যে অনেক রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
যার কারণে রোগীর যত্ন নেওয়া সহজ হয়ে যাচ্ছে এবং রোগীরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ব্যবহারের কারণে অনেক রোগ বালাই কমে গিয়েছে। বর্তমানে যেকোনো ছোট বড় রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে সহজে রোগ নির্ণয় করা যায়। এগুলো সবই হলো বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অবদান।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান সম্পর্কে কেবলমাত্র ২০ পয়েন্ট নয়, বরং হাজার হাজার পয়েন্ট বলেও শেষ করা সম্ভব নয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান মানবজাতির জীবন পাল্টে দিয়েছে। চলুন এখন চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট জেনে নেই। আমরা মূল ২০টি পয়েন্ট সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট
এখন চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এই ২০ পয়েন্ট এর মধ্যে সকল প্রকারের উন্নত চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বিজ্ঞান আমাদের যেসব উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি উপহার দিয়েছে সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। নিচে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট দেওয়া হলো:
১. চিকিৎসকদের দক্ষতা অর্জন: বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে লেখাপড়া করতে যায় এবং বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে থাকে। বর্তমানে চোখ, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ইত্যাদি জটিল অঙ্গ প্রত্যঙ্গে সফলভাবে সার্জারি করতে সক্ষম চিকিৎসকরা। কেননা চিকিৎসকদের কাছে উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানের জ্ঞান রয়েছে।
২. রোবট এর মাধ্যমে অপারেশন: মাঝে মধ্যে বিভিন্ন রোগীকে জটিল অপারেশন করানো হয়। অনেক ডাক্তার রয়েছেন জটিল অপারেশন করার ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল করে থাকেন। ডাক্তারের সামান্য ভুলের কারণে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে
কিন্তু বর্তমানে এমনও রোবটিক সিস্টেম চলে এসেছে যার মাধ্যমে একদম সূক্ষ্মভাবে এবং সফলভাবে যেকোনো অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন মেশিন বা রোবটের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। তবে এটি বেশ ব্যয়বহুল। কিন্তু আশা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতে এই মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা সকলের জন্য সহজলভ্য হবে।
৩. অনলাইনে চিকিৎসা: বিজ্ঞানের অন্যতম একটি আশীর্বাদ হচ্ছে ইন্টারনেট এবং অনলাইন। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই অনলাইনে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কলের ডাক্তারদের সাথে আপনি কথা বলতে পারবেন।
বাংলাদেশে এরকম অনেক অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট বের হচ্ছে। যার মাধ্যমে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারবেন। আর যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৪. রোগীদের যত্ন: বর্তমানে অনেক হাসপাতালে রোগীদের যত্নে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেক রোগের জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি রোগীর রুমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এয়ার-কন্ডিশন (AC) ব্যবহার করা হচ্ছে।
হঠাৎ করে কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে অনলাইনের মাধ্যমে ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার অথবা হাসপাতালের ঠিকানা সহজেই পাওয়া যায়।
এমনকি আপনি যদি কোথাও ভ্রমণে থাকেন, আর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং আশেপাশে হাসপাতাল কোথায় রয়েছে তা না জানেন, তাহলে আপনি গুগল ম্যাপের মাধ্যমে সহজেই জেনে নিতে পারবেন। এগুলো সবই হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অবদান।
৫. ঔষধ উৎপাদন এবং সরবরাহ: বর্তমানে ঔষধ উৎপাদন করার জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা চালাচ্ছেন। তবে এটি বেশ কয়েক যুগ আগে থেকেই চলমান। তবে আগের যুগে গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা তেমন কোন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি পেতেন না।
কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার কারণে গবেষণার জন্য অনেক কিছুই আবিষ্কার করেছেন। যার মাধ্যমে তারা একসঙ্গে অনেক ঔষধ তৈরি করতে পারে। আর সকল ঔষধ অনেক সহজ লক্ষ্য যা ফার্মেসির দোকানে পাওয়া যায়।
৬. টিকা বা ভ্যাকসিন: বিজ্ঞানের আশীর্বাদে বর্তমানে রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরি করে থাকেন বিজ্ঞানীরা। এটি কেবলমাত্র সম্ভব উন্নত গবেষণার মাধ্যমে। আর উন্নত গবেষণার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে বিজ্ঞান।
