বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম - বিদেশে থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি
বেইমান মানুষ নিয়ে উক্তিসম্মানিত পাঠক, আপনারা অনেকেই বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম বা বিদেশে থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না। সহজে কিভাবে বিদেশে থেকে তালাক দেওয়া যায় তা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কেননা আমাদের এই বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সূচিপত্র:অনেকে আছে যারা সঠিকভাবে তথ্য দেয় না। কিন্তু এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি তালাক দেওয়ার নিয়ম সহ অন্যান্য সাধারণ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এখানে শুধুমাত্র মুসলিমদের তালাক দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে না, পাশাপাশি হিন্দুদের বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও জানতে পারবেন। যারা বিদেশ থাকেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
ভূমিকা
বর্তমানে শুধুমাত্র নিজ দেশে নয়, কাজের জন্য অনেকে বিভিন্ন দেশে বসবাস করে থাকে। অনেক দম্পতির পারিবারিক সমস্যার কারণে অথবা নিজের প্রয়োজনে তালাক দিতে চায়। কিন্তু বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম বা বিদেশে থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে তারা জানে না।
বাংলাদেশে তালাক দেওয়ার নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মাধ্যমে তালাক কার্যকর হয়। তবে আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে তালাক দেওয়ার অনেক সহজ পদ্ধতি রয়েছে, সে সম্পর্কেও আলোচনা করব।
তবে প্রতিটি স্বামী-স্ত্রীর উচিত ধৈর্য ধারণ করে সংসার টিকিয়ে রাখা। আমরা তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে সকলকে নিরুৎসাহিত করে থাকি। তবুও যারা একদম নিরুপায় হয়ে গেছেন, তালাক ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা নেই তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। তো চলুন এখন মূল বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার প্রক্রিয়াগুলো বেশ জটিল। আপনি নিজে সরাসরি বিদেশে বসে তালাক দিতে পারবেন না। আপনি নিজে বিদেশ থেকে তালাকের কোনো নোটিশ পাঠালে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
এক্ষেত্রে আপনাকে মোট ৬টি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে তাহলে আপনি আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ প্রদান করতে পারবেন। নিচে বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:
১. বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম এর প্রথম ধাপ:
প্রথমে আপনাকে একজন বাংলাদেশী উকিলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। অথবা আপনার বাংলাদেশের কোনো আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে একজন আইনজীবী বা উকিল নিযুক্ত করতে পারেন।
২. বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম এর দ্বিতীয় ধাপ:
একজন আইনজীবী নিযুক্ত করার পর সেই আইনজীবী আমমোক্তারনামা তৈরি করবেন। আমমোক্তারনামা হলো আপনি বিদেশ থেকে ডিভোর্স লেটার প্রদান করার যে ক্ষমতা কাউকে দিচ্ছেন সেটিকে বোঝানো হয়। এই আমমোক্তারনামা তৈরির মাধ্যমে আপনি ক্ষমতা সেই আইনজীবীকে দিতে পারেন অথবা আপনার ইচ্ছা মতো কাউকে দিতে পারেন।
আমমোক্তারনামা তৈরির সাথে সাথে একটি তালাকের নোটিশও তৈরি করতে হবে। তারপর আমমোক্তারনামা এবং তালাকের নোটিশ একসাথে বিদেশে আপনার কাছে পাঠাতে হবে। এসব কাজ যাকে দিয়ে করাবেন তাকে কিছু টাকা পয়সা দিতে হবে এবং শুরুতেই বিজ্ঞ আইনজীবী নিযুক্ত করার চেষ্টা করবেন যাতে কাজগুলো তিনি সহজেই করতে পারেন।
৩. বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম এর তৃতীয় ধাপ:
তৃতীয় ধাপে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হলো ডাকযোগে আমমোক্তারনামা এবং তালাকের নোটিশ হাতে পাওয়ার পরে সেখানে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু এখানে একটি ব্যাপার রয়েছে তা হলো আপনি একা একা এখানে স্বাক্ষর করলে হবে না।
আপনি যেই দেশে রয়েছেন সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী নোটারী বা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ওই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এর সামনে আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে।
৪. বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম এর চতুর্থ ধাপ:
চতুর্থ ধাপে আপনার স্বাক্ষর করা কাগজপত্র গুলো বাংলাদেশের এডভোকেটের কাছে পাঠাতে হবে। আপনার আইনজীবী যখন স্বাক্ষর করা কাগজপত্র হাতে পাবে তখন তিনি এগুলোকে বাংলাদেশে অবস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে নিবে।
৫. বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম এর পঞ্চম ধাপ:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনার কাগজপত্র গুলো সত্যায়িত করা হয়ে গেলে আপনি বাংলাদেশের যে জেলাতে বসবাস করতেন সেই জেলার জেলা প্রশাসকের মন্ত্রণালয় যেতে হবে এবং আপনার কাগজপত্রে ২০০ টাকার স্ট্যাম্প লাগাতে হবে।
স্ট্যাম্প লাগানো শেষ হলে সকল কাজও মোটামুটি শেষ। এখন দেশ থেকে যেভাবে তালাকপত্র পাঠানো হয় ঠিক সেভাবেই আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে তালাকপত্র পাঠাতে হবে।
৬. বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম এর ষষ্ঠ ধাপ:
ষষ্ঠ ধাপে আপনাকে তালাকপত্র বা তালাকের নোটিশ আপনার স্বামী বা স্ত্রীর কাছে পাঠাতে হবে। আর এই তালাকের নোটিশের আরেকটি কপি আপনি যাকে তালাক দিতে চান তার জেলার চেয়ারম্যান বা মেয়রের কাছে পাঠাতে হবে।
তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পর তালাক কার্য করা হবে। আপনার পারিবারিক সমস্যা যদি দূর হয়ে যায় অর্থাৎ আপনারা যদি আবার সংসার করতে চান তাহলে এই ৯০ দিনের মধ্যে আপনাকে তালাকের নোটিশটি তুলে নিতে হবে। আবার স্ত্রী যদি এই ৯০ দিনের মধ্যে অন্য কোথাও বিবাহ করে তাহলে সেই বিবাহ অবৈধ বলে গণ্য করা হবে।
মুসলিমদের বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার উপায়
যে সকল মুসলিম ভাই বোনেরা বিদেশ থাকেন এবং স্বামীকে অথবা স্ত্রীকে তালাক দিতে চান তারা উপরের বলা পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই তালাক প্রদান করতে পারেন। আমরা অনেক ওয়াজ মাহফিলে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্ন শুনে থাকি।
তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন হলো, তারা বলে মোবাইল ফোনে রাগের মাথায় যদি তিন তালাক দিয়ে দেই তাহলে কি আমার তালাক কার্যকর হবে? বিভিন্ন হাদিস এর পরিপ্রেক্ষিতে সকল আলেমগণ এক মত পোষণ করে বলেছেন, কেউ যদি স্ত্রীকে ফোনে তালাক দিয়ে দেয় তাহলে তার তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।
আপনি যদি ইসলামী শরীয়তের পদ্ধতি অনুযায়ী আপনার জীবনসঙ্গীকে তালাক দিতে চান তাহলে এটি তার সামনে মুখে বলাই যথেষ্ট যে আমি তোমাকে তালাক দিলাম। এছাড়া এর পাশাপাশি অবশ্যই আইন অনুযায়ীও তালাক প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন সেরা ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
আর মুখে তালাক এটি কেবলমাত্র মুসলিম ছেলেদের জন্য প্রযোজ্য। মেয়েদের ক্ষেত্রে শুধু মুখে তালাক দিলাম বললেই কার্যকর হবে না বরং আইনের বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ করে তালাক এর নোটিশ পাঠিয়ে কার্যকর করাতে হবে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশে থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি নিচে বলা হলো:
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশে থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি
বাংলাদেশের অনেক মুসলিম ভাই বোনেরা বিদেশে থাকে এবং তাদের জীবনসঙ্গীদের সাথে বিভিন্ন ঝামেলায় জড়ানোর কারণে অনেকে ডিভোর্স দিতে চান। কিন্তু অনেকেই বিদেশ থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না।
বিদেশ থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি হলো আপনাকে বাংলাদেশের কোন উকিল নিযুক্ত করার পর তাকে দিয়ে একটি আমমোক্তারনামা এবং ডিভোর্সের নোটিশ তৈরি করাতে হবে। তৈরি করা হলে আপনাকে সেসব কাগজপত্র বিদেশে পাঠাবে এবং আপনাকে সেই দেশের আইন অনুযায়ী সেখানে স্বাক্ষর করতে হবে।
স্বাক্ষর করা হলে আপনাকে আপনার উকিলের কাছে আবার সে কাগজপত্র অর্থাৎ আমমোক্তারনামা এবং ডিভোর্সের নোটিশ পাঠাতে হবে। আপনার উকিল এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে নিয়ে আপনার জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্ট্যাম্প লাগিয়ে নিবে।
তারপর আপনি যাকে ডিভোর্স দিতে চান তার কাছে ডিভোর্স পেপার পাঠাতে হবে এবং তার জেলার মেয়র অথবা চেয়ারম্যানের নিকটও ডিভোর্স পেপারের ফটোকপি পাঠাতে হবে।
তাহলেই সব কাজ শেষ। ডিভোর্স পেপার পাঠানোর ৯০ দিন পর আপনাদের ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে অর্থাৎ আপনাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মুসলিম ভাইবোনেরা খুব সহজেই বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ডিভোর্স দিতে পারেন।
