২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় জেনে নিন

সম্মানিত পাঠক আমাদের মাঝে এমন অনেক মানুষই রয়েছে যারা একদমই স্বল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। তাই তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় এবং ২ হাজার টাকা দিয়ে দিয়ে কিভাবে ব‍্যবসা শুরু করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়
আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়লে মাত্র ২০০০ টাকা দিয়ে একটি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন পেয়ে থাকেন তাহলে স্বল্প খরচেও অধিক লাভবান হতে পারবেন ব্যবসা করে। এই রকম সঠিক গাইডলাইন আজ আপনাকে আমরা দিব।

সূচিপত্র: ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় জেনে নিন

.

ভূমিকা

অনেক ব‍্যবসা রয়েছে যেসকল ব‍্যবসা করতে টাকার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি যদি সামান্য পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে ব‍্যবসা করেন তাহলে আপনি সেখান থেকেই একটি সফল ক‍্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

আপনি যদি স্বল্প মূলধন নিয়ে ব‍্যবসা করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কেননা অনলাইনেই আপনি কেবলমাত্র স্বল্প মূলধনে বিজনেস করে সফল হতে পারবেন সহজেই।

যদি অনলাইন প্ল‍্যাটফর্ম ব‍্যবহার না করেন তাহলে মাত্র দুই হাজার টাকা দিয়ে ব‍্যবসা করা খুবই কঠিন হবে। তবে অফলাইনেও স্বল্প মূলধন নিয়ে ব্যবসা করা যায়। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? ২ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে ব‍্যবসা করা যায় তার কিছু সম্ভাবনাময় আইডিয়া এবং ব‍্যবসা করার সঠিক পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো।

২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়

অনেকেই বলতে পারেন ২ হাজার টাকায় কি ব‍্যবসা করা যায়? এটির উত্তর হলো হ‍্যাঁ, ২ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব। ২ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করা কঠিন মনে হলেও সঠিক কৌশল প্রয়োগ এবং ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকলে এটি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে আপনি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা করলে লাভবান হতে পারবেন। এ ছাড়া কিছু অফলাইনে রয়েছে যা ২০০০ টাকা বিনিয়োগ করেই করা যায়। এগুলো কি কি ব‍্যবসা চলুন জেনে নেই।

১. ওয়েবসাইট খুলে ২ হাজার টাকা দিয়ে ব‍্যবসা

বর্তমানে ফ্রিতে ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে কাজ করা যাচ্ছেনা। তাই আপনি ১২০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ‍্যে যেকোনো ভালো একটি কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনতে পারেন। যেমন পুতুল হোস্ট, হোস্টিংগার, নেমচিপ ইত্যাদি কোম্পানি। ডোমেইন কেনার পর সেটি ব্লগারের সাথে আপনাকে কানেক্ট করতে হবে। তারপর সুন্দর ভাবে কাস্টমাইজ করতে হবে।

কিন্তু প্রশ্ন হতে পারে এগুলো আপনি কিভাবে করবেন। এগুলো আপনি ইউটিউবে সার্চ করেন নিজে নিজেই করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনাকে প্রতিদিন আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপর ভালো জানেন সেই বিষয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে।

তারপর যখন ওয়েবসাইটটি বড় হবে তখন আপনি অনেক ভিজিটর পেয়ে যাবেন প্রতিদিন। আর তখন মনিটাইজেশন অর্থাৎ গুগল অ‍্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শুধু মাত্র ট্রাফিক বা ভিজিটর থাকলেই হবে না অ‍্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ করতে হলে আপনাকে গুগলের বিভিন্ন নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে।

তারপর যখন মনিটাইজেশন চালু হবে তখন আপনি বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে গুগল বিজ্ঞাপন নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে দেখায় এবং ভিজিটররা যদি এইসব বিজ্ঞাপন দেখে কোনো সেবা কিনে নেয় তাহলে গুগল আমাদের ইনকাম দেয়।

তবে ব্লগিং করতে হলে আপনাকে ভালো মানের ইউনিক আর্টিকেল লিখতে হবে ওয়েবসাইটে। এমন সব আর্টিকেল প্রকাশ করবেন যেসব আর্টিকেল পড়ে মানুষ উপকৃত হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
এর মাধ্যমে আপনার আর্টিকেল গুগলে র‍্যাংক করতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ঠিক রেখে ভালো মানের আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার আর্টিকেলগুলো গুগল সবার উপরে থাকবে এবং প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর পাবেন।