অর্থাৎ বিজ্ঞান ছাড়া উন্নত মানের গবেষণা করে বিভিন্ন ধরনের টিকা বা ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগে মানুষ জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের টিকা গ্রহণ করে আসছে। যার মাধ্যমে অনেক ধরনের জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
৭. কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ: আপনি কি জানেন বর্তমানে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। যেমন হার্ট, কিডনি ইত্যাদি। বিজ্ঞানীরা বর্তমানে হার্টের বিকল্প, কিডনির বিকল্প এবং বিভিন্ন অঙ্গের বিকল্প তৈরি করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্বারা।
কিডনি নষ্ট হলে বিজ্ঞানীরা যে কিডনি তৈরি করেছেন সেটি ব্যবহার করে অনেকদিন সুস্থ থাকা যায়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট এর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
৮. ক্যান্সার নিরাময়: বেশ কয়েক বছর আগেই ক্যান্সার হলেই মানুষ মারা যেত। কিন্তু বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি বা বিজ্ঞানের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যান্সার নিরাময়ের উপায় আবিষ্কার করেছেন।
কেমোথেরাপি, ইমিউনো-থেরাপি এবং রেডিও-থেরাপি এর সাহায্যে ক্যান্সার রোগ ভালো করা যায়। সুতরাং চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট এর মধ্যে এই পয়েন্টটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৯. বংশগত রোগ: আমাদের মধ্যে অনেকেই বংশগত রোগের আক্রান্ত হয়ে থাকেন। অর্থাৎ আপনার পরিবারের বড়দের যদি কোন রোগ হয় তাহলে আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এটি বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের সাহায্যে ডিএনএ (DNA) বিশ্লেষণ করে এসব রোগ নির্ণয় করে থাকেন।
আর বর্তমানে বিজ্ঞানের যুগে বংশগত রোগ নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে বংশগত রোগ অনেক রয়েছে যেমন ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি, অতিরিক্ত খাটো হওয়া ইত্যাদি।
১০. মানসিক চিকিৎসা: বর্তমান সময়ে শুধু শারীরিক নয় বরং মানসিক চিকিৎসাও করা সম্ভব। বিজ্ঞান এতো দূর এগিয়ে গিয়েছে যে বিজ্ঞানীরা মানুষের মন বোঝার জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। আর সে অনুযায়ী তারা চিকিৎসা করে থাকেন।
সুতরাং কেউ যদি যদি মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তাহলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ করা সম্ভব।
১১. প্রজনন চিকিৎসা: বর্তমানে আইভিএফ, সারোগেসি ইত্যাদির মাধ্যমে গর্ভধারণ ছাড়াই সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাহলেই বুঝুন বিজ্ঞান কতদূর এগিয়ে গিয়েছে। তবে এ সকলের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দান করা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম একটি কাজ। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট এর এটি ছিল ১১ নং পয়েন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
১২. মহামারী রোগ নিয়ন্ত্রণ: আগের যুগে মাঝে মাঝেই মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়তো যেখানে সেখানে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় এটি আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। তবে সর্বশেষ ভয়ংকর মহামারী দেখা দিয়েছিল ২০১৯ সালে, যার নাম হলো করোনা মহামারী।
আরও পড়ুন নাম দিয়ে রাশি নির্ণয় পদ্ধতি
এই মহামারীতে পুরো পৃথিবীতে বহু সংখ্যক মানুষ মারা যায়। তবে উন্নত দেশগুলোতে বৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন করে দ্রুত মহামারী দমন করতে তারা সক্ষম হয়েছিল।
১৩. সচেতনতা বৃদ্ধি: বর্তমানে দিন দিন মানুষ অনেক সচেতন হচ্ছে। কেননা মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি এবং অন্যদের জানিয়ে সতর্ক করতে পারছি। বর্তমানে আপনি যদি কোনো কিছু জানতে চান তাহলে মোবাইলে অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে গুগলে সার্চ করলেই আপনি যা জানতে চান সবই জানতে পারা যায়।
এক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়ে থাকি যা অবলম্বন করলে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল না হয়ে একজন দক্ষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত যে কোনো চিকিৎসা ক্ষেত্রে।
১৪. দ্রুত হসপিটালে পৌঁছা: সঠিক সময় চিকিৎসা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে অনেক রোগী মারা যায়। আর বর্তমানে সাইন্সের যুগে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার অনেক উপায় রয়েছে।
যেমন আপনি যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দ্রুত হসপিটালে যাওয়ার প্রয়োজন পরে, আর আপনি উন্নত জায়গায় অবস্থান করেন, তাহলে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দ্রুত হসপিটালে পৌঁছতে পারবেন।
