সেরা ১০টি কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

সম্মানিত পাঠক অনেকেই বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চায়। তাই আজকে আমরা সেরা ১০টি কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। যারা অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজে হাত খরচের টাকা জোগাড় করতে চান তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম
অনেক প্ল‍্যাটফর্ম রয়েছে যারা কোড বসিয়ে টাকা ইনকামের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে। কিন্তু আজকে আমরা যে সকল অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনাদের জানাবো সেগুলো বিশ্বস্ত apps এবং ওয়েবসাইট। তাই এখান থেকে আপনি অবশ্যই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভূমিকা

অনলাইনে কোড বসিয়ে ইনকামের অনেক উপায় রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই প্রতারণার মধ্যে পড়ে। যারা প্রতারণা করে তারা আপনাকে বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে আপনার ডিভাইসও পর্যন্ত হ্যাক করে নিতে পারে।

এসব থেকে আপনারা অবশ্যই দূরে থাকবেন। কোড বসিয়ে ইনকাম করার যেসব ফেক বা ভুয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কেও আমরা আলোচনা করব যাতে আপনি সাবধান হতে পারেন।

তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, এর পাশাপাশি আমরা রিয়েল ইনকাম সাইট সম্পর্কেও আপনাদের বলে দিব যাতে আপনারা সহজেই কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম

কোড লিখে বা বসিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় বিভিন্ন উপায়ে। আপনি কোডিং এর কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় এবং শতভাগ কার্যকর উপায় গুলো দেওয়া হলো যার মাধ্যমে আপনি কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

১. কোডিংয়ের কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং:

বর্তমানে কোডিং এর কাজের চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষ করে ওয়েবসাইট ডিজাইনার এবং ডেভেলপার হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কোডিং এর কাজ জানতে হবে। ভালোভাবে যদি কঠিন এর কাজ আপনি করতে পারেন তাহলে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
কেননা বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer, Toptal ইত্যাদিতে কোডিং এর কাজ পাওয়া যায়। আপনার যদি কোডিং এর কাজ জানা থাকে তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি জনপ্রিয় কাজ করতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

২. কোডিং করে অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম:

কোডিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছামত অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন আর সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। অনেকেই রয়েছে যারা অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট কিনে থাকেন। আপনি চাইলে তাদের কাছে ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৩. গুগল অ‍্যাডসেন্স এর কোড বসিয়ে ইনকাম:

আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে এবং আপনি যদি ব্লগিং করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল অ‍্যাডসেন্স এর কোড বসিয়ে ইনকাম করতে পারেন। তবে আপনাকে প্রথমে গুগলের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে হবে।

তারপর নিয়মিত ভালো পরিমাণ ট্রাফিক আসতে থাকলে আপনি ওয়েবসাইটে গুগল অ‍্যাডসেন্স অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি অনুমোদন পেয়ে গেলে গুগল অ‍্যাডসেন্স অ‍্যাকাউন্টে গিয়ে আপনাকে কোড তৈরি করতে হবে এবং সেই কোড ব্লগার টেমপ্লেট (যদি ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরি করা থাকে) এ গিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে বসালে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

৪. কোডিং করে থিম, টেমপ্লেট এবং প্লাগিন বিক্রি করে ইনকাম:

আপনি যদি কোডিং এর কাজ শিখে থাকেন তাহলে ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন ধরনের থিম, টেমপ্লেট এবং প্লাগিন বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রিমিয়াম থিম, টেমপ্লেট এবং প্লাগিনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

কোডিং করার মাধ্যমে আপনি এ সকল প্রিমিয়াম থিম, টেমপ্লেট এবং প্লাগিন তৈরি করবেন এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে সেল করতে পারেন।

৫. কোডিং টিউটোরিয়াল এবং কোর্স বিক্রি

আপনি কোথাও থেকে কোডিং এর কাজ শিখে সম্পূর্ণভাবে দক্ষতা অর্জন করে অন্যদেরকেও শেখাতে পারেনি টাকার বিনিময়ে। অনলাইনের মাধ্যমেই বর্তমানে ক্লাস করানো যায় একসঙ্গে শত শত মানুষদের নিয়ে। এটি আপনি জুম অ‍্যাপ অথবা গুগল মিটের মাধ্যমে করতে পারেন। এছাড়া আপনি কোডিং করে ইনকাম করার বিষয়ে কোর্স তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