ব্লগিং করে ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। আপনি যদি এই ব‍্যবসায় লেগে থাকেন তাহলে এক সময় অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা

অ‍্যাডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে না চাইলে আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রিসেলিং ব্যবসা বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে আপনি অন‍্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেখান থেকে কমিশন পাবেন।

এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারলে সেখান থেকে ইনকাম প্রদান করে। যেমন আমাজন। আমাজন অ‍্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এই ব‍্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।

কোর্স বিক্রির ব্যবসা

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে সেই বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করতে পারেন। আপনি সে বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে রাখবেন। তারপর সেটি প্রাইভেট করে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে।

এরপর আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল‍্যাটফর্মে আপনার কোর্সের বিষয়ে আকর্ষণীয়ভাবে ভিডিও আকারে পোস্ট করবেন। তাহলে দেখবেন অনেক মানুষ আপনার কোর্স কিনবে। যারা কোর্স কিনবে তাদেরকে ওয়েবসাইটে প্রাইভেট করে রাখা কোর্সটির অ‍্যাক্সেস দিয়ে দিবেন।

যারা অভিজ্ঞ খামারি ভাই রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই বর্তমানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বা শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক কোর্স অনেকেই বিক্রি করে থাকে। তাই এখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি অর্থাৎ কোর্স বিক্রি করা একটু কষ্টকর হতে পারে।
সেহেতু আপনি যদি একজন খামারি হয়ে থাকেন তাহলে কিভাবে পশু পালন করবেন এবং ব্যবসা করবেন সেই বিষয়ে একটি সম্পূর্ণ কোর্স তৈরি করতে পারেন। অনেকেই পশুপাখি পালন করে ব্যবসা করতে চান কিন্তু সঠিক গাইডলাইন পান না। তাই আপনি তাদের সুবিধার জন্য কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং আপনিও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট বিক্রি করে ব‍্যবসা

আপনি যদি ভেবে থাকেন ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় এবং আপনি যদি ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে পারেন এবং যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ওয়েবসাইট বিক্রির ব‍্যবসা করতে পারেন।

২ হাজার টাকা খরচ করে ভালো কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং ওয়েবসাইটে কাজ করে অ‍্যাডসেন্স যখন অ‍্যাপ্রুভ হয়ে যাবে তখন এটি অনেক টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তারপর একসাথে আরও অনেক ওয়েবসাইট প্রস্তুত করে আপনার ব‍্যবসা বড় করতে পারেন।

২. দুই হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ধূপকাঠির ব্যবসা

আমরা সবাই সুগন্ধ পছন্দ করি। এজন্য অনেকেই ধূপকাঠি ব‍্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ এবং ভারতের ধূপকাঠি প্রচুর পরিমাণ ব্যবহার করা হয়। বাজারে এর প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে এই ব্যবসাটি করলে অনেক লাভ করতে পারবেন। এটি তৈরি করতে খরচ কম এবং লাভ অনেক বেশি। আপনি মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা।

তবে আপনার কাছে ধূপকাঠি বানানোর মেশিন থাকতে হবে যার দাম ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ধূপকাঠি তৈরি করার জন্য কাঠি এবং মসলা বা বারুদ প্রয়োজন হবে। তারপর মেশিনের সাহায্যে তৈরি করে বাজারজাত করতে পারেন।

৩. মাত্র ২০০০ টাকায় দোকান দিয়ে ব্যবসা

আপনি রাস্তার পাশে, আপনার বাড়ির আশেপাশে অথবা বড় বড় স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটির আশেপাশে ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ছোট একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি স্বল্প খরচে কাঠ দিয়ে একটি ছোট দোকান তৈরি করতে পারেন। দোকানটি সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করতে হবে যাতে আকর্ষণীয় দেখায়।

কেননা মানুষ সুন্দর জিনিসকেই পছন্দ করে। আপনি এই দোকানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবসা করতে পারেন যেমন, ফুচকা, চটপটি, বিভিন্ন ফলের আঁচার, জিলাপি, সিঙ্গারা, ডাল-পুরি, বেগুনি, আলুর চপ, আখের রস, বিভিন্ন প্রকার শরবত, ইউনিক স্টাইলের চা, ঝাল মুড়ি ইত্যাদি।