১৫. জীবাণুর কার্যকারিতা: মাইক্রোবায়োলজি এবং বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা জীবাণু সম্পর্কে জানতে পারে, এবং সেইসব জীবাণুর মাধ্যমে যেসব রোগ ছড়ায় সেগুলো রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বা আবিষ্কার করছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট এর ভেতর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
১৬. রোগ বালাই কম: বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি যার মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়। যেমন অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা, অতিরিক্ত খাবার খেলে শরীর মোটা হয়ে যায় এবং বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এছাড়া দাঁড়িয়ে পানি পান করা যাবে না, দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কিডনির ক্ষতি হয়। এ সকল তথ্য আমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে পেয়েছি।
১৭. রোগ নির্ণয়: বর্তমানে যে কোনো রোগ নির্ণয় করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। অনেক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষা, মূত্র পরীক্ষা, হরমোন পরীক্ষা করে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। এমনকি বডি স্ক্যান করে পুরো শরীরের যেকোনো স্থানে জটিল রোগ বাসা বাধলে তা সনাক্ত করা সম্ভব।
১৮. বিজ্ঞানীরা অনেক সময় ঔষধ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক নিয়ে কাজ করে। এ সময় সচেতন না থাকলে বিভিন্ন ধরনের নতুন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই দিকটি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
১৯. চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যর্থতা: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট এরমধ্যে এই পয়েন্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক রোগ রয়েছে যার চিকিৎসা এখনো বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে পারেনি। যেমন এইডস রোগ, সার্চ এবং ইবোলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগ ইত্যাদি। তবে গবেষণা এখনো চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
২০. বিজ্ঞানের ক্ষতিকর প্রভাব: মানুষের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থাকে সহজ করার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে। যেমন মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি। আর বর্তমানে অনেক মানুষ এসব ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। সব সময় এসব ডিভাইস ব্যবহার করার কারণে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবার অনেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে।
FAQ: আর্টিকেল সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১. কিভাবে পানি পান করলে সুস্থ থাকা যায়? বিজ্ঞান কি বলে?
উত্তর: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহণ করলে এর সুস্থ রাখা যায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনাকে অবশ্যই বানিয়ে বসে পান করতে হবে, আপনি যদি দাঁড়িয়ে পানি পান করেন তাহলে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
২. চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট এর মধ্যে কোন পয়েন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট এরমধ্যে উক্ত আর্টিকেলের ১৩ নাম্বার পয়েন্ট তথা "সচেতনতা বৃদ্ধি" এই পয়েন্টটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে সুস্থ থাকা যায় তা আমরা বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। কিন্তু সচেতনতা অবলম্বন না করলে এ বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। এজন্য বিজ্ঞানকে সঠিকভাবে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে।
৩. বাংলাদেশের কোন বিজ্ঞানী কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করেন?
উত্তর: বাংলাদেশের বিজ্ঞানী শুভ রায় কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করেন। তার জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায়।
উপসংহার
বর্তমানের উন্নত বিজ্ঞান আবিষ্কারের ফলে যে কোন ধরনের রোগ নির্ণয় করা ও প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করা সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের সচেতন হতে হবে যে, ঔষধ মানুষের রোগ ভালো করতে যেমন সাহায্য করে তেমনি ঔষধ যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় তাহলে এটি শরীরে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করতে পারে।
সম্মানিত পাঠক আপনি জানতে পারলেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে। আপনার যদি আরও কোনো কিছু জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজ এই পর্যন্তই, পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানে বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url