৬. ওয়েবসাইট ডিজাইন করে:

আপনি যদি কোডিং এর কাজ ভালোভাবে জেনে থাকেন তাহলে নিশ্চয় ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন। প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে। কিন্তু অনেকেই তাদের মন মতো ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন না।
তাই তারা কোডিং এর কাজ জানে এমন মানুষদেরকে হায়ার করে থাকে এবং তাদের মন মতো ডিজাইন করে নেয়। আপনি এরকম কাজ পেতে চাইলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তুলে ধরতে পারেন। তাহলে সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।

৭. সাইবার সিকিউরিটির কাজ করে ইনকাম:

আপনি যদি কোডিং জানেন তাহলে সাইবার সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে আপনাকে ভালোভাবে ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে জানতে হবে। অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের ওয়েবসাইট কে সুরক্ষিত রাখার জন্য অথবা বিভিন্ন সফটওয়্যারে বাগ খুঁজে বের করার জন্য সাইবার সিকিউরিটিদের চাকরি দিয়ে থাকে।

৮. কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার Apps:

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে Star Money 2021 নামের এই অ্যাপ ব্যবহার করে কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এটি বাংলাদেশী অ্যাপ না হওয়ার কারণে ভিপিএন ব্যবহার করে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হয়। আপনি চাইলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে হারাম রিলেটেড কোনো কাজ যেমন জুয়া থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন।

৯. গুগল অ্যাডমব থেকে অ‍্যাড কোড বসিয়ে আয়:

আমরা জানি যারা ব্লগিং করে তারা google অ‍্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করে থাকে। ঠিক তেমনি যাদের নিজস্ব অ্যাপস রয়েছে তারা চাইলে গুগল অ‍্যাডমব থেকে কোড বসিয়ে আয় করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই প্লে স্টোরের একটি ভাল মানের অ্যাপ থাকতে হবে।

১০. ক‍্যাপচা কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম:

আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্যাপচা কোড বসিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। সাধারণত 1000 ক্যাপচা কোড বসালে 0.5 ডলার থেকে 2 ডলার পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে। নিচে কিছু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট এর নাম দেওয়া হলো যার মাধ্যমে আপনি ক্যাপচা কোড বসিয়ে আয় করতে পারবেন।
  • 2Captcha
  • Kolotibablo
  • Pro Typers
  • Captcha Typers

কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার নামে প্রতারণা

বর্তমানে যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে কোড বসিয়ে টাকা আয় করার নামে প্রতারণা চালানো হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। এ সকল পদ্ধতিতে কাজ করা থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।

ব্যাগে, ড্রেসে কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম

বেশিরভাগ মানুষই কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার নামে প্রতারণা করে থাকে। আপনারা ফেসবুক সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখবেন কোড বসে টাকা ইনকাম করার অফার দিচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাগে কোড বসিয়ে, বিভিন্ন ড্রেসে কোড বসিয়ে টাকা আয় করার ব্যাপারে তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে কেউ কেউ তাদের গ্রুপে অ‍্যাড হওয়ার জন‍্য টাকা দাবি করে থাকে, আবার কেউ কেউ ফ্রিতেই গ্রুপে অ‍্যাড করে। কিন্তু তারা পরবর্তীতে গ্রুপে মেম্বার অ‍্যাড করতে বলে আর সেসব মেম্বারদের থেকে টাকা দাবি করে। কিন্তু তারা কোনো ধরনের কোড বসানো কাজ দেয় না। এভাবে মূলত তারা প্রতারণা করে যাচ্ছে।