হিন্দুদের বিদেশে থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি
বাংলাদেশে হিন্দুদের ক্ষেত্রে ডিভোর্স দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। বাংলাদেশের আইনে Hindu Marriage Registration Act, 2012 থাকলেও ডিভোর্স দেওয়ার ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই। তবে কোনো কিছুর ভিত্তিতে স্বামী অথবা স্ত্রী তালাক দেওয়ার জন্য অথবা আলাদাভাবে বসবাস করার জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন।
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে আপনি ইতোমধ্যে ধারণা পেয়েছেন। কেননা উপরে বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার সম্পূর্ণ নিয়ম খুব সহজে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিদেশ থেকে আপনি যদি আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে তালাক দিতে চান তাহলে আপনাকে একটি আমমোক্তারনামা এবং তালাকের নোটিশ তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন বাংলাদেশে এখন কোন ঋতু চলছে জানুন
এ দুটি কাগজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করার পর আপনি খুব সহজেই তালাক কার্যকর করতে পারবেন। এছাড়া আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি, জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি এবং পাসপোর্ট এর ফটোকপি ইত্যাদি কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
FAQ: বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১. আমি বিদেশে থাকি। আমি কি আমার স্বামীকে তালাক দিতে পারব?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই দিতে পারবেন। আপনি বিদেশ থেকে চাইলে দেশে থাকা স্বামীকে তালাক দিতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী আপনাকে সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে, তাহলে আপনার স্বামীকে তালাক দিতে পারবেন।
২. তালাক কার্যকর হতে কত সময় লাগে?
উত্তর: আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে তালাকের নোটিশ পাঠানোর পরে ৯০ দিন পর এটি কার্যকর হবে। আর এর মাঝে যদি আপনারা পুনরায় সংসার করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে তালাক এর নোটিশ তুলে নিতে হবে জেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। তবে ৯০ দিন পার হয়ে গেলে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।
৩. তালাক রেজিস্ট্রেশন করতেই হবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই করতে হবে। বাংলাদেশের মুসলিম বিবাহ ও তালাক আইন অনুযায়ী তালাক রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে হিন্দু ধর্মের স্বামী স্ত্রী তালাকের ক্ষেত্রে কোনো আইন নেই।
৪. কোনো মুসলিম স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দেয়, তালাক দেওয়ার কতদিন পরে পুনরায় সেই স্ত্রী বিবাহ করতে পারবে?
উত্তর: কোনো মুসলিম বোন যদি তার স্বামীকে তালাক দিয়ে থাকে, তাহলে তালাক দেওয়ার ৪ মাস ১০ দিন পর পুনরায় অন্য কাউকে বিবাহ করতে পারবে। এছাড়া যদি ওই মহিলার গর্ভে সন্তান থাকে তাহলে সন্তান জন্ম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তিনি চাইলে বিবাহ করতে পারেন।
উপসংহার
আমাদের দেশে প্রতিদিন তালাকের বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। এটি সমাজে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের সন্তান জন্ম হওয়ার পরেও তালাক বা ডিভোর্স হয়ে যায়। আর এর ফলে সন্তান মা হারা অথবা বাবা হারা হয়ে যায়, যা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।
সকল পিতা মাতাকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই ছেলে মেয়েদের যখন বিবাহ দিবেন তখন ভালো, চরিত্রবান এবং সৎ মানুষের সঙ্গে বিবাহ দিবেন। প্রিয় পাঠক আপনি জানতে পারলেন বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম, হিন্দুদের বিদেশে থেকে ডিভোর্স দেওয়ার পদ্ধতি, বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে ইত্যাদি সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।
আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার যদি উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন এবং আরও যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুন।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url