প্রতিদিন যদি দুই হাজার টাকার বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে মাস শেষে আপনি প্রচুর অর্থের মালিক হতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে একটি ছোটখাটো রেস্তোরাঁ খুলতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ভাল রান্না জানতে হবে যেহেতু আপনার পুঁজি কম।

এখানে ২০০০ টাকা বিনিয়োগ করে নুডুলস, বার্গার, পিৎজা ইত্যাদি লোভনীয় খাবার বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া বাংলাদেশে এবং ভারতের মানুষ সকালে চা, কফি, সবজি দিয়ে রুটি এবং বিভিন্ন নাস্তা খেতে পছন্দ করেন।
ছাত্র-ছাত্রীরা সাধারণত সকালে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে স্কুল কলেজে যায়। এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা বাহিরে নাস্তা করে থাকে। তাই আপনি যদি স্কুল কলেজের আশেপাশে নাস্তার দোকান দিতে পারেন প্রতিদিন ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে।

৪. ঘরে বসে হস্তশিল্পের ব্যবসা

আপনি চাইলে দুই হাজার টাকার কাঁচামাল কিনে ঘরে বসে হস্তশিল্পের ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের মাটির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চায়ের কাপ, কলসি, পাটের ব্যাগ, শোপিস তৈরি করে অনলাইনে ব‍্যবসা করতে পারেন। ঘরে বসে প‍্যাকেট তৈরির কাজও বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়।

এছাড়া আপনি যদি সেলাই মেশিনের কাজ জানেন এবং আপনার যদি সেলাই করার মেশিন থাকে তাহলে জামা কাপড় তৈরি করেও ব‍্যবসা করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে বেশি খরচ করতে হবে না। কম টাকা বিনিয়োগ করেই এইসব ব‍্যবসা শুরু করা উচিত।

বাংলাদেশে শীতকাল চলে গেছি। এখন থেকে আবহাওয়া গরম হওয়া শুরু করবে এবং সেই সাথে হাত পাখার চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি হাত পাখা বানাতে পারেন তাহলে এটি প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করতে পারবেন অনলাইনেও আবার বিভিন্ন হাট বাজারেও।

কিন্তু অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে, আমি ঘরে বসে হস্তশিল্পের ব্যবসা করতে চাই কিন্তু হস্তশিল্পের কাজ জানিনা, শিখব কিভাবে? আপনি হস্তশিল্পের কাজ শিখতে চাইলে যারা হস্তশিল্পের কাজ করে ব‍্যবসা করে তাদের কাছে থেকে কাজ শিখে নিতে পারেন। এছাড়া ইউটিউবে সব ধরনের টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, সেখানে ভিডিও দেখেও শিখতে পারেন।

৫. হোমমেড খাবারের ব্যবসা

আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় খাবার তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য সেরা ব্যবসা হতে পারে। হোমমেড বা বাড়িতে বানানো খাবারের চাহিদা অনেক বেশি। কেননা বাহিরের খাবারে অনেক সময় ভেজাল জিনিসপত্র মেশানো থাকে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা হয়। এজন্য সকলে হোমমেড বা বাড়িতে বানানো খাবার পছন্দ করে।

তাই আপনি অনলাইনে হোমমেড খাবারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে, ফেসবুক পেজের নাম খাবার রিলেটেড হতে হবে। পেজ সম্পূর্ণভাবে তৈরি করার পর নিয়মিত আপনার রান্নার ভিডিও এবং খাবারের ছবি পোস্ট করতে থাকবেন।

পোস্টে খাবারের নাম এবং দাম উল্লেখ করে দিবেন। এছাড়া বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভার্সিটির আশেপাশে বিভিন্ন ছাত্রাবাস এবং ছাত্রী নিবাস রয়েছে। সেখানে যদি আপনার বাড়ি হয় তাহলে তো আরও ভালো। আপনি ছাত্রাবাস এবং ছাত্রী নিবাসে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রতিদিন খাবার ডেলিভারি দিয়ে মাস শেষে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

৬. মোবাইল রিচার্জ বা ফ্লেক্সিলোডের ব‍্যবসা

আমরা বেশিরভাগ মানুষ বর্তমানে মোবাইল ফোন ব‍্যবহার করি। মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য বা ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য টাকা অথবা এমবির প্রয়োজন হয়। আপনি যদি রাস্তার পাশে বসে ২ হাজার টাকা বিকাশে তুলে ফ্লেক্সিলোডের ব‍্যবসা করতে পারেন তাহলে কিছুটা লাভবান হবেন। লাভবান হলে পরবর্তীতে এই ব‍্যবসা আরও বড় করতে পারবেন।

৭. গিফট আইটেম ও ফুল বিক্রির ব‍্যবসা

গিফট আইটেম ও ফুল বিক্রির ব‍্যবসা আপনি ২০০০ টাকা দিয়েই শুরু করতে পারবেন। আপনার যদি ফুলের বাগান থাকে তাহলে সুন্দর ভাবে প‍্যাকিং করে গিফট আইটেম হিসেবে অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।

এছাড়া যারা গিফট আইটেম বিক্রি করে তাদের কাছে আপনি ফুল বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন ফুলের মার্কেটে অনেক দোকানদার পাইকারি দাম ফুল কিনে থাকে। তাদের কাছে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি নিজে যদি একটি দোকান দিতে পারেন তাহলে আরও অনেক বেশি লাভ করতে পারবেন।

দোকানদারদের কাছে ফুল বিক্রি করলে তারা পাইকারি দামে কিনে থাকবে, আর যদি আপনি নিজেই দোকানদার হন তাহলে আপনি খুচরা ব্যবসা করতে পারবেন এবং লাভ অনেক গুণে বেশি হবে।

২ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে ব‍্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১. মাত্র দুই হাজার টাকা দিয়ে ব‍্যবসা শুরু করা কি সম্ভব?

উত্তর: হ‍্যাঁ, অবশ্যই সম্ভব। ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ইনকাম করা যায় এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে। যেমন ওয়েবসাইট খুলে ব্লগিং করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, করে অথবা কোর্স বিক্রি করে ব্যবসা করা যায়। আবার অফলাইনে ঘরে বসে খাবার তৈরি করে, প্যাকেট তৈরি করে, ফুল বিক্রি করে, হস্তশিল্পের কাজ করে, ঝালমুড়ি, বাদাম, পিঠা ইত্যাদি বিক্রি করে ব্যবসা করা সম্ভব।

২. কিভাবে অনলাইনে ২০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা করা যায়?

উত্তর: প্রথমে দুই হাজার টাকা দিয়ে এমন একটি প্রোডাক্ট কিনুন যার চাহিদা অনেক বেশি। তারপর সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কিত অনেকগুলো ভিডিও তৈরি করুন। তারপর ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকে এই ভিডিও গুলো পোস্ট করতে থাকুন।

যখন আপনার পোস্ট দেখে কাস্টমাররা প্রোডাক্ট কিনতে চাইবে তখন দোকান থেকে প্রোডাক্ট কিনে এনে তাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন। তবে ভিডিওতে প্রোডাক্ট এর দাম উল্লেখ করে রাখবেন যেই প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করবেন।

৩. দুই হাজার টাকার ব্যবসায় কোনো ঝুঁকি আছে কি?

উত্তর: আপনি যে ব্যবসাই করুন না কেন সকল ব্যবসাতেই ঝুঁকি রয়েছে। তবে দুই হাজার টাকার ব্যবসায় ঝুঁকির পরিমাণ খুবই কম। আপনি যদি সঠিকভাবে ব্যবসা না করতে পারেন তাহলে খুব সামান্য পরিমাণই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

উপসংহার

স্বল্প পরিমাণ মূলধন নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনাকে প্রথমে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। কিছু কৌশল এবং ব্যবসার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে যা আমরা এই আর্টিকেলে জানানোর চেষ্টা করেছি।

বর্তমানে ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রথমে বাজার ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা, ডিজিটাল প্ল‍্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করা এবং ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যাওয়া। এভাবে ব্যবসা করতে পারলে আপনি অবশ্যই সফল হতে পারবেন।

সম্মানিত পাঠক আশাকরি ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।

ব্যবসা সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করতে পারেন। আজকের মূল আলোচনা ছিল ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে। আপনার যদি এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url