টেলিগ্রামে কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম

এছাড়া অনেকেই টেলিগ্রামে কোড বসিয়ে টাকায় আয় করার ব্যাপারে বলে থাকেন। এটিও একটি প্রতারণার ফাঁদ। মূলত তারা আপনার থেকে টেলিগ্রাম খোলা রয়েছে এমন কোনো মোবাইল নাম্বার চাইবে। তারপর আপনি নাম্বারটি দিয়ে দিলে আপনার নাম্বার থেকে তারা টেলিগ্রাম অ‍্যাকাউন্টে প্রবেশ করার জন্য চেষ্টা করবে।

যখন প্রবেশ করতে যাবে তখন আপনার মোবাইলে ছয় সংখ্যার একটি কোড যাবে। এই কোডটি তারা চাইবে, এই কোডটি দিলেই তারা আপনাকে টাকা দিবে বলে প্রতারণা করে থাকে।

মূলত এই করতে যদি আপনি তাদেরকে দিয়ে দেন তাহলে তারা আপনার টেলিগ্রাম একাউন্টটি হ্যাক করে নিবে এবং সাথে সাথে আপনাকে ব্লক করে দিবে। এইভাবেই দিনের পর দিন কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে অনেক প্রতারকরা।

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম

আমরা এমন বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখেছি যেখানে কোড বসিয়ে টাকা আয় করা যায় বলে অনেকেই দাবি করে। আমরা এ সকল ওয়েবসাইট যাচাই বাছাই করে দেখেছি। এ সকল ওয়েবসাইটে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর তারা আপনাকে কোড বসানোর অপশন দিবে, সেখানে যতবার কোড বসাতে থাকবেন ততো আপনার ইনকাম হতেই থাকবে।

কিন্তু সমস্যা হবে টাকা উইথ-ড্র করার সময়। তারা আপনাকে মোটেও কোনো টাকা দিবে না। এরকম প্রতারণা করে থাকে এমন ওয়েবসাইটের নাম হলো slomoney ডটকম। প্রায় এরকম নামেরই অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতারণা করে থাকে।

FAQs: প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

1. কোড বসিয়ে টাকা আয় করা কি হালাল?

উত্তর: করব সে টাকা আয় করা হালাল নাকি হারাম এটি নির্ভর করবে কাজের ধরনের উপর। কাজটি যদি অবৈধ এবং প্রতারণামূলক না হয় তাহলে অবশ্যই এটি জায়েজ বা হালাল। কিন্তু এই কাজের মধ্যে যদি প্রতারণা থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি হারাম বলে গণ্য হবে।

2. রেফারেল কোড ব‍্যবহার করে ইনকাম কিভাবে করা যায়?

উত্তর: বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট, অ‍্যাপ অথবা সার্ভিসের ক্ষেত্রে রেফারেল প্রোগ্রাম চালু করে থাকে। আপনার অ‍্যাকাউন্টে তৈরি করা এই কোড যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে তাহলে আপনি কমিশন পেতে থাকবেন। বিভিন্ন প্ল‍্যাটফর্মে রেফারেল কোড পেতে পারেন যেমন গুগল পে, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, ক্র্যাকেন (ক্রিপ্টো), দারাজ, ফোনপে ইত্যাদি।

3. ওয়েবসাইটে কোড বসিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়?

উত্তর: আপনার যদি কোনো ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে তাহলে গুগল অ‍্যাডসেন্স এর অ‍্যাড কোড বসিয়ে সহজেই প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করুন, তারপর নিয়মিত আর্টিকেল লিখুন। তারপর গুগল অ‍্যাডসেন্স অনুমোদনের জন্য আবেদন করুন। অনুমোদন পেয়ে গেলে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

উপসংহার

কোড বসিয়ে বা কোডিং করে বিভিন্ন মাধ্যমে আয় করা যায় যা আমরা উপরে আলোচনা করেছি। তবে অনেক ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজের নামে প্রতারণা করা হয়। এসব প্রতারকের ফাঁদে পা দিলে আপনার মোবাইল পর্যন্ত হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই কাউকে নিজের ব্যক্তিগত কোনো কোড দেওয়া থেকে সাবধান থাকুন।

সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করেছি সেরা ১০টি কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে এবং কোড বসানো কাজের ক্ষেত্রে মানুষ যেসব প্রতারণা করে থাকে সেগুলোও তুলে ধরেছি। আশা করি আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং আরও কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url