বিদেশি ফলের ছবি ও নাম - ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল
প্রিয় ভাই এবং বোনেরা আপনারা যারা বিদেশি ফলের ছবি ও নাম, ভারত ও বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফলের তালিকা সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজাখুজি করছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আজকে আমরা ১০০ টিরও বেশি বিদেশি ফলের নাম বলবো যা অনেকেই আগে শোনেননি। এছাড়া কোন কোন ফল ভারত এবং বাংলাদেশের চাষ করা যায় সে সকল বিদেশি ফলের তালিকা তুলে ধরব। যারা ভাবছেন বিদেশি ফল চাষ করবেন তারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেক ভালো। এছাড়া এই দুই দেশের মাটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যার কারণে ভিনদেশি ফল চাষ করা যায়। বর্তমানে অনেক কৃষক ভাইয়েরা বিদেশি ফল চাষ করে দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছেন এবং বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন।
এছাড়া বিভিন্ন বিদেশি ফল দেশে চাষ হওয়ার কারণে আলাদাভাবে বিদেশ থেকে আর কোনো ফল আমদানি করার প্রয়োজন হচ্ছে না। পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন জাতের ফল পাওয়া যায়। যা ভারত এবং বাংলাদেশের অনেক মানুষ চোখেই দেখেনি।
আরও পড়ুন পুরুষের ভুঁড়ির উপকারিতা ও অপকারিতা
এ সকল ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এমন এমন বিদেশি ফল রয়েছে যা খেলে ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে বিদেশি ফলের ছবি ও নাম গুলো জেনে নেই।
বিদেশি ফলের ছবি ও নাম
বিদেশি ফলের ছবি ও নাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। কেউ চাষ করার উদ্দেশ্যে, আবার কেউ লেখাপড়ার জন্য বা জ্ঞান অর্জন করার উদ্দেশ্যে জানতে চান।
যারা বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফলের নাম ও ছবি দেখতে চান তাদের জন্য প্রায় ১০০ টিরও বেশি বিদেশি ফলের ছবি ও নাম দেওয়া হলো।
- কাটিমন আম, ফিগ ফল, মিরাকেল বেরি, কিউজাই আম
- এগফ্রুট, থাই কদবেল, ব্যানেনা আঁখ
- মাল-বেরি ফল, ম্যানিলা চেরি, করোসল
- রবা মেলন, আলু বোখারা, সুইট লেমন
- রক মেলন, ফিলিপাইনের কালো আঁখ, স্ট্রবেরি পেয়ারা
- মিশরীয় ডুমুর, ডেকোপন কমলা, ভিয়েতনামি মাল্টা
- সাদা জাম, লাল কাঁঠাল, সিডলেস কাঁঠাল
- লাল আঙ্গুর, কাসবা তরমুজ, এরকন বাদাম
- কোকো ফল, পিলি বাদাম, ক্যাপার্স
- বয়সেন-বেরি, ম্যাকডামিয়া বাদাম, ননী ফল
- সুরিনাম চেরি, ক্লাউড বেরি, কিওয়ানো
- এলডার বেরি, বার-বেরি, অ্যাঞ্জেলেনো বরই
- স্ট্যানলে বরই, ফিজালিস ফল, বুদ্ধের হাতের ফল
- বিলম্বি ফল, মিষ্টি করমজা, ফলসা
- আখরোট, কুমকোয়াট, ক্র্যান-বেরি
- কোকম ফল, নোড় ফল, লাল জামরুল
- লাল কলা, বিং চেরি, সবুজ আপেল
- ড্যামসন বরই, রাস্প-বেরি, ব্লাক-বেরি
- এপ্রিকট, চেরি, ফুটি ফল
- স্ট্রবেরি, নাশপাতি, ব্লু-বেরি
- ডুরিয়ান ফল, রাম্বুটান, প্যাশন ফল
- লুকলুকি ফল, ব্রেড ফল, থাই সাম্মাম
- লংগান ফল, পীচ ফল, অ্যাভোকাডো
- কিউই ফল, পার্সিমন ফল, ম্যাঙ্গোস্টিন
- লিচু টমেটো, সাপফল, আতিস ফল
- জাম্বু ফল, হরিতকি, কাঁটা আমড়া
- জাম্বু ফল, হরিতকি, কাঁটা আমড়া
- বায়ুবী ফল, উগনি বেরি, হর্নড মেলন
- জাবোটিকাবা, মাংস্টো ফল, লুচু ফল
- বেলিম্বিং ফল, ডুকু, ইয়াংমেই
- মরিন্দা ফল, স্প্যানিশ লাইম, কাফির লাইম
- ওয়াকো জম্বু, বাটারফ্রুট, ক্যাস ক্যাস ফল
- আমেরিকান পালম, গোজি বেরি, নিশিপালম
- ডেজার্ট লাইম, সোপ্রান ফল, হাতি আমলকি
- চেরিমোয়া, আর্জেন্টাইন বেরি, কোল্ডেন বেরি
- গুডল্যান্ড আপেল, স্যাপোট ফল, মুলবেরি
- রেড বানানা, ক্যাকটাস ফল, ম্যারাং ফল
- বাবাকু ফল, ফিঙ্গার লাইম, র্যাঙ্গপু’র কমলা
- হাক্লবেরি, অলিভ ফল, মাদার ফল
- রোলিনিয়া, এঁচড়া ফল, বারবাডোস চেরি
- ট্যামারিলো, স্যাপোটা ফল
বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফলের তালিকা | ভারতে চাষযোগ্য বিদেশি ফলের তালিকা
লংগান ফল: এটি একটি ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল। এই ফলের আকার আকৃতি সম্পূর্ণ লিজোর মতো। তবে লিচুর চেয়ে খেতে অনেক বেশি মজাদার। ভারত বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে এই ফলের অনেক সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই ফলকে কাটলিচু বা আঁশফল নামে জানে।
থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে এই ফল চাষ করা হয়। এই ফলের দাম সাধারণত অনেক বেশি হয়ে থাকে। ভারত এবং বাংলাদেশে এ ফল সহজে চাষ করা যাচ্ছে।
এই ফল চাষ করলে আমাদের দেশের কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে। লংগান সহজে চাষ করা যায় এবং প্রতিবছর ফুল ও ফল দেখা যায়। এটি চাইলে ছাদেও চাষ করা যেতে পারে।
পিচ ফল: চায়নাতে এই ফল প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায়। এই ফলটি কিছুটা আপেলের মতো দেখতে, তবে খেতে আপেলের চেয়ে বেশি মিষ্টি। পিচ ফলের গাছ মাঝারি আকার হয়ে থাকে। তাই এটি ছাদেও চাইলে চাষ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন Dxn ganozhi soap এর উপকারিতা
এই ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং চাহিদাও অনেক বেশি। আমাদের দেশের আবহাওয়াতে এই ফলটি ভালোভাবে চাষ করা যায়।
ডুরিয়ান ফল: এটি একটি ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল। এটি মালয়েশিয়ান ফল। অনেকেই এই ফল দেখে ভাববেন এটি একটি কাঁঠাল। কেননা এই ফল কাঁঠালের মতোই দেখতে। এই ফলের বীজ থেকে তারা উৎপাদন হয়। এই ফলের দাম অনেক বেশি এবং বাজারে চাহিদা ও রয়েছে। তাই যদি ডুরিয়ান ফল চাষ করেন তাহলে লাভবান হতে পারেন। এই ফল চাষ করা অনেক সহজ এবং আমাদের দেশে এই ফল নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
রাম্বুটান ফল: এই ফলটি পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। এটি একটি মালয়েশিয়ান ফল। দেখতে লিচুর মতো, কিন্তু লিচুর চেয়েও অনেক সুস্বাদু খেতে। এই ফলের গাছ চাষ করা অত্যন্ত সহজ, কেননা রাম্বুটান ফলের গাছের বেশি পরিচর্যা করার প্রয়োজন হয় না।
শুধুমাত্র শীতকালের তিন মাস এই গাছ থেকে ফল পাওয়া যায় না, কিন্তু বাকি নয় মাস এই কাজ থেকে প্রচুর পরিমাণ ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে রাম্বুটান গাছের বয়স যত বৃদ্ধি হতে থাকে ফলনও ততো বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশের সম্প্রতি এই ফলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে এই ফল অনেক জনপ্রিয়। এই ফলের দাম প্রচুর হওয়ার কারণে বাণিজ্যিকভাবে যদি কৃষকরা চাষ করে তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারবে। কাঁঠাল গাছের মতো একবার রোপণ করলে এই গাছ থেকে প্রতিবছর ফলন পাওয়া যায়।
প্যাশন ফল: এটিও একটি ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল। এটি একটি ব্রাজিলিয়ান ফল। অনেকেই এই ফল সম্পর্কে জানেন না। তবে প্যাশন ফল ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে বর্তমানে চাষ করা হচ্ছে। এই ফলটি ট্যাং নামেও পরিচিত। ১৮ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই গাছ চাষ করতে হয়, তাহলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
বীজ থেকে অথবা শাখা কলম থেকে এই প্যাশন ফলের গাছের বিস্তার ঘটে। আমাদের দেশে মেয়ে মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এই গাছ এর চারা রোপণ করার উপযুক্ত সময়।
লুকলুকি ফল: এটি একটি বিদেশি ফল। আমাদের বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে এই গাছ রয়েছে। আমাদের দেশের আঞ্চলিক ভাষায় এই ফলকে টিপা ফল বলা হয়। এই ফল গাছটি উর্বর জমিতে চাষ করতে হয়। তবে অতিরিক্ত কোনো সার প্রয়োগ করার দরকার হয় না। আমাদের দেশের বাজারে এই ফল তেমন দেখা না গেলেও এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে।
অ্যাভোকাডো: পুরো পৃথিবীতে অ্যাভোকাডো ফলের প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণ চাষ হতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকাতে। অ্যাভোকাডো ফলের দাম অনেক বেশি। তাই এটি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা যায়।
এই ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই ফলের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা সম্ভব। ভারত কিংবা বাংলাদেশে বসে আপনিও এই ফল চাষ করে লাভবান হতে পারবেন।
কিউই ফল: এটি ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল। কিউই ফল নিউজিল্যান্ডের জাতীয় ফল। এই ফলটি পুরো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাষ করা হয় প্রচুর পরিমাণে। অনেকেই এই ফলকে পুষ্টির কারখানা বলে থাকেন। এটি ভারত অথবা বাংলাদেশের কৃষকরা চাষ করতে পারেন। এই ফলের দামও প্রচুর, তাই এই ফল চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন।
ব্রেড ফল: এটি একটি বিখ্যাত ফল যা ভারত এবং বাংলাদেশের বর্তমানে চাষ করা হচ্ছে। ভারত এবং বাংলাদেশে এই ফলকে রুটি ফলও বলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধান এবং গমের বিকল্প হিসেবে এ ফলটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এই ফলটিও দেখতে কিছুটা কাঁঠালের মতো, এই ফলের গাছের পাতা পেঁপে গাছের পাতার মতো। আপনিও চাইলে এই ফল চাষ করে বিশ্ব দরবারে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেন।
ম্যাঙ্গোস্টিন ফল: বর্তমানে ভারত এবং বাংলাদেশেও ম্যাঙ্গোস্টিন ফল চাইলে চাষ করতে পারেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ম্যাঙ্গোস্টিন চাষ করতে হলে গাছের চারা সংগ্রহ করতে হবে অথবা ম্যাঙ্গোস্টিন গাছের মাধ্যমে কলম করে চাষ করা যেতে পারে। এই গাছ থেকে তাড়াতাড়ি এবং অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব।
আলু বোখারা ফল: এই ফলটি আমি নিজেও খেয়েছি। খেতে বেশ সুস্বাদু। এতে উচ্চ পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং এটি ঔষধি গুণসম্পন্ন উপকারী ফল। তাই এই ফল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। ভারত এবং বাংলাদেশের চাইলেই বাণিজ্যিকভাবে এই ফল চাষ করা সম্ভব।
ড্রাগন ফল: এটি ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল গুলোর মধ্যে অন্যতম। ড্রাগন ফল চিনেনা বাংলাদেশে এবং ভারতে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না। বিদেশি এই ফলটি আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কেননা বাংলাদেশ এবং ভারতের একটি ব্যাপকভাবে চাষ করা হচ্ছে।
প্রচুর পরিমাণ ড্রাগন গাছ রোপণ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ড্রাগন গাছ চাইলে ছাদেও লাগাতে পারেন। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ও চাষ করা যায়।
সাম্মাম ফল: সাম্মাম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ। বাংলাদেশের অনেক জায়গাতে এটি চাষ করা হচ্ছে। এই ফল চাষ করে বাংলাদেশি চাষিরা অনেক খুশি, কেননা তারা লাভবান হচ্ছেন। এই ফলটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার পরিকল্পনা করলে অর্থনৈতিকভাবে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
ননী ফল: ইতোমধ্যে অনেকেই এই ফলটির নাম শুনেছেন। এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন ফল, যা খেলে ১৫০ টির বেশি উপকার পাওয়া যায় বলে অনেকেই জানিয়েছেন। বিশেষ করে ক্যান্সার রোগ ভালো করতে এই ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই গাছের পাতাও অনেক উপকারী। আমাদের দেশে ননী ফল চাষ করা যাবে, চাইলে করতে পারেন।
পার্সিমন ফল: অনেকের কাছেই এই ফলটি প্রিয় একটি ফল। কেননা এটি অত্যন্ত সুস্বাদু। পার্সিমন জাপানের জাতীয় ফল। বিদেশি এই ফলের দাম অনেক বেশি। বিভিন্ন জায়গাতে এটি ১০০০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি করা হয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন পার্সিমন ফল চাষ করলে কতটা লাভবান হওয়া সম্ভব।
মিরাকল বেরি: এই ফলকে ম্যাজিক ফল বলা হয়। এই ফল অত্যন্ত মিষ্টি। এমনকি আপনি মিরাকল বেরি খাওয়ার পর যদি টক জাতীয় খাবার বা লেবুও খেয়ে থাকেন তাহলে সেটিও মিষ্টি লাগবে। এজন্য একে মিরাকল বেরি ফল বলা হয়। এজন্য এ ফলটি অনেক জনপ্রিয়, তাই এটি চাষ করতে পারেন।
স্ট্রবেরি পেয়ারা: এই ফলটি ব্রাজিলের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে ভারত এবং বাংলাদেশেও বিভিন্ন নার্সারিতে এই গাছ দেখা যাচ্ছে। এই ফলটি দেখতে অনেক সুন্দর। স্ট্রবেরি পেয়ারা গাছের চাষ পদ্ধতি খুব কঠিন নয়, এমনকি আপনি চাইলে টবেও চাষ করতে পারেন।
ভেরিগেটেড মাল্টা: এই বিদেশি মাল্টা চাইলে আপনিও চাষ করতে পারেন। বর্তমানে ভেরিগেটেড মাল্টা আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা যাবে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই গাছের চারা লাগানোর পর এক বছর পার হলেই ফল ধরা শুরু করে।
মিশরের ডুমুর: ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল হলো মিশরের ডুমুর। মিশরের ডুমুর বা মিশরীয় ডুমুর ফল অনেকেই দেখেছেন। ডুমুর বা ত্বীন ফলের উপকারিতা অনেক বেশি। এমনকি পবিত্র কোরআনের এই ফলের নামে একটি সূরা রয়েছে। এই মিশরীয় ডুমুর অল্প জায়গাতে, এমনকি বাসার ছাদেও চাইলে চাষ করতে পারেন। বাজারে এই ফলের চাহিদা খুবই বেশি। তাই নিশ্চিন্তে চাষ করতে পারেন।
নাশপাতি: বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এবং অন্যান্য এলাকাতে নাশপাতি ফল চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। এই ফলটি আপেলের মতো, কিন্তু আপেলের চেয়ে মিষ্টি এবং সুস্বাদু, আর পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আমি নিজেই এই ফল খেয়েছি এবং অনেক বেশি পছন্দ করি। বাজারে এই ফল চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে গাড়ির ছাদে বারোমাসি নাশপাতি চাষ করছেন।
FAQ: বিদেশি ফলের ছবি ও নাম - ভারত বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১. বিদেশি ফলের উপকারিতা কি?
উত্তর: আমাদের দেশের সকল ধরনের ফল পাওয়া যায় না। আমরা যদি বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফল খাই তাহলে আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। কেননা বিদেশি বিভিন্ন ফলে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।
২. বিদেশি ফল চাষের উপকারিতা কি?
উত্তর: সাধারণত বিদেশি ফল চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। একদিকে নিজের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবেন এবং বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করে নিজে লাভবান হতে পারবেন। এছাড়া অন্যের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করতে পারবেন।
৩. বাংলাদেশে বিদেশি ফল কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: বাংলাদেশে এখন বিদেশি ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে বড় বড় সুপার-শপে, ফলের দোকানে এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পেতে পারেন। এছাড়া বাংলাদেশেও অনেক ধরনের বিদেশি ফল চাষ করা হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলাদেশ এবং ভারতে বিদেশি ফলের চাহিদা অনেক বেশি। কেননা এসব দেশে বিভিন্ন জাতের ফল জন্মাতে দেখা যায় না। তবে বাণিজ্যিকভাবে বর্তমানে বিদেশ থেকে অনেক ধরনের বিদেশি ফলের চারা নিয়ে এসে চাষ করা হচ্ছে। দোকানে বিদেশি ফল কিনতে গেলে অনেক টাকা খরচ করতে হয়, এজন্য সকলে কিনতে সক্ষম হয় না।
এজন্য আমাদের দেশে বেশি বেশি বিদেশি ফলগুলো চাষ করা উচিত, যাতে আমরা সকলেই বিদেশি ফল খেয়ে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারি। এছাড়া বিদেশি ফল চাষ করে আমাদের দেশের বাজারে বিক্রি করে, এমনকি বিদেশে রপ্তানি করেও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা বিদেশি ফলের ছবি ও নাম, বাংলাদেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফলের তালিকা এবং ভারতে চাষযোগ্য বিদেশি ফলের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাদের আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন এবং আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url