অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই - অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই, অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ, ম্যারেজ সার্টিফিকেট কোথায় পাওয়া যায়, অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে।
আমরা উপরোক্ত টপিক গুলো সহ আরও আলোচনা করব ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক অনলাইন বাংলাদেশ, অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই ঢাকা, অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই চট্টগ্রাম সম্পর্কে। আশা করি আপনি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে অনেক উপকৃত হবেন।
ভূমিকা
বর্তমানে আমরা ডিজিটাল যুগে অবস্থান করছি। তাই আমরা অনেক কাজই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই করে ফেলতে পারি। আমাদের বাংলাদেশ সরকার জনগণের জন্য অনেক ধরনের অনলাইন সেবা প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে অনেকের প্রয়োজনীয় একটি সেবা হলো অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করণ, অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ।
এছাড়া আপনি ঘরে বসে অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন এর অনেকে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন খুব সহজেই। কয়েক বছর আগেও বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিভিন্ন অফিসে কাগজপত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে সকল কিছু করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন অনলাইনে বিদেশে চাকরির আবেদন
শুধু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে না, আপনাকে এটাও যাচাই করতে হবে যে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা। সেটা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন, তবে এই প্রক্রিয়া কেবলমাত্র ভারতে রয়ছে এবং বাংলাদেশেও চালু হওয়ার কথা চলছে। তো চলুন এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।
অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ
অনেকেই অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ লিখে গুগলে সার্চ করে থাকে অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য। অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন এখন খুব সহজেই করা যাবে সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। নিচে অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ বা অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি দেখানো হলো।
অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি
অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। তবে অনলাইনে সম্পূর্ণ ভাবে রেজিস্ট্রেশন করার আইন এখনও চালু করা হয়নি। তবে শীঘ্রই চালু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বিবাহ নিবন্ধন করার জন্য বা বিয়ে করার জন্য পাত্র এবং পাত্রীকে অবশ্যই একই স্থানে অবস্থান করতে হবে।
তবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের প্রাথমিক কিছু কাজ আপনি ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে করতে পারবেন। বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি করতে হবে এবং কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেসব জানতে পারবেন। এছাড়া আপনি সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন সাহায্য নিতে পারবেন।
আপনি কাজী অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে কাজীর মাধ্যমে আপনি রাষ্ট্রীয় পদ্ধতিতে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দুইজন সাক্ষীও থাকতে হবে।
আরও পড়ুন অনলাইনে বিয়ে করার নিয়ম
এছাড়া আপনি যদি বিদেশে থাকেন এবং বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে কাউকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা দিয়ে আপনি বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে এটি বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া।
অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছি এখন অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই-বাছাই অথবা কাবিননামা দেখতে পারবো কিনা। এর উত্তর হলো অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার প্রক্রিয়া বাংলাদেশে এখনও চালু হয়নি।
তবে ভবিষ্যতে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপনি যদি বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে চান বা হাতে পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাজী অফিসে যেতে হবে।
আবার যেকোনো কাজী অফিসে গেলেই হবে না, আপনি যেই কাজী অফিসে বিয়ে করেছেন বা বিবাহ রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করেছেন শুধুমাত্র সেই অফিসে গেলেই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে পারবেন এবং কাবিননামা হাতে পাবেন।
অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই ঢাকা | অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই-বাছাই করতে চায়। আপনি ঢাকা থাকেন বা চট্টগ্রাম থাকেন, যেখানেই থাকেন না কেন আপনি অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে পারবেন না। কেননা এমন কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এখনও তৈরি করা হয়নি এবং সরকারিভাবেও কোনো অনুমোদন নেই।
তাই আপনি যার মাধ্যমে বিবাহ নিবন্ধনের আবেদন করেছেন তার সাথে যোগাযোগ করুন কেননা একমাত্র তার মাধ্যমেই আপনি বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে পারবেন। সাধারণত বাংলাদেশে কাজীরাই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করে থাকে এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে।
ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক অনলাইন বাংলাদেশ
অনেক প্রবাসী ভাই বোনেরা সহ বাংলাদেশে অবস্থিত অনেক ভাই এবং বোনেরা অনেক সময় গুগলে, ইউটিউবে ইত্যাদি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সার্চ করে থাকেন "ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক অনলাইন বাংলাদেশ" লিখে।
মূলত ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক করতে হলে আপনি যেই কাজী অফিসে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলেন সেই অফিসে গিয়ে কেবলমাত্র ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক করতে পারবেন।
এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক করতে পারবেন অর্থাৎ ম্যারেজ সার্টিফিকেট কোন অবস্থায় রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন প্রবাস থেকে মামলা করার নিয়ম
অনেকেই বলে থাকেন আমার জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড রয়েছে আমি কি কোথায় আমার নাম, ঠিকানা, NID কার্ডের নাম্বার লিখে সার্চ করলে বাংলাদেশে বসে অনলাইনে ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক করতে পারব কিনা। না বন্ধুরা, এমন সিস্টেম এখনও বাংলাদেশে চালু করা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ম্যারেজ সার্টিফিকেট কোথায় পাওয়া যায়
ম্যারেজ সার্টিফিকেট কোথায় পাওয়া যায় তা অনেকেই জানেন না। ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনাকে ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যিনি রেজিস্ট্রেশন করে দিবেন তার কাছেই সার্টিফিকেট পাবেন।
যেই কাজী অফিসে ম্যারেজ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয় সেই অফিস থেকেই ম্যারেজ সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। অনেকেই অনলাইনে ম্যারেজ সার্টিফিকেট খোঁজাখুঁজি করে থাকেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই অনলাইনে ম্যারেজ সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না।
বিশেষ করে বাংলাদেশিদের এই সুযোগ-সুবিধাটি নেই। তবে ম্যারেজ সার্টিফিকেট পেতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে কাজী অফিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া সার্টিফিকেট পেতে হলে আপনাকে সরাসরি অফিসেই উপস্থিত থাকতে হবে।
FAQ: অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই - অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
১. বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়?
উত্তর: বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে তা সঠিকভাবে বলা যায় না। কেননা এটি দেনমোহরের উপর বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এক লক্ষ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ হলে দশ হাজার টাকা বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
২. বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য পাত্র এবং পাত্রীর বয়স কত হতে হবে?
উত্তর: বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী পাত্রের বয়স সর্বনিম্ন ২১ এবং পাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স ১৮ হতে হবে জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী।
৩. বিবাহ করার কত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে?
উত্তর: ইসলামিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ৩০ দিন পার হয়ে গেলে তারপরও যদি রেজিস্ট্রেশন না করেন তাহলে এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে আপনার দুই বছরের জেল এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
উপসংহার
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যেকোনো কাজী অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারেন। বিয়ে করার ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিবাহ বা ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন করে ফেলবেন। আপনি যদি বিদেশে থাকেন এবং অনলাইনে বিবাহ সম্পন্ন করেন, সে ক্ষেত্রে যখন বিদেশ থেকে দেশে ফিরবেন ঠিক তখনই আপনি রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।
এছাড়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমেও বিদেশে বসে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা যায়। বাংলাদেশের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে করার প্রক্রিয়ায় এখনও চালু করা হয়নি। ভবিষ্যতে যখন চালু করা হবে তখন আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি সে বিষয়ে জানতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনি আশা করি অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট চেক অনলাইন বাংলাদেশ, অনলাইন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ, ম্যারেজ সার্টিফিকেট কোথায় পাওয়া যায়, অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
এরপরও যদি আরও কিছু জানার থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। আর আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আজ এ পর্যন্তই, ধন্যবাদ